আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
988 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। মেহেরবানি করে নিচের প্রশ্ন গুলির উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।

১. কোন ব্যক্তির স্ত্রী নিয়ত ছাড়া ঝগড়ার সময় বলেছে আমি আর পারছি না। আমাকে রেখে আসেন। এটা কি তালাকের মজলিস বলে গণ্য হবে? সেই স্ত্রী তালাক সম্পর্কে তেমন কোন মাসয়েল জানে না। হতাশ হয়ে বলেছে।

২. যদি উক্ত মজলিসে তালাক হয় তাহলে কি বায়েন তালাক হবে? এবং আবার বিবাহের পুর্বে যদি কখনো স্পষ্ট বা কেনায়া তালাক দেয়া হয়, সেটা কি গণ্য হবে?

৩. কোন ব্যক্তি কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানে না। এমনকি এসব শব্দে যে তালাক হয় তাও জানে না। পরবর্তীতে জানার পর সন্দেহে পড়ে গেছে। কারণ বিয়ের পর এমন তো অনেক কথা হয়। যেহেতু কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানত না, তাহলে কি ভয়ের কিছু আছে?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনএক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে এসে বললোহে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তাঁর বাদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার আর আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেনরসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে আরোহণ করলেনঅতঃপর বললেনহে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন করো যেসে তার গোলামের সাথে তার বাদীর বিবাহ দেয়অতঃপর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধতালাকের অধিকার তার। [সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১]

 

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ النِّكَاحُ وَالطَّلاَقُ وَالرَّجْعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনতিনটি বিষয় এমন যেগুলির যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের ব্যবহারও যথার্থ: বিবাহতালাকরাজআত। - ইবনু মাজাহ ২০৩৯তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেনএই হাদীসটি হাসান-গারীব।

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

. তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। তবে যদি স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার দিয়ে দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে স্ত্রী সে তার নিজের নফসের উপর তালাক দিতে পারবে। এভাবে বললে (আমি আমার নিজের উপর তালাক দিলাম) তালাক হবে। অন্যথায় স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে যে, ‘আমি তোমাকে তালাক দিলাম’। তাহলে এতে কোনো তালাক পতিত হয় না। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে স্ত্রীর তালাকের নিয়ত ধর্তব্য হবে না।

. দেখতে হবে যে, স্বামী কি শব্দ দ্বারা তালাক দিয়েছে অত:পর সেই অনুযায়ী হুকুম হবে

. কেনায়া শব্দ দ্বারা তালাক দিতে হলে নিয়ত থাকা শর্ত তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হবে নাকেনায়া তালাক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/18187/?show=18187#q18187


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (2 points)
জাঝাকাল্লাহ হযরত। আর একটু জানার ছিলো।
১.মনে করি কোন দম্পতির এক তালাকে বায়েন হয়েছে। এর পর তাদের বিবাহ হবার আগেই আবার স্বামী এক তালাক শব্দ বলেছে। এমন অবস্থায় কি টোটাল দুই তালাক ধরা হবে? নাকি পরেরটা ধরা হবে না। যেহেতু এখনো বিয়ে হয় নাই।
২. আমার এক নাম্বার প্রশ্ন তে স্ত্রীর 'আমাকে রেখে আসেন' এর জবাবে যদি স্বামী তালাকের নিয়াত ছাড়া বলে 'তুমি চলে যাও', তাহলে কি তালাক হবে?
এতটুকুই জানার ছিল। দয়া করে জানাবেন। আল্লাহ্র কাছে আপনার মর্যাদা বৃদ্ধির দুয়া করছি।
by (63,560 points)
edited by
১, এক তালাকে বায়েন হওয়ার পর পুনরায় ঐ স্ত্রীকে বিয়ে করার পূর্বে স্বামী ঐ স্ত্রীকে তালাক দিলেও আর কোনো তালাক পতীত হবে না৷ (তবে শর্তযুক্ত তালাক ব্যতীত, যা করলে বিয়ের পরে কার্যকর হবে৷)
২, হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এক তালাকে বায়েন হয়ে যাবে। কারণ এটা তালাকে মাজলিস ধরা হবে। এই কারণে যে,  এটা ঝগড়ার সময় বলেছে। তাই এই সময় তার নিয়ত ধর্তব্য হবে না ।
(সংশোধন করা হয়েছে)
by
রদ্দুল মুহতার কিতাবে তো অন্য রকম লিখা

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...