ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তারাবিহ নামাজ বিশ রাকাত পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
কেহ যদি বিনা ওযরে বিশ রাকাত না পড়ে,বা ওযর বশত বিশ রাকাত না পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
,
এবং শেষে তিন রাকাত বিতর পড়া ওয়াজিব।
,
ইমাম বুখারীসহ সিহাহ সিত্তার সকল গ্রন্থকারের উস্তাদের ২৬ খন্ডে রচিত কিতাব ‘মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ’( ২/১৬৪)-তে সহিহ সনদে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ ﻛَﺎﻥَ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ ﺭَﻛْﻌَﺔً ﻭَﺍﻟْﻮِﺗْﺮَ
রাসূল ﷺ রমযান মাসে বিশ রাকাআত তারাবী ও বিতির আদায় করতেন।
হাদিসটি এই হাদিসগ্রন্থগুলোতেও বর্ণিত হয়েছে– সুনানুল কোবরা লিল-বায়হাকী: ২/৬৯৮, আল-মুনতাখিব: ৬৫৩, আল-মু’জামুল কাবীর: ১১/৩৯৩, আল-মু’জামুল আওসাত: ১/২৪৩।
ইয়াজিদ বিন রূমান বলেন,
كان الناس يقومون في زمان عمر بن الخطاب في رمضان بثلاث وعشرين ركعة
লোকেরা (সাহাবী ও তাবেয়িগণ) ওমর রাযি. এর শাসনামলে বিশ রাকাত তারাবী এবং তিন রাকাত বিতির রমযান মাসে আদায় করতো। (মারিফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীস নং-১৪৪৩, মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৩৮০, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৩৯৪)
সায়েব বিন ইয়াজিদ বলেন,
كـانوا يقـومـون عهد عمر بن الخطاب رضى الله عنه فى شهر رمضان بعشرين ركعة وكانوا يقومون بالمأتين وكانو يتوكؤن على عصيتهم فى عهد عثمان من شدة القيام
ওমর রাযি. এর শাসনামলে লোকেরা (সাহাবী ও তাবেয়িগণ) বিশ রাকাত তারাবী পড়তেন। আর উসমান রাযি. এর শাসনামলে লম্বা কেরাতের কারণে লাঠির উপর ভর দিতেন। (বায়হাকী-৪/২৯৬)
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে সব ছুরতেই গুনাহ হবে।
এক্ষেত্রে আপনি প্রয়োজনে বসে এই নামাজ আদায় করতে পারেন।
প্রয়োজনে নিজ বাসাতে ছোট ছোট সুরা দিয়ে পড়ে নিবেন।
দুই দুই রাকাত করে পড়ার দরুন এক ঘেয়ামি ভাব হলে বা পড়তে মন না চাইলে প্রয়োজনে চার রাকাত করে করে ২০ রাকাত পড়তে পারেন।
তবুও নিয়মিত ২০ রাকাতই পড়বেন।
ইতিপূর্বে না পড়ার দরুন আল্লাহর কাছে তওবা করে নিবেন।
(০২)
উক্ত সাড়ে ৩ ভরি পরিমাণ স্বর্ণ আপনার আব্বুরা আপনার মালিকানাতেই তো দিয়েছে।
সুতরাং এক্ষেত্রে একবারও আপনার হস্থগত না হলে সেটির যাকাত দিতে হবেনা।
সদকায়ে ফিতরও দিতে হবেনা।
কেননা হেবার মধ্যে কবজা শর্ত।
আর যদি আপনার হস্থগত হয়ে থাকে,তারপর তাদের কাছে হেফাজতের জন্য রেখে দিয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে তো সেগুলো আপনারই মালিকানায় আছে,তাই এর পাশাপাশি আপনার কাছে রুপা বা টাকা থাকলে আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে।
সদকায়ে ফিতরও আবশ্যক হবে।
আর যদি আপনি তাদেরকে স্পষ্ট আকারে বলে দেন যে এগুলোর মালিক আমি নই।
আপনারাই এর মালিক,সেক্ষেত্রে এর যাকাত তারা আদায় করবে,আপনি নন।
এক্ষেত্রে আপনার উপর সদকায়ে ফিতর আবশ্যক হবেনা।
আরো জানুনঃ-