আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম
১। আমার মেয়ের ব্রেইন ইঞ্জুরি হয়েছে জন্মের সময়। তার ব্রেইন এর অনেক অংশ ড্যামেজ হয়েছে, এর জন্য কি দুয়া,  রুকিয়া আছে? এবং কুরআন মাজিদের কোন সুরা পড়লে ব্রেইন এর এই ইঞ্জুরি আল্লাহ চান তো ঠিক হয়ে যাবে যাতে আমার মেয়ে ঠিক মতো কথা বলা, হাটা বসা, হাসি সব করতে পারে।

২। বাচ্চাদের খিচুনির জন্য কি দুয়া বা রুকিয়াহ আছে দয়া করে জানাবেন।
দুয়া করবেন হুজুর আমার মেয়ের জন্য।

1 Answer

0 votes
by (679,480 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এক্ষেত্রে স্পষ্ট আকারে কোনো দোয়া বা আমল পাইনি।
সাধারণত রোগ থেকে মুক্তির যেসব দোয়া আছে,সেগুলো আপনার মেয়েকে পরবেন বলবেন।
সুরা ফাতেহা বেশি বেশি পড়তে বলবেন,আপনিও সুরা ফাতেহা পড়ে তার শরীরে ফুক দিবেন।

আপনার মেয়ে আল্লাহর কাছে একান্ত মনে এ দোয়া করা করতে পারেনঃ-

উচ্চারণ : ‘রাব্বি যিদনি ইলমা।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আমার জ্ঞান (মুখস্ত বা স্মরণ শক্তি) বাড়িয়ে দিন।’

قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي
মূসা বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন।
وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي
এবং আমার কাজ সহজ করে দিন।
وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي
এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন।
يَفْقَهُوا قَوْلِي
যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।
(সীরা ত্বাহা-২৫--২৮)

প্রত্যেক ফরয নামাযের পর এবং প্রত্যেক সকাল সন্ধা আপনার মেয়ে এই দু'আ পড়বেন।

বৈধ কোনো রুকইয়াহ কারীর নিকটে যেতে পারেন।

(০২)
এই ব্যপারে নির্দিষ্ট কোনো আমল কুরআন হাদীসে পাইনি।
বৈধ কোনো রুকইয়াহ কারীর নিকটে যেতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (679,480 points)
চিকিৎসক গন বলেছেন,

খিঁচুনি হলে করণীয়

* রোগীকে শক্ত জায়গা থেকে নরম জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। 
* রোগীর পাশে দা, ছুরি, বটি ও ধারালো অস্ত্র থাকলে সেগুলো সরাতে হবে। 
* অক্সিজেনের যাতে ঘাটতি না থাকে এজন্য চারপাশে ভিড় করা যাবে না। প্রয়োজনে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে। 
* বিপজ্জনক স্থান থেকে, যেমন-আগুন, পানি ইত্যাদির কাছ থেকে রোগীকে সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
* আঁটসাট কাপড় পরা থাকলে সেটি খুলে দিতে হবে।
* শক্ত করে ধরে রাখতে হবে। তবে অনেকে মুখ খুলতে যায়, মুখে পানি দেওয়ার চেষ্টা করে, এটি করা যাবে না।  
* সব খিঁচুনি দুই থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ খিঁচুনিটা চলমান খিঁচুনিতে রূপ নিতে পারে। 
* জুতা বা অন্যকিছু মুখে দেওয়া যাবে না। এটির মাধ্যমে জীবানু ভেতরে প্রবেশ করবে। এতে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 101 views
...