ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনে হজর আসক্বালানী রাহ, ফাতহুল বারীতে লিখেন,
ﻭﻳﺆﺧﺬ ﻣﻦ ﻗﻀﻴﺘﻪ : ﺃﻧﻪ ﻳﺴﺘﺤﺐ ﻟﻤﻦ ﻭﻗﻊ ﻓﻲ ﻣﺜﻞ ﻗﻀﻴﺘﻪ ﺃﻥ ﻳﺘﻮﺏ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻳﺴﺘﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻭﻻ ﻳﺬﻛﺮ ﺫﻟﻚ ﻷﺣﺪ ﻛﻤﺎ ﺃﺷﺎﺭ ﺑﻪ ﺃﺑﻮ ﺑﻜﺮ ﻭﻋﻤﺮ ﻋﻠﻰ ﻣﺎﻋﺰ . ﻭﺃﻥ ﻣَﻦ ﺍﻃﻠﻊ ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ ﻳﺴﺘﺮ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﻤﺎ ﺫﻛﺮﻧﺎ ، ﻭﻻ ﻳﻔﻀﺤﻪ ، ﻭﻻ ﻳﺮﻓﻌﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻛﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻘﺼﺔ " ﻟﻮ ﺳﺘﺮﺗﻪ ﺑﺜﻮﺑﻚ ﻟﻜﺎﻥ ﺧﻴﺮﺍً ﻟﻚ " ،
মাইয ইবনে মালিক আল-আসলমি এর ঘটনা থেকে আমরা অনুধাবন করতে পেরেছি যে,যে ব্যক্তি মাইয ইবনে মালিক আল-আসলমীর মত ঘটনায় যুক্ত হয়ে যাবে,তার জন্য মুস্তাহাব হলো,সে আল্লাহর নিকট তাওবাহ করে নিবে।এবং উক্ত বিষয়কে গোপন করে নিজ ইজ্জত-আব্রুকে ঢেকে রাখবে।কারো নিকট সে তা প্রকাশ করবে না।যেমনটা আবু-বকর রাযি, এবং উমর রাযি, মাইয আসলমীকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।এবং অন্য কেউ যদি সেই গোনাহকে জেনে ফেলে তার জন্যও সেই বিষয়কে ঢেকে রাখা মুস্তাহাব।সে যেন উক্ত ঘটনার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে লাঞ্ছিত-অপদস্থ না করে এবং উক্ত বিষয়কে ইমাম বা বিচারকের নিকট উপস্থাপন না করে।যেমনটা রাসূলুল্লাহ সাঃ আসলমীর ঘটনাকে উপস্থাপনাকারী হযরত হায্যাল রাযি, কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন যে, হে হায্যাল! তুমি যদি তোমার কাপড় দ্বারা বিষয়টাকে ঢেকে রাখতে তাহলে সেটা তোমার জন্য ভালো হতো তথা সওয়াবের কারণ হতো। (ফতহুল বারী-১২/১২৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পালিয়ে বিয়ে করার ৬ মাস পর যদি সন্তান হয়, তাহলে সেই সন্তানটি জারজ বলেই গণ্য হবে। যেহেতু সন্তানটি পিতৃপরিচয়হীন থাকলে সামাজিকভাবে হেনস্থার স্বীকার হবে, তাই আপাতত সন্তানের পিতৃপরিচয়ে দ্বিতীয় স্বামীর নাম দেয়া যাবে। কেননা ঐ সন্তানতো দ্বিতীয় স্বামীর রক্তেরই।তবে শরয়ীভাবে সে দ্বিতীয় স্বামীর সন্তান হিসেবে গণ্য হবে না। সে দ্বিতীয় স্বামীর ওয়ারিছ হবে না।তাছাড়া প্রথম স্বামী তো তাকে সন্তান হিসেবে মানবেই না। তাই প্রথম স্বামী সন্তান হিসেবেও বিবেচিত হবে না।