জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
গুনাহ,শিরকের কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,গুনাহের কাজে,শিরকি কাজে অন্যকে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ-
تنویر الأبصار مع الدر المختار:
"(ولا)
يجوز أن (يحدث بيعة، ولا كنيسة ولا صومعة، ولا بيت نار، ولا مقبرة) ولا صنمًا حاوي (في دار الإسلام) ولو قرية في المختار، فتح".
رد المحتار :
"مَطْلَبٌ فِي أَحْكَامِ الْكَنَائِسِ وَالْبِيَعِ
(قَوْلُهُ: وَلَايَجُوزُ أَنْ يُحْدِثَ) بِضَمِّ الْيَاءِ وَكَسْرِ الدَّالِ وَفَاعِلُهُ الْكَافِرُ وَمَفْعُولُهُ بِيعَةً كَمَا يَقْتَضِيهِ قَوْلُ الشَّارِحِ، وَلَا صَنَمًا. وَفِي نُسْخَةٍ: وَلَا يُحْدِثُوا أَيْ أَهْلُ الذِّمَّةِ. اهـ. ح وَمِنْ الْإِحْدَاثِ نَقْلُهَا إلَى غَيْرِ مَوْضِعِهَا كَمَا فِي الْبَحْرِ وَغَيْرِهِ ط (قَوْلُهُ: بِيعَةً) بِالْكَسْرِ مَعْبَدُ النَّصَارَى وَالْيَهُودِ، كَذَلِكَ الْكَنِيسَةُ إلَّا أَنَّهُ غَلَّبَ الْبِيعَةَ عَلَى مَعْبَدِ النَّصَارَى، وَالْكَنِيسَةَ عَلَى الْيَهُودِ قُهُسْتَانِيٌّ. وَفِي النَّهْرِ وَغَيْرِهِ: وَأَهْلُ مِصْرَ يُطْلِقُونَ الْكَنِيسَةَ عَلَى مُتَعَبِّدِهِمَا وَيَخُصَّانِ اسْمَ الدَّيْرِ بِمَعْبَدِ النَّصَارَى. قُلْت: وَكَذَا أَهْلُ الشَّامِ دُرٌّ مُنْتَقًى وَالصَّوْمَعَةُ بَيْتٌ يُبْنَى بِرَأْسٍ طَوِيلٍ لِيُتَعَبَّدَ فِيهِ بِالِانْقِطَاعِ عَنْ النَّاسِ بَحْرٌ (قَوْلُهُ: وَلَا مَقْبَرَةً) عَزَاهُ الْمُصَنِّفُ إلَى الْخُلَاصَةِ، ثُمَّ ذَكَرَ مَا يُخَالِفُهُ عَنْ جَوَاهِرِ الْفَتَاوَى ثُمَّ قَالَ: وَالظَّاهِرُ الْأَوَّلُ وَمِنْ ثَمَّ عَوَّلْنَا عَلَيْهِ فِي الْمُخْتَصَرِ. مَطْلَبٌ لَا يَجُوزُ إحْدَاثُ كَنِيسَةٍ فِي الْقُرَى وَمَنْ أَفْتَى بِالْجَوَازِ فَهُوَ مُخْطِئٌ وَيُحْجَرُ عَلَيْهِ". ( كتاب الجهاد، فصل في الجزية، ۴ / ٢٠٢، ط: دار الفكر)
সারমর্মঃ-
খ্রিস্টানদের গীর্জা,ইহুদিদের ইবাদত খানা,অগ্নিপূজকদের অগ্নিপূজার ঘর,তাদের কবরস্থান ইত্যাদি নির্মান করা জায়েজ নেই।
যারা এই বিষয়ে বৈধতার ফতোয়া দেন,তারা ভূলকারী।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে সেই ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।
কেননা সে এখানে কাফের হয়ে যাওয়ার মতো কোনো বাক্য বলেনি,কাফের হয়ে যাওয়ার মতো কোনো কাজ করেনি।
(০২)
এর কারনে সেই মুসলমান ব্যাক্তি কাফের হবেনা।
তবে তার মারাত্মক গুনাহ হবে।
কেননা সে নিজে কাফের হয়ে যাওয়ার মতো কোনো কাজ করেনি।
(০৩)
না,সে কাফের বলে গন্য হবেনা।
(তবে গীর্জায় গিয়ে উপাসনা করলে ঈমান চলে যাবে।)
(০৪)
এক্ষেত্রে খ্রিস্টান ধর্মের কাজে সরাসরি সহযোগিতার কারনে সেই মুসলমান ব্যাক্তির মারাত্মক গুনাহ হলেও এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।
কেননা এখানে সে কাফের হয়ে যাওয়ার মতো কোনো কাজ করেনি।
(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে করিম কাফের বলে গন্য হবেনা।
কেননা করিম ঈমান এনেছে।
তাই এখন সে মুমিন।
(০৬)
সে মুসলিম বলে গন্য হবে।
কেননা সে শেষ বয়সে হলেও ঈমান এনেছে।
তাই এখন সে মুমিন।
(০৭)
হ্যাঁ, এতে তার অতিতের গুনাহ সমুহ মাফ হয়ে যাবে।
,
তবে সে যদি শুধু গুনাহ মাফের জন্য চালাকি করে উক্ত অপরাধ মূলক পদ্ধতি অবলম্বন করে,সেক্ষেত্রে অনেক ইসলামী স্কলারগন তার এই ধোকামূলক কাজের দরুন গুনাহ মাফ না হওয়ার কথা বলেছেন।
(০৮)
জানা মতে নেই।
(০৯)
জানা মতে নেই।