ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)মেয়েরা প্রস্রাব করার পর কোনোরুপ পানি ব্যাবহার না করে শুধু টিস্যু দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতে পারবে। কেননা ২-৩ টা টিস্যু দিয়ে মোছার ফলে টিস্যু পুরো প্রস্রাবকে শুষে নেয়।
(২)
আপনি অহেতুক সন্দেহকে পরিহার করে পরিবারের সাথে থাকবেন এবং খাবার ভক্ষণ করবেন।
(৩) কোনো কিছুই সদকাহ করতে হবে না।
(৪)শরীরে প্রস্রাবের নাপাকী লাগলে তা ধোয়ার সময় ডলে ধৌত করতে হবে। শুধুমাত্র ৩ বার পানি প্রবাহিত করা যথেষ্ট নয়।
(৫)প্রস্রাবের নাপাক মিশ্রিত শরীর নিয়ে পুকুরে গোসল করার ক্ষেত্রে, শরীর ডলে নিয়ে তারপর একবার একটু দূর পর্যন্ত সাতার কেটে আসলে নাপাক দূর হয়ে যাবে।
(৬) পুকুরের যেই জায়গায় পানি পড়বে, সেই জায়গা থেকে পানি নিয়ে গায়ে ঢাললে ঐ পানিকে অপবিত্র মনে করা যাবে না।
(৭) শরীরে প্রস্রাব লেগে শুকিয়ে যাওয়ার পর যদি পবিত্র কাপড় পরিধান করে গোসল করতে যাওয়া হয়, তাহলে শরীরে পানি ঢালার দরুন আবার জামায় নাপাক চলে আসবে। এজন্য প্রথমে শরীর ধৌত করে নিবেন।আর পুকুরে গোসল করলে জামা নাপাক হবে না।
(৮)যেসব জিনিস পানি শুষে না যেমন,প্লাস্টিক,স্টিল,লোহা, থালাবাসন ইত্যাদি। এইসব জিনিসে লেগে থাকা পেশাবের নাপাক পানি শুকিয়ে যাওয়ার পরে তিনবার শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে হবে।
(৯)বাসায় ইউস করা রেগুলার স্যান্ডেল যেগুলোতে সাধারণত পানি শোষণ করার ক্ষমতা রয়েছে সেগুলোতে নাপাক লাগা পানি শুকিয়ে গেলে,সেটাকে আবার ভিজানো হলে, তা অপবিত্র হবে না।
(১০) কাপড়ের দড়িতে যদি পেশাবের নাপাক লেগে শুকিয়ে যায়, তাহলে সেটাকে পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে।
(১২)জ্বী, আপনি পুকুরেই গোসল করবেন।