لَا تَقُوْمُ السَّاعَةُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا فَإِذَا طَلَعَتْ وَرَآهَا النَّاسُ يَعْنِي آمَنُوا أَجْمَعُونَ فَذَلِكَ حِينَ ( لَا يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ أَوْ كَسَبَتْ فِي إِيمَانِهَا خَيْرًا )
‘‘যতদিন পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হবেনা ততদিন কিয়ামত হবেনা। যখন পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হবে এবং মানুষ তা দেখতে পাবে তখন সকলেই ঈমান আনবে। তখন এমন ব্যক্তির ঈমান কোন উপকারে আসবেনা যে পূর্ব থেকে বিশ্বাস স্থাপন করেনি কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কোন সৎকাজ করেনি’’।
সহিহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে:
عَوْف بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ وَهُوَ فِي قُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ، فَقَالَ: “اعْدُدْ سِتًّا بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ: مَوْتِي، ثُمَّ فَتْحُ بَيْتِ المَقْدِسِ، ثُمَّ مُوْتَانٌ يَأْخُذُ فِيكُمْ كَقُعَاصِ الغَنَمِ، ثُمَّ اسْتِفَاضَةُ المَالِ حَتَّى يُعْطَى الرَّجُلُ مِائَةَ دِينَارٍ فَيَظَلُّ سَاخِطًا، ثُمَّ فِتْنَةٌ لاَ يَبْقَى بَيْتٌ مِنَ العَرَبِ إِلَّا دَخَلَتْهُ، ثُمَّ هُدْنَةٌ تَكُونُ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ بَنِي الأَصْفَرِ، فَيَغْدِرُونَ فَيَأْتُونَكُمْ تَحْتَ ثَمَانِينَ غَايَةً، تَحْتَ كُلِّ غَايَةٍ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا”
অর্থাৎ আউফ বিন মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি তাবুক যুদ্ধে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলাম। তিনি তখন একটি চামড়ার তৈরি তাঁবুতে ছিলেন। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কিয়ামাতের আগের ছয়টি নিদর্শন গণনা করে রাখো। আমার মৃত্যু, অতঃপর বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়, অতঃপর বকরির পালের মহামারীর মতো তোমাদেরকে মহামারী আক্রমণ করবে, সম্পদের প্রাচুর্য; এমনকি এক ব্যক্তিকে একশ দিনার দেওয়ার পরও সে অসন্তুষ্ট থাকবে।
অতঃপর এমন এক ফেতনা আসবে, যা আরবের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করবে। অতঃপর যুদ্ধ বিরতির চুক্তি, যা তোমাদের ও বনি আসফার বা রোমকদের মাঝে সম্পাদিত হবে। অতঃপর তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং আশিটি পতাকা উড়িয়ে তোমাদের বিপক্ষে আসবে; প্রত্যেক পতাকার নীচে থাকবে বার হাজার সৈন্য। (সহিহ বুখারি: ৪/১০১, হা. নং ৩১৭৬, প্র. দারু তাওকিন নাজাত, মিসর)
সহিহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে-
عَنْ نَافِعِ بْنِ عُتْبَةَ، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي غَزْوَةٍ….. قَالَ: تَغْزُونَ جَزِيرَةَ الْعَرَبِ فَيَفْتَحُهَا اللهُ، ثُمَّ فَارِسَ فَيَفْتَحُهَا اللهُ، ثُمَّ تَغْزُونَ الرُّومَ فَيَفْتَحُهَا اللهُ، ثُمَّ تَغْزُونَ الدَّجَّالَ فَيَفْتَحُهُ اللهُ.
অর্থাৎ নাফে বিন উতবা রা. থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,আমরা একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে এক যুদ্ধে ছিলাম। ….. একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আরব উপদ্বীপে যুদ্ধ করবে, অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাতে তোমাদের বিজয় দান করবেন। অতঃপর পারস্যের সঙ্গে যুদ্ধ করবে, সে যুদ্ধেও আল্লাহ তোমাদের বিজয় দান করবেন। অতঃপর তোমরা রোমের সাথে যুদ্ধ করবে সে যুদ্ধেও আল্লাহ তোমাদের বিজয় দান করবেন। অতঃপর তোমরা দাজ্জালের সাথে লড়াই করবে সেখানেও আল্লাহ তোমাদের বিজয় দান করবেন। সহিহ মুসলিম: ২/২২২৫, হা. নং ২৯০০ প্র. দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবিয়্যি, বৈরুত)
সহিহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَقْتَتِلَ فِئَتَانِ فَيَكُونَ بَيْنَهُمَا مَقْتَلَةٌ عَظِيمَةٌ، دَعْوَاهُمَا وَاحِدَةٌ، وَلاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُبْعَثَ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ، قَرِيبًا مِنْ ثَلاَثِينَ، كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ.
অর্থাৎ আবু হুরাইরাহ রা. থেকে বর্ণিত, নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কেয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না দুটি দলের মধ্যে যুদ্ধ হবে। তাদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হবে। অথচ তাদের উভয় দলের দাবি হবে এক। আর কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত না প্রায় ত্রিশজন মিথ্যাচারী দাজ্জাল তথা চরম মিথ্যুকের আবির্ভাব ঘটে, যাদের প্রত্যেকেই নিজেকে আল্লাহর রাসুল বলে দাবি করবে। (সহিহ বুখারি: ৪/২০০, হা. নং ৩৬০৮, প্র. দারু তাওকিন নাজাত, মিসর)
সহিহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে:
أَخْبَرَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَخْرُجَ نَارٌ مِنْ أَرْضِ الحِجَازِ تُضِيءُ أَعْنَاقَ الإِبِلِ بِبُصْرَى.
অর্থাৎ আবু হুরাইরাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না হিজাজের ভূমি থেকে এমন আগুন বের হবে, যা বসরার উটগুলোর গর্দান আলোকিত করে দিবে। (সহিহ বুখারি: ৯/৫৮, হা. নং ৭১১৮, প্র. দারু তাওকিন নাজাত, মিসর)
সহিহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعَرُ، وَحَتَّى تُقَاتِلُوا التُّرْكَ، صِغَارَ الأَعْيُنِ، حُمْرَ الوُجُوهِ، ذُلْفَ الأُنُوفِ، كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ المَجَانُّ المُطْرَقَةُ،
অর্থাৎ আবু হুরাইরা রা. সূত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্নিত, তিনি বলেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না; যতক্ষণ না তোমরা এমন এক জাতির সাথে যুদ্ধ করবে, যাদের পায়ের জুতা হবে পশমের এবং যতক্ষণ না তোমরা তুর্কদের সাথে যুদ্ধ করবে, যাদের চক্ষু ছোট, নাক চেপ্টা, চেহারা লাল ফর্সা, যেন তাদের চেহারা পেটানো ঢাল। (সহিহ বুখারি: ৪/১৯৬, হা. নং ৩৫৮৭, প্র. দারু তাওকিন নাজাত, মিসর)