জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত।
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُسْتَجَابُ لِلْعَبْدِ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ مَا لَمْ يَسْتَعْجِلْ» . قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الِاسْتِعْجَالُ؟ قَالَ: يَقُولُ: قَدْ دَعَوْتُ وَقَدْ دَعَوْتُ فَلَمْ أَرَ يُسْتَجَابُ لِي فَيَسْتَحْسِرُ عِنْدَ ذَلِكَ وَيَدَعُ الدُّعاءَ . رَوَاهُ مُسلم
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দার (প্রতিটি) দু’আ কবূল করা হয়, যে পর্যন্ত না সে গুনাহের কাজের জন্য অথবা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার জন্য এবং তাড়াহুড়া করে দু’আ করে। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! তাড়াহুড়া কি? তিনি বললেন, (দু’আ করে) এমনভাবে বলা যে, আমি (এই) দু’আ করেছি। আমি (তার জন্য) দু’আ করেছি। আমার দু’আ তো কবূল হতে দেখছি না। অতঃপর সে নিরাশ হয়ে পড়ে এবং দু’আ করা ছেড়ে দেয়। ( সহীহ : মুসলিম ২৭৩৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪২৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৮৮১, আল আদাবুল মুফরাদ ৬৫৪, সহীহ আল জামি‘ ৭৭০৫,মিশকাত-২২২৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীন ভাই/বোন,
"আপনার দোয়া কবুল হবেনা"
এমনটি ভাববেননা। আপনি দোয়া কবুল হওয়ার পূর্ণ বিশ্বাস নিয়েই দোয়া করবেন।
হতাশ হবেননা।
সমগ্র মুসলমানদের জান্নাতে দিলেও আল্লাহর ভান্ডারে কোনো কমতি হবেনা।
আল্লাহ তায়ালা আপনার দোয়ার পরেও কোনো মুসলিমকে যদি জাহান্নামে দেন,সেটি আল্লাহ তায়ালা ব্যাপার। আপনি দোয়া চালিয়ে যেতে পারেন।
(০২)
আপনার এইরকম ভাবার কারনে বা এই রকম প্রশ্ন মনে জাগার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।