আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)

আসসালামুয়ালাইকুম,

প্রশ্ন-০১ঃ আকিক পাথর পরা কি সুন্নাহ? একজন শায়েখ এইটা সমাজে প্রচলিত একটি ভুল কথা।
প্রশ্ন-০২ঃ আকিক পাথরের আংটি বা অন্য কোন আংটিতে কি কিছু লেখে টা ধারন করা যাবে? 
প্রশ্ন-০৩ঃ আংটি কি রুপার পরার সুন্নাহ এবং কোন হাতের কোন আঙ্গুলে পড়া সুন্নাহ? যদি হয়।

প্রশ্ন-০৪ঃ তাবিজে কি বৈধ? তাবিজে কি আরবি ছাড়া অন্য কোন ভাষা ব্যাবহার করা যাবে?  

প্রশ্ন-০৫ তাবিজে কি আরবি ছাড়া অন্য কোন ভাষা ব্যাবহার করা যাবে?  

প্রশ্ন-০৬ঃ তাবিজে কি বিভিন্ন নকশা ব্যাবহার করা যাবে? 
প্রশ্ন-০৭ঃ সংখ্যা পদ্ধতিতে তাবিজ লেখার হুকুম কি? .
প্রশ্ন-০৮ঃ মুদাব্বিরি করা কি জায়েজ?
প্রশ্ন-০৯ঃ মুদাব্বির হতে হলে আকে চিল্লা/ যাকাত দিতে হয়। প্রাথমিক ৪০/৮১ দীনের। এর পরে বিভিন্ন আয়াত, দুয়া, সুরার উপরে জাকাত/চিল্লা দেয়, এগুলো কতটুকু শরীয়ত সম্মত?  
প্রশ্ন-১০ঃ আর এইসব তবদীর গুলো কোথা থেকে আসলো? 
প্রশ্ন-১১ঃ মুদাব্বিরি লাইনে মুয়াক্কেল কতটুকু বৈধ? 
প্রশ্ন-১২ঃ মুদাব্বিরি বা কবিরাজি লাইনে তুলা রাশি বা আল্লাহর নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা থাকে কিছু জন। যাদের হাতে কিছু পরে ফুঁ দিলে একাই হাত চলতে থাকে। এবং এদের দিয়ে আয়না দেখে। আয়নাতে অনেক কিছুই দেখা যায়। এইগুলা কোন টুকু বৈধ এবং কি?  

 

বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি। 

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) আকিক পাথরের ব্যবহারকে সুন্নাহ বলা যাবে না।তবে এটা এমনিতে ব্যবহার করতে কোনো বাধা নেই।দুয়েকটি বর্ণনায় আকিক পাথরের কথা পাওয়া গেলেও ঐ সব বর্ণনা নিতান্তই দুর্বল। 

فتوی نمبر : 144106200782
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن



(২) আকিক পাথরের আংটি বা অন্য কোন আংটিতে কিছু লিখা যাবে। তবে কুরআনের আয়াত না লিখাই উচিৎ। কেননা নতুবা বাথরুমে যেতে সর্বদা খুলে যেতে হবে।

(৩) রুপার আংটি পরিধান করাই সুন্নাহ।ডান আঙ্গুলে পরিধান করাই সুন্নাহ। 

৪) তাবিজ ব্যবহার বৈধ। তাবিজে কুরআন হাদীসের বানী বা মর্মার্থ ব্যাবহার করা যাবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/226

(৫) তাবিজে আরবি ছাড়া অন্য কোন ভাষা ব্যাবহার করা যাবে। তবে কুরআন হাদীসের মর্মার্থ হতে হবে।

(৬) তাবিজে নকশা ব্যাবহার করা যাবে। তবে এগুলো কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।বরং বুজুর্গানে কেরামের অভিজ্ঞতার আলোকে বর্ণিত হয়েছে।

(৭) সংখ্যা পদ্ধতিতে তাবিজ লেখার বিষয়টাও পূর্বে বর্ণিত ৬ নং প্রশ্নের মত।

(৮)মুদাব্বিরি বলতে তিনি যিনি ঝাড়ফুঁক করে চিকিৎসা করেন।

(৯) মুদাব্বির হতে হলে তাকে চিল্লা/ যাকাত দিতে হয়। প্রাথমিক ৪০/৮১ দীনের। এর পরে বিভিন্ন আয়াত, দুয়া, সুরার উপরে জাকাত/চিল্লা দেয়।

 এগুলোর কোনোটাই কুরআন হাদীসে আসেনি।

(১০)এইসব তবদীর গুলো পূর্ববর্তী নেককার লোকদের অভিজ্ঞতার আলোকে বর্ণিত। কুরআন হাদীসে এগুলো আসেনি।

(১১)মুদাব্বিরি লাইনে মুয়াক্কেল বলতে আমরা জানিনা।

(১২) মুদাব্বিরি বা কবিরাজি লাইনে তুলা রাশি বা আল্লাহর নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা থাকে কিছু জন। যাদের হাতে কিছু পরে ফুঁ দিলে একাই হাত চলতে থাকে। এবং এদের দিয়ে আয়না দেখে। আয়নাতে অনেক কিছুই দেখা যায়। 

এইগুলো শরীয়ত সম্মত নয়। এবং এগুলো করাও বৈধ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...