ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তারাবিহ নামাযের রাকাত সংখ্যা নিয়ে উলামাদের মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। হানাফি ফিকহ মতে
তারাবীহ এর সালাত বিশ রাকাত। এবং তা প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের উপর সুন্নাতে মুআক্কাদা। এবং জামাতের সাথে আদায় করা সুন্নাতে মুআক্কাদা আ'লাল কিফায়া।
ফেকহে হানাফির নির্ভর্যোগ্য প্রসিদ্ধ গ্রন্থ "ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে" বর্ণিত আছে,
وَنَفْسُ التَّرَاوِيحِ سُنَّةٌ عَلَى الْأَعْيَانِ عِنْدَنَا كَمَا رَوَى الْحَسَنُ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - وَقِيلَ: تُسْتَحَبُّ وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَالْجَمَاعَةُ فِيهَا سُنَّةٌ عَلَى الْكِفَايَةِ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ وَهُوَ الصَّحِيحُ، كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ.
তারাবীহ সুন্নাতে মুআক্কাদা আলাল আইন।যেমন ইমাম আবু-হানিফা থেকে হাসানের রেওয়াতে বর্ণিত আছে।কেউ কেউ অবশ্য মুস্তাহাব ও বলেছেন।তবে প্রথম অভিমতটাই অধিক গ্রহণযোগ্য।এবং জামাতের সাথে তারাবীহের সালাত আদায় করা সুন্নাতে মুআক্কাদা আলাল কিফায়া। এভাবেই "তাবয়ীনুল হাক্বাইক্ব" নামক কিতাবে বর্ণিত আছে। এবং "মুহিতে সারাখসীতে" বর্ণিত আছে।(ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া,১/১১৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) তারাবীর নামাজ সুন্নত।
(২) তারাবীহর নামাযে কোরআনের একটি খতম সুন্নত। এবং সূরা তারাবী পড়াও জায়েয।
(৩) মাঝে মাঝে কোনো কারণবসত তারাবীর সালাতের কয়েক রাকাত না পড়লে গুনাহ হবে।
(৪) তারাবীর নামাজ ঘরে একা একা পড়া যাবে। তবে মসজিদে জামাতের সাথে পড়া সুন্নতে মু'আক্কাদা আলাল কেফায়া।
(৫) কোনো কারণবসত খতম তারাবীর এক/দুই রাকাত ছুটে গেলে, কোরআনের যে আয়াতগুলো শুনা হলো না,সেটাকে নিজে নিজে পড়ে নিলেই কুরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যাবে।
(৬) রমজান মাসে জামাতবদ্ধ হয়ে তাহাজ্জুদ নামায পড়ার চেয়ে একাকি পড়াই উত্তম।
(৭) কাছাকাছি মসজিদ রেখে ঘরে কয়েকজন মিলে জামাত পড়া জায়েয হলেও মসজিদের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যাবে না।