আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
আসসালামুয়ালাইকুম,
আমার কিছু জানার ছিল।

১) আমার মাকে ছোট বেলায় এক পাগল বলেছিল আমার মার জীবনে দুইটা ফারা আসবে নির্দিষ্ট বসয়ে। ঠিক অই বসয়েই দুইটা ফারা আসে। এই ঘটনার ব্যাখ্যা কি? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।

২) আমার মার নানা ছোট থেকেই অন্ধ এবং কুরানের হাফেজ। তার ছোট বেলায় একটা অসুখ হয়। তখন এক এলাকার বাজারের যাওয়ায় এক ফকির তাকে একটা তাবিজ দেয় এবং বলে রোগ ভালো হয়ে গেলে মসজিদের একটা বদনা দিতে। তারপরে রোগ ভালো হয়ে যায়। তাবিজ খুরে রাখে। কিন্তু পরে মসজিদে বদনা আর দেয়া হয় নাই। দেখা যায় এর পরে আবার সেই রোগটাই আবার হইছে আরে বেশি পরিমানে। পরে আবার তাবিজ পরার পরে এবং মসজিদে বদনা দেয়ার পরে সেই রোগ ঠিক হয়ে যায় এবং পরে আর কখন হয় নাই। এই ঘটনার ব্যাখ্যা কি? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।

৩) রোজার শেষের দিকে আমার ঘর থেকে কেউ একজন আমার লুঙ্গির কাপ্ড়  কেটে নিয়ে যায়। প্রথমে এই নিয়ে তেমন মাথা ঘামায় নি। পরে আমার প্রচন্দ্র মাথা ব্যাথা শুরু হয় সাথে অনেক কিছু অস্বাভাবিক হতে থাকে। রাতে ঘুম না হওয়া, অস্তির লাগা রাতে, একটু পর পর ঘুম ভেঙ্গে জাওয়া, রাতে শরীর চুলকানো, ঘুম হালকা হওয়া, আরো অনেক কিছুই। এর পরে এক ফকিরের কাছে গেলে সে বলে আমাকে কালো জাদু করা হইছে। এর আগেও আমাকে করা হইছিল। এখন আমি এর থেকে কিভাবে বাচতে পারি? কিকি আমাল করতে হবে? আর আমি কিভাবে জানতে পারব যে কে আমাকে কালো জাদু করেছে? এর আগে এক হজুর বলেছিল একটা আমল আছে যা করলে সপ্নে দেখা যায় বা আজ পাওয়া যায় যে যে জাদু করছে। আর কোন ভালো রাকি আছে কিনা রুকইয়াহ করে সুন্নাহ সম্মত। থাকলে থাকে কিভাবে পাবো?

৪) আমাদের পরিবারে কয়েক বছর ধরেই সুধু আয়বরকত কমতেছে। বিশেষ করে রোজার আগে দুকানে চুরি হয়। এখন এইসব থেকে কিভাবে বাচতে পারি। আয়বরকত বারাতে কি করা যেতে পারে। বিস্তারিত বললে ভালো হয়।

৫) বিভিন্ন লেখক, কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, এদের বই পড়া যাবে কি না? যেমন হুমায়ুন আহমেদ টাইপের। এদের বেশির ভাগ লেখাই ইসলামি বিধানের বিপরীত।  অনেক পাঠক তাদেরকে মেনে চলে। তাদের থেকে নিতি শিখে।

আশা করি সব কিছুর বিস্তারিত উত্তর দিয়ে আমাকে সাহায্য করবেন। ধন্যবাদ।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, 
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَمْ مِنْ أَشْعَثَ أَغْبَرَ ذِي طِمْرَيْنِ لاَ يُؤْبَهُ لَهُ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللَّهِ لأَبَرَّهُ مِنْهُمُ الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ حَسَنٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাথায় উস্কুখুস্কু চুল ও দেহে ধূলিমলিন দু’খানা পুরাতন কাপড় পরিহিত এরূপ অনেক ব্যক্তি রয়েছে যার প্রতি লোকেরা দৃষ্টিপাত করে না। অথচ সে আল্লাহর নামে শপথ করে ওয়াদা করলে তিনি তা সত্যে পরিণত করেন। আল-বারাআ ইবনু মালিক তাদের দলভুক্ত।(সুনানে তিরমিযি-৩৮৫৪)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হতে পারে, যাকে আপনার মা পাগল বলেছেন,তার কথাকে আল্লাহ কবুল করে নিয়েছেন। অথবা এমনও হতে পারে যে, তার অন্তরে আল্লাহ ঐ বিষয়টা ঢেলে দিয়েছেন।

(২)
রোগ ভাল হলে, এমনটা করবো, তেমনটা করবো, এগুলো হচ্ছে মান্নত।মান্নতকে পূর্ণ করা ওয়াজিব।পূর্ণ না করলে গোনাহ হবে। তবে প্রশ্নের বর্ণিত বিষয় তথা মান্নত পূর্ণ না করার কারণে রোগটি আবার চলে আসল।ব্যাপারটা কাকতালীয়।


(৩)
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন- http://ifatwa.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10103

(৪)
দৈনিক সন্ধ্যার পর সূরা ওয়াকেয়া পড়বেন।

(৫)
যে সব কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিকদের বই ইসলামের বিধানের বিপরীত, তাদের বই পড়া যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 190 views
...