জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
যারা যেদিক হতেই আত্মীয় হোক,কোনো আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবেনা।
কথা না বলা আর সম্পর্ক ছিন্ন এক বিষয় নয়।
ঝগড়াঝাটি করে সম্পর্ক ছিন্ন করা এখানে উদ্দেশ্য।
দূরে থাকার দরুন কথাবার্তা না হওয়া এর অন্তর্ভুক্ত নয়।
,
প্রত্যেহ কথা৷ বলাও জরুরী নয়।
গায়রে মাহরাম আত্মীয়ের সাথে তো বিনা প্রয়োজনে কথাই বলা যাবেনা।
আত্নীয়তার পরিধি সংক্রান্ত জানুনঃ-
(০২)
আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা নাজায়েজ,এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোরভাষা ব্যবহার করেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح
জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
.(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)
আরো জানুনঃ
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 178050 নং ফতোয়াতে এসেছে যে কোনো মুসলমানের সাথে হিংসা ইত্যাদির কারনে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ নেই।
তবে সে যদি দীনের লাইন থেকে দূরে সরে যায়,মদ খায়,জুয়া খেলে,যেনা করে,সুদ খায়।
বুঝানোর পরেও বুঝেনা,ইসলাম মানেনা।
,
তাহলে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ আছে।
তবে স্থায়ীভাবে নয়,সাময়িক ভাবে।
(ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ ৮/২৭০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপাতত সাময়ীক ভাবে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারবেন।
তবে কোনো সময় যদি মনে হয় যে অনেক ভালো হয়ে গিয়েছে,সেক্ষেত্রে সেই সময় সম্পর্ক বজায় রাখবেন।
তিনি যদি আপনার শরীরের কোনো অনাবৃত স্থানে স্পর্শ করে থাকেন,মাঝে যদি কোনো কাপড় না থাকে,আর যদি উত্তেজনায় তার বিশেষ অঙ্গ দাঁড়িয়ে গিয়ে থাকে,আর উক্ত সময় যদি আপনি বালেগাহ হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে আপনার মায়ের সাথে উনার বৈবাহিক সম্পর্ক নেই।
হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হওয়ার শর্তাবলী জানুনঃ-
(০৩)
গুনাহ থেকে সম্পূর্ণ ফিরে এসে আল্লাহর কাছে ভবিষ্যতে আর এহেন গুনাহ না করার ওয়াদা করে খালেস দিলে তওবা করতে হবে।
তাহলে আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন,ইনশাআল্লাহ।
(০৪)
খালেস দিলে তওবা করতে হবে।
তাহলে আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন,ইনশাআল্লাহ।
(০৫)
আপনাদের বিবাহ বৈধ।
(০৬)
হ্যাঁ, আপনি এই নিয়্যাতে সুদের অংশ নিতে পারবেন।
(০৭)
উনি যে চাকুরী করেন সেটি হালাল।
তার বেতন হালাল।
তবে সেই ফান্ডের সুদের টাকা তার ব্যবহার জায়েজ হবেনা।
সুদী টাকা থেকে তিনি সংসার চালালে আপনি বিবাহের আগ পর্যন্ত তার থেকে ভরনপোষণ নিতে পারবেন।
আর যদি তিন বেতন থেকে বা অন্য কোনো হালাল টাকা হতে সংসার চালান,সেক্ষেত্রে তিনি চাইলে সব সময় তার থেকে ভরনপোষণ নিতে পারবেন।
(০৮)
যতটুকু টাকা সুদের আছে,ততুটুকু গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
(০৯)
উক্ত বারো বছরের সমস্ত নামাজ রোযার কাজা আদায় করতে হবে।
এ সমস্ত কাজা নামাজ আদায়ের পদ্ধতি জানুনঃ-
রোযা রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে রোযা ভেঙ্গে ফেলার দরুন আপনাকে কাফফারা আদায় করতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-