আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি
এক মুসলিম ভাই বোন তার স্বামীর সাথে বিয়ে হবার পর কিছুদিনের মধ্যে পালিয়ে  অন্য জায়গায় বিয়ে করে। পরে সেই দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে একজন সন্তান হয়।

কয়েক বছর পর সেই বোন ও তার স্বামী হেদায়েত পান, আর জানতে পারেন যে তাদের বিয়েটা শুদ্ধ হয়নি।তারা তখন শরীয়তসম্মত জীবন যাপনের জন্য শরীয়াহ সমাধান খুজেন।

পরবর্তীতে আলহামদুলিল্লাহ এই সাইট থেকে ফতোয়া নিয়ে তার ১ম স্বামীর সাথে সাক্ষাৎ করে,তার কাছে ক্ষমা নিয়ে, কিছু অঁর্থ প্রদানের মাধ্যমে খোলা গ্রহণ করেন।
তারপর ইদ্দত পালনের পর শরীয়তসম্মত ভাবে আবার বিয়ে করেন।

প্রশ্ন হচ্ছে দ্বিতীয় স্বামীর যে ৪ বছরের বাচ্চা আছে, তার প্রকৃত পিতৃপরিচয় কে হবে ১ম না দ্বিতীয় স্বামী। যেহেতু মিথ্যা পিতৃপরিচয় দেওয়া জেনেছি জায়েজ নেই

২য় প্রশ্ন হচ্ছে যদি ১ম স্বামী পিতৃপরিচয় হয়,কিন্তু  তালাক নেওয়ার পর সে কি দ্বিতীয় স্বামীর পিতৃ পরিচয় বহন করতে পারবে ??

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনে হজর আসক্বালানী রাহ, ফাতহুল বারীতে লিখেন,
ﻭﻳﺆﺧﺬ ﻣﻦ ﻗﻀﻴﺘﻪ : ﺃﻧﻪ ﻳﺴﺘﺤﺐ ﻟﻤﻦ ﻭﻗﻊ ﻓﻲ ﻣﺜﻞ ﻗﻀﻴﺘﻪ ﺃﻥ ﻳﺘﻮﺏ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻳﺴﺘﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻭﻻ ﻳﺬﻛﺮ ﺫﻟﻚ ﻷﺣﺪ ﻛﻤﺎ ﺃﺷﺎﺭ ﺑﻪ ﺃﺑﻮ ﺑﻜﺮ ﻭﻋﻤﺮ ﻋﻠﻰ ﻣﺎﻋﺰ . ﻭﺃﻥ ﻣَﻦ ﺍﻃﻠﻊ ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ ﻳﺴﺘﺮ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﻤﺎ ﺫﻛﺮﻧﺎ ، ﻭﻻ ﻳﻔﻀﺤﻪ ، ﻭﻻ ﻳﺮﻓﻌﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻛﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻘﺼﺔ " ﻟﻮ ﺳﺘﺮﺗﻪ ﺑﺜﻮﺑﻚ ﻟﻜﺎﻥ ﺧﻴﺮﺍً ﻟﻚ " ، 
মাইয ইবনে মালিক আল-আসলমি এর ঘটনা থেকে আমরা অনুধাবন করতে পেরেছি যে,যে ব্যক্তি মাইয ইবনে মালিক আল-আসলমীর মত ঘটনায় যুক্ত হয়ে যাবে,তার জন্য মুস্তাহাব হলো,সে আল্লাহর নিকট তাওবাহ করে নিবে।এবং উক্ত বিষয়কে গোপন করে নিজ ইজ্জত-আব্রুকে ঢেকে রাখবে।কারো নিকট সে তা প্রকাশ করবে না।যেমনটা আবু-বকর রাযি, এবং উমর রাযি, মাইয আসলমীকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।এবং অন্য কেউ যদি সেই গোনাহকে জেনে ফেলে তার জন্যও সেই বিষয়কে ঢেকে রাখা মুস্তাহাব।সে যেন উক্ত ঘটনার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে লাঞ্ছিত-অপদস্থ না করে এবং উক্ত বিষয়কে ইমাম বা বিচারকের নিকট উপস্থাপন না করে।যেমনটা রাসূলুল্লাহ সাঃ আসলমীর ঘটনাকে উপস্থাপনাকারী হযরত হায্যাল রাযি, কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন যে, হে হায্যাল! তুমি যদি তোমার কাপড় দ্বারা বিষয়টাকে ঢেকে রাখতে তাহলে সেটা তোমার জন্য ভালো হতো তথা সওয়াবের কারণ হতো। (ফতহুল বারী-১২/১২৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/906


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পালিয়ে বিয়ে করার ৬ মাস পর যদি সন্তান হয়, তাহলে সেই সন্তানটি জারজ বলেই গণ্য হবে। যেহেতু সন্তানটি পিতৃপরিচয়হীন থাকলে সামাজিকভাবে হেনস্থার স্বীকার হবে, তাই আপাতত সন্তানের পিতৃপরিচয়ে দ্বিতীয় স্বামীর নাম দেয়া যাবে। কেননা ঐ সন্তানতো দ্বিতীয় স্বামীর রক্তেরই।তবে শরয়ীভাবে সে দ্বিতীয় স্বামীর সন্তান হিসেবে গণ্য হবে না। সে দ্বিতীয় স্বামীর ওয়ারিছ হবে না।তাছাড়া প্রথম স্বামী তো তাকে সন্তান হিসেবে মানবেই না। তাই প্রথম স্বামী সন্তান হিসেবেও বিবেচিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...