আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
347 views
in পবিত্রতা (Purity) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১. ফরজ গোসল করছি এমন টা মনে মনে ভেবেছি,কিন্তু ভুলে গোসলের পূর্বে ভিন্ন ভাবে ওযু না করে গোসলের ভেতর তিন ফরজ কাজ করেছি,এমতাবস্থায় কি গোসল সহীহ হয়েছে? পবিত্রতা অর্জন হয়েছে? নাকি পুনরায় ওযু করে ফরজ গোসল করতে হবে?

২. নাপাক কাপড় আলাদা ভাবে ট্যাপের পানিতে ধুয়ে নাপাকি পরিষ্কার করে অন্যান্য কাপড়ের সাথে বালতিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ভিজায় রাখলে কি বালতির সকল কাপড় নাপাক হয়ে যাবে?
৩. নাপাক কাপড় ধোয়ার সময় যে পানি ছিটা আসে,তা গায়ে পরলে কি গোসল করতে হবে? নাকি সেই স্থান বিসমিল্লাহ বলে ধুয়ে নিলে পবিত্রতা অর্জন হবে?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।     

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.

মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ

ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ফরজ গোসল আদায় হয়ে গিয়েছে।
,
ফরজ গোসলের শুরুতে অযু করা সুন্নাত।
এটি ফরজ বিধান নয়।
তাই আপনার ফরজ গোসল আদায় হয়ে গিয়েছে।
পবিত্রতা অর্জন হয়েছে।
পুনরায় অযু করে গোসল করতে হবেনা।
আপনি পূর্ণ পবিত্র হয়ে গিয়েছেন।  

আরো জানুনঃ

(০২)
নাপাক কাপড় যখন আলাদা ভাবে ট্যাপে ধুয়ে নিয়েছিলেন,সেই সময়ে নাপাক কাপড় কয়বার ধুয়েছিলেন?
যদি আপনি শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তিন বার ধুয়ে প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে থাকেন,তাহলে তো সেটি তখন থেকেই পাক হয়ে গিয়েছে।
এর পর অন্যান্য পাক কাপড়ের সাথে বালতিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ভিজায় রাখলে বালতির সকল কাপড় পাকই থাকবে।
নাপাক হয়ে যাবেনা।
,
আর যদি আপনি নাপাক কাপড় যখন আলাদা ভাবে ট্যাপে ধুয়ে নিয়েছিলেন,সেই সময়ে নাপাক কাপড়  শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তিন বার ধুয়ে প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে না থাকেন,তাহলে সেটি তখনও নাপাকই ছিলো।
এর পর অন্যান্য পাক কাপড়ের সাথে বালতিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ভিজায় রাখলে বালতির সকল কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।

(০৩)
সেই স্থান বিসমিল্লাহ বলে সতর্কতামূলক ধুয়ে নিলেই পবিত্রতা অর্জন হবে।
এক্ষেত্রে বিসমিল্লাহ বলা আবশ্যকীয় নয়।
তবে বিসমিল্লাহ বললে আল্লাহর নাম নেওয়ার ছওয়াব হবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 102 views
0 votes
1 answer 160 views
...