আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
247 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
১.কোন একজন ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট কাউকে বিয়ে করার ইচ্ছা না থাকে এবং তাকে যদি তাবিজ করে বশ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিজের দিকে মন ঘুরানো হয় আর এভাবে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় তবে এটা কি জায়েজ?
কোন কারনে কোন মানুষকে আমার ভালো না ই লাগতে পারে, আমি তাকে বিয়ে করব কিনা এটা তো আমার ইচ্ছা। এখানে ইসলাম কি অন্য কাউকে আমার উপর জোর খাটিয়ে বিয়ের বৈধতা দেয়?

২. রুকইয়াহ গ্রুপে এমন দেখেছি বা রুকইয়াহ এর অভিজ্ঞতা থেকে এমন শুনেছি যে একবার একমন বশ করার জন্য জিন পাঠালে ওই জিন ব্যক্তির পিছু ছাড়েনা যদি পছন্দ হয়ে যায়।  এগুলো কি আদৌ ইসলাম সম্মত?

৩. আমার পরিচিত এক রিলেটিভের সম্পর্ক ছিলো একজন মেয়ের সাথে,এখন সেই মেয়ে ওই ছেলেকে ছেড়ে অন্য কারো সাথে রিলেশন করায় প্রাক্তন প্রেমিক তাকে ফিরিয়ে আনতে তাবিজ করে,তদবির করে। এই রকম কবিরাজি করা কি একজন মুসলিমের জন্য সাজে? ইসলাম কি এর অনুমতি দেয়?

৪. মা বাবা সন্তানকে যদি প্রেম ঘটিত বিষয় থেকে সরিয়ে আনতে তাবিজ করে এটা কি ইসলাম অনুমোদন দেয়?

৫. ইসলামে তো এই অনুমোদন আছে যে স্বামী যদি খারাপ হয়ে তবে স্ত্রী খোলা চাইতে পারবে। স্ত্রী যদি খারাপ হয় বা তার কোন আচরণ স্বামীর অপছন্দ হলে বা কারণ ছাড়াই স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে যদিও তা অনুচিত।
এখন আমরা দেখে থাকি অনেক স্ত্রী রাই স্বামীকে নিজের কব্জাভুত করতে স্বামীকে তাবিজ করে থাকে। তখন স্বামী স্ত্রীর সকল দোষ ত্রুটি উপেক্ষা করে স্ত্রীর গোলামি করে,আবার মায়েরাও সন্তানদের স্ত্রীকে যেন ভালো না জানে এজন্য তাবিজ করে।এটা কি ইসলামে জায়েজ? হয়ত কোন অন্যায় বা অপরাধের জন্য তালাক দিতো কিন্তু এই তাবিজ করার মাধ্যমে তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার হারায়,সক্ষমতা হারায়।

৬. কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জিন দিয়ে বশে আনার ব্যাপারে ইসলাম কি বলে?
৭. আমার মনে হয় আমার এক পরিচিত ছেলে যে আমার বাবা মায়ের নাম জানে সে আমাকে তাবিজ করছে।  আমার এই ছেলেকে ভালোবাসার বা বিয়ের কোন ইচ্ছাই নাই কিন্তু আমি জিনের রোগীর মত আচরণ করছি তাকে উপেক্ষা করার পর থেকেই। আমি আমার ফ্যামিলির বাইরে কখনো যেতে চাইনা।

আমার মনে চায় এই ব্যক্তিকে সারাদিন লানত দেই, আমাকে ওয়াস ওয়াসার রোগী বানিয়ে ফেলেছে। আমার জীবন ধ্বংস করে ফেলছে। আল্লাহ ওকে ধ্বংস করুক এমন দুয়া করতে মনে চায় কারন আমার বিবেক কখনোই ফ্যামিলির ইজ্জত যাবে এইসব দিকে ধাবিত করেনাই আমাকে/ প্রেম করতে উদবুদ্ধ করেনাই। আমাকে এখন ব্রেইন ওয়াস ওয়াসা দেয় যেন আমি ঘর থেকে বের হয়ে ওই ছেলের কাছে যাই,ঘরে শান্তি নাই। আমি কি করে মুক্তি পাবো? আমাকে যে এমন ক্ষতি করেছে তার জন্য কি আল্লাহর তরফ থেকে কোন সাজার ঘোষণা আসেনাই?
এভাবে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে তার করে নেয়া কি ইসলামে বৈধ হোক তা কুফরি না করে জিন দ্বারা করা হোক?

( এক বোন হতে)

৮. এই যে বান্দার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তাকে কিছু করতে বাধ্য করা,তার উপর জিন লেলিয়ে দেয়া, তার আল্লাহ প্রদত্ত যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়ার হক যে নষ্ট করে তাকে নিজ মুঠোয় করা হয় এতে কি বান্দার হক্ক নষ্ট হয় না?

৯. যার উপর এই তদবির কিংবা জাদু / কুফরি করে সে যদি মাফ না করে এই ব্যক্তি আল্লাহর মাফ পাবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদি কোনো ব্যক্তির নির্দিষ্ট কাউকে বিয়ে করার ইচ্ছা না থাকে তাহলে তাবিজ করে বশ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিজের দিকে মন ঘুরানো জায়েয হবে না।

(২)
এটা সত্য নয়। তবে হ্যা, জ্বীনকে ব্যবহার করা যায়, এবং ফিরিয়েও আনা যায়, তবে এভাবে জ্বীনকে ব্যবহার করা জায়েয হবে না।

(৩)
প্রাক্তন প্রেমিকের জন্য তার প্রমিকাকে ফিরিয়ে আনা কখনো জায়েয হবে না। 

(৪)
মা বাবা সন্তানকে যদি প্রেম ঘটিত বিষয় থেকে সরিয়ে আনতে তাবিজ করে,তাহলে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে? তা আল্লাহই ভালো জানেন। এভাবে না করে বরং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।

(৫)
এভাবে কাউকে বশে নিয়ে আসার জন্য তাবিজ করা জায়েয হবে না।

(৬)
কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জিন দিয়ে বশে আনাটাও জায়েয হবে না।

(৭)
আপনাকে জ্বীন দ্বারা বশ করা কখনো জায়েয হবে না।

(৮)
এই যে বান্দার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তাকে কিছু করতে বাধ্য করা,তার উপর জিন লেলিয়ে দেয়া, এগুলো জায়েয হবে না।

(৯)
যার উপর এই তদবির কিংবা জাদু / কুফরি করা হয়েছে, সে যদি মাফ না করে,তাহলে আল্লাহ এই ব্যক্তিকে মাফ করবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...