আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
322 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (34 points)
শায়েখ, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভালো আছেন।
১) একজন মহিলা অপর একজন মহিলার সতরের কতটুকু অংশ দেখতে পারবে? মহিলা মাহরাম হলে শরীরের কতটুকু অংশ, এবং মহিলা লামাহরাম হলে শরীরের কতটুকু অংশ দেখতে পারবেন একজন মহিলা?

২) তারাবাজি কি চাঁদ রাতে ব্যাবহার করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক তথা নিজেদের (মুসলিম) মহিলাগন, অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩১}

মেয়েদের জন্য মেয়েদের সতর কতটুকু সে সম্পর্কে ফাতাওয়া হিন্দিয়ায় উল্লেখ করা হয়

نظر المرأة إلى المرأة كنظر الرجل إلى الرجل، كذا في الذخيرة. وهو الأصح، هكذا في الكافي. ولا يجوز للمرأة أن تنظر إلى بطن امرأة عن شهوة، كذا في السراجية. ولا ينبغي للمرأة الصالحة أن تنظر إليها المرأة الفاجرة؛ لأنها تصفها عند الرجال فلا تضع جلبابها، ولا خمارها عندها، ولا يحل أيضا لامرأة مؤمنة أن تكشف عورتها عند أمة مشركة أو كتابية إلا أن تكون أمة لها، كذا في السراج الوهاج.

মহিলার জন্য মহিলার সতর হচ্ছে এক পুরুষের জন্য অন্য পুরুষের সতর যতটুকু(অর্থাৎ নাভীর নীচ থেকে হাটু পর্যন্ত)(যাখিরাহ)এটাই বিশুদ্ধ।কোনো মহিলার জন্য অপর মহিলার পেটের দিকে কামভাব সহকারে দৃষ্টি দেয়া জায়েয না।(সিরাজিয়্যাহ)নেককার মহিলার জন্য উচিৎ হবে না যে,তাকে কোনো বদকার মহিলা দেখবে,কেননা ঐ মহিলা অন্যান্য পুরুষের কাছে তার সৌন্দর্যর আলোচনা করবে।সুতরাং কখনো সে ঐ রকম বদকার মহিলার সামনে নিজের বোরখা ও উড়না খুলবে না।ঠিকতেমনিভাবে কোনো মুসলিম মহিলা অমুসলিম কোনো বাদীর সামনে বোরখা বা উড়না খোলবে না, তবে ঐ অমুসলিম বাদীটি তার নিজ মালিকানাধীন থাকলে ( এক্ষেত্রে শংকামুক্ত থাকার ধরুণ তার সামনে বোরখা খোলা) বৈধ হবে।(আস-সিরাজুল ওয়াহ্হাজ) (ফাতাওয়া হিন্দিয়া-৫/৩২৭) 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মহিলার জন্য মহিলার সতর হচ্ছে এক পুরুষের জন্য অন্য পুরুষের সতর যতটুকু।
অর্থাৎ নাভীর নীচ থেকে হাটু পর্যন্ত।
মহিলাদের জন্য অন্য মহিলা গায়রে মাহরাম নয়,সবই মাহরাম।

তবে অমুসলিম নারীদের সামনে মুসলিম নারীদের পর্দা করতে হবে।

لا یحل للمسلمۃ أن تنکشف بین یدي یہودیۃ أو نصرانیۃ أو مشرکۃ إلا أن تکون أمۃ لہا۔ (شامي ۹؍۵۳۴ زکریا)
কোনো মুসলিমা মহিলার জন্য অমুসলিম মহিলার সামনে বেপর্দা হওয়া জায়েয নেই।
  
وقال ابن حجرؒ: الأصح تحریم نظرہا إلی ما لا یبدو في المہنۃ من مسلمۃ غیر سیدتہا ومحرمہا ودخول الذمیات علی أمہات المؤمنین الوارد في الأحادیث الصحیحۃ دلیل لحل نظرہا منہا ما یبدو في المہنۃ، وقال الإمام الرازي: المذہب أنہا کالمسلمۃ والمراد بنسائہن جمیع النساء وقول السلف محمول علی الاستحباب وہٰذا القول أرفق بالناس الیوم فإنہ لا یکاد یمکن احتجاب المسلمات عن الذمیات۔ (روح المعاني ۱۸؍۲۱۱ أشرفیۃ، معارف القرآن ۶؍۴۰۴)
যথা সম্ভব এটাকে আমরা মুসতাহাব বলতে পারি।
তাই তাদের সামনে পর্দা করাই জরুরি।   

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (34 points)
একজন মুসলিম নারী কি তার মামাতো-চাচাতো বোনের সামনে মুখের নিচ থেকে নাভি পর্যন্ত উলঙ্গ থেকে গোসল করতে পারবে?
by (566,280 points)
হ্যাঁ, পারবে। তবে এটি শালীনতার খেলাফ।

আর গুনাহ মূলক কিছু হলে বা তারা কুদৃষ্টি দিলে গুনাহ হবে।
by (0 points)
edited by
১.মহিলা হোস্টেলে থাকলে একই রুমে অনেক মেয়েরা নামে মুসলিম দাবিদার হলেও বেদীন। পর্দা করে না, সলাত আদায় করে না, এক্ষেত্রে মাথা খোলা রাখা কি জায়েজ হবে??  শুধু সালোয়ার এবং কামিজ রুমে পড়া জায়েজ হবে??
২.উপরের টা একটা ক্ষেত্র, আরেকটা ক্ষেত্র যদি মহিলা হলের রুমমেটদের কেউ পরপুরুষদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলে সে ব্যাপারে সাবধান করা হলেও, আশংকা থাকে পর্দানশীন বোনকে উক্ত ফাসিকা মহিলা তার ছেলে ফ্রেন্ডদের মোবাইল তাক করে দেখাতে পারে যদিও মুখে বলে আমি তো জানি তুমি পর্দা করে আমি কেনো তোমাকে দেখাতে যাবো?? সে ক্ষেত্রে কেমন পোশাকে থাকা জায়েজ হবে?? বা রুমের মধ্যেই ডিভাইডার, পর্দা দিয়ে সেই মেয়ের থেকে আড়াল তগাকা হলে কি জায়েজ হবে কিনা??

by (566,280 points)
(০১)
শুধু সালোয়ার এবং কামিজ রুমে পড়া জায়েজ হবে।
এক্ষেত্রে মাথা ঢেকে রাখা শালীনতার অন্তর্ভুক্ত। 

(০২)
ভিডিও কলে কথা বলার সময় মোবাইল যেনো আপনার দিকে না করে।
এক্ষেত্রে আপনার নিষেধ না মানলে আইনত সহায়তা নিতে পারেন।
বা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

তারপরেও সমাধান না হলে ভিডিও কলে কথা বলার সময় আপনার দিকে মোবাইল তাক করলে সে সময়ে চেহারা হাত সহ সম্পূর্ণ শরীর আবৃত রাখতে হবে। 

দ্রুত রুম চেঞ্জ করতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,396 views
...