আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
515 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
edited by
উস্তায বিয়ের পর আবদ্ধ নয় খোলামেলা পরিবেশে(খোলামেলা বলতে স্ত্রীর বাসার একটা ঘর যার দরজা খোলা ছিলো। স্বামী স্ত্রী কথা বলার মাঝে প্রায়ই স্ত্রীর মা বাবা, বোন এবং স্বামীর মা প্রয়োজনে আশা যাওয়া করেছিলেন নাস্তা দিতে নিতে কথা বলতে। তবে স্ত্রী সাজগোজহীন হিজাব এবং সতরসহ সাধারণ স্বাভাবিক পোশাকে ছিলেন। ওনাদের উত্তেজনা মূলক কোনো কথা বার্তা কিছু হয়নি। কারো আচরণেও প্রকাশ পায়নি। সাধারণ স্বাভাবিক সব কিছুটা প্রয়োজনে নন মাহরামদের সাথে যেমন কথা বলা যেতে পারে  তেমন)। কিছু সময় ঘন্টা খানেক স্বামী স্ত্রী স্বাভাবিক কথা বার্তা বলেন বিভিন্ন বিষয়ে তবে রোমান্টিক কোনো কথা নয় প্রয়োজনীয় মোহরসহ পারিবারিক স্বামীর বাইরে যাওয়া ইত্যাদি প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ে । স্বামী স্ত্রী সুলভ কথা বার্তা নয়। স্বামী স্ত্রীকে স্পর্শ পর্যন্ত করেননি। স্ত্রীর মা স্বামীর দেয়া আকদের আংটিটা এনে স্বামীকে স্ত্রীর হাতে পরিয়ে দিতে বললে স্বামী স্ত্রীর হাত না ধরেই শুধু আংটিটা পরিয়ে দেন। এরপর স্বামী বিদেশ চলে যান। অনলাইনেও তাদের মাঝে স্বামী স্ত্রী সুলভ কোনো কথা বা আচরণ ছিলো না। স্বামী স্ত্রীকে কখনও সতর উন্মুক্ত অবস্থাতেও দেখেননি৷ এমনকি ছবিতেও না। এক্ষেত্রেও কি খালওয়াতে সহীহা প্রযোজ্য হবে? বিয়ের ছয় মাসে এই ডিভোর্সের ঘটনা ঘটে। (মুযাকারা প্রেক্ষাপটে কেনায়া বাক্যের মাধ্যমে এক তালাকে বায়েন হয়। যদিও স্বামীর নিয়ত ছিলো না স্বামী এটা প্রকাশ করেছেন। ওনার অজান্তে এটা হয়। উনি হয়তো ইত্তিলা করেছিলেন। এর কয়েকদিন পর স্বামী তালাকের নোটিশ পাঠান এবং কিছুদিন পর তিন তালাক দেন। তবে নোটিশটা রেজয়ী তালাকের)।  বিয়ের পর দু মাস মাঝে মাঝে তাদের সামান্য ফোনে কথা হত তাও স্বামী স্ত্রী সুলভ নয়। মেসেজ অডিওতে প্রায় কনভারসেশন হলেও তাতে স্ত্রীর তালাকের আবেদন থাকত। পারিবারিক পারিপার্শ্বিক মনোমালিন্যতা থাকত। এরপর দীর্ঘ দিন কনভারসেশন বন্ধ থাকলে মাঝে মাঝে যখনই মেসেজ হত তাতে মনোমালিন্যতা আর তালাকের আবেদন ফুটে উঠত। তারা স্বামী স্ত্রী সুলভ সময় পার করেননি অনলাইনেও না। অফলাইনে তো সম্ভবই ছিলো না। কথাও তেমন হতো না ফোনে।
উস্তায এক্ষেত্রে কেনায়া বাক্য দ্বারা এক বায়েন তালাকের আগে অন্তরঙ্গতা, নির্জনাবাস, সহবাস এবং খালওয়াতে সহীহা যদি না থাকে আর ইদ্দতকালও যদি না থাকে তাহলে স্পষ্টত আরও তালাক দিলে অর্থাৎ এই তিন তালাক যে দিয়েছেন তা কি পতিত বা প্রযোজ্য হবে?
এক বায়েন তালাকের পর যেহেতু সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তখন বিবাহ করা ব্যাতিত আর কোনো তালাক নাকি পতিত হয় না? ওনারা কি হালালা ব্যাতিত আবার বিয়ে করতে পারবেন?
আগের করা প্রশ্নের কমেন্ট সেকশনে এই প্রশ্নগুলো করেছিলাম উস্তায।
https://ifatwa.info/72228/#a72246

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কেনায়া শব্দ দ্বারা তালাক(বায়েন) হওয়ার পর আর কোনো বায়েন তালাক পতিত হবে না।হ্যা,সরিহ তথা স্পষ্ট শব্দ দ্বারা তালাকে রেজয়ী পতিত হবে। তবে ইদ্দতের পর আর সরিহ তালাক পতিত হবে না।

والصّريح يلحق الصّريح والبائن
والبائن يلحق الصّريح لا البائن إلّا إذا كان معلّقًا
তালাকে সরিহ, সরিহ এবং বায়েন তালাকের পরও পতিত হয়।তবে বায়েন তালাকের পর আর কোনো বায়েন তালাক পতিত হয় না, হ্যা, সরিহ তালাক পতিত হয়।(কানযুয দাক্বাইক-১/২৭৭)

الْبَائِن لَا يلْحق الْبَائِن إِلَّا إِذا تقدم سَببه بِأَن قَالَ لَهَا إِن دخلت الدَّار فَأَنت بَائِن وَنوى بِهِ الطَّلَاق ثمَّ أَبَانهَا ثمَّ دخلت الدَّار وَهِي فِي الْعدة فَحِينَئِذٍ يلْحقهُ وَقَالَ زفر رَحمَه الله الْبَائِن لَا يلْحق الْبَائِن مُطلقًا
والصريح يلْحقهُ الصَّرِيح والبائن حَتَّى إِن الْمُطلقَة الرَّجْعِيَّة لَو طَلقهَا زَوجهَا أَو أَبَانهَا يَقع بالاجماع لقِيَام الزَّوْجِيَّة والوصلة والبائن يلْحقهُ الصَّرِيح وَلَا يلْحقهُ الْبَائِن حَتَّى إِن المبتوتة المختلعة لَو أَبَانهَا لَا يَقع لِأَن محلهَا الوصلة والوصلة قد انْقَطَعت بِالْخلْعِ والابانة
(লেসানুল হুক্কাম-১/৩২৭)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি অসস্পষ্ট। যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সেই আলোকে বলছি,
মুযাকারা প্রেক্ষিতে কেনায়া বাক্যর দ্বারা এক তালাকে বায়েন হওয়ার কিছুদিন পর স্পষ্টত স্বামী তিন তালাক দিলে তা পতিত হবে। স্ত্রীর সাথে স্বামীর প্রথম থেকে খালওয়াতে সহীহা এবং সহবাস কিছুই না হলে, এক তালাকে বায়েন হবে।তার পর স্পষ্ট শব্দে তালাক দিলে, সেটাও পতিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...