আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)

আসসালামু আলাইকুম। নীচের প্রশ্নগুলোর একটু বিস্তারিত উত্তরের আশা করছি। জাযাকাল্লাহু খায়রান।

https://www.hadithbd.net/books/link/?id=2432

উপরের আর্টিকেলটিতে ঈমান ভঙ্গের কারণগুলোর মধ্যে নীচের দুটি কারণও বলা আছে।

[১১] জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআন কারীমের কিংবা বিশুদ্ধ হাদীসের কোন অংশ বা কথা অস্বীকার করলে ইসলাম থেকে একেবারেই বহিস্কার হয়ে যায়। যদিও তা কোন ক্ষুদ্র বিষয়ে হোক।

[১৩] আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ অথবা তাঁর গুণাবলীর কোন একটিকেও অস্বীকার করা অথবা কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহর কোন কার্যাবলী অস্বীকার করা বা এগুলোর অপব্যাখ্যা করা।

আমার প্রশ্ন হলো:

১। এখানে অস্বীকার করা বলতে কি শুধু মুখ দিয়ে অস্বীকার করা বুঝানো হচ্ছে নাকি মনে মনে অস্বীকার করলেও ঈমান চলে যায়?

২। কুরআন হাদীসের কোনো স্পষ্টভাবে প্রমাণীত বিষয় যদি কেউ মুখে অস্বীকার না করলেও মনে মনে অস্বীকার করে বা সন্দেহ পোষণ করে, তাহলে কি সে কাফের হয়ে যায় না? নাকি মনে মনে অস্বীকার করলে কাফের হয় না যতক্ষণ না মুখ দিয়ে অস্বীকার করতেছে?

৩। উপরের ১৩ নং টিতে বলা আছে আল্লাহর গুণাবলীসমূহের কোনো একটিকে অস্বীকার করলে তার ঈমান চলে যায়। এখন কেউ যদি আল্লাহর কোনে একটা গুণ যেমন: আল-গাফফার (অতি ক্ষমাশীল, পরম ক্ষমাশীল) তথা আল্লাহ সব গুণাহ ক্ষমা করতে পারে, এটা মনে মনে বিশ্বাস না করে বা মনে মনে সন্দেহ করে তাহলে কি তার ঈমান চলে যায় না? নাকি যতক্ষণ না মুখ দিয়ে অস্বীকার করতেছে ততক্ষণ ঈমাণ চলে যায় না?

৪। ”আল্লাহ সকলের হৃদয়ের সবকিছু জানে” এটা যদি কেউ মনে মনে বিশ্বাস না করে তাহলে কি কাফের হয়ে যাবে না?

৫। আল্লাহ কারোর উপর বিন্দুমাত্র জুলুম করেন না। কিন্তু কেউ যদি মনে করে যে আল্লাহ হয়তো তাকে সঠিকভাবে বিচার না করে তার উপর জুলুম করতে পারে, তাহলে এমন চিন্তাধারার জন্য কি সে কাফের হয়ে যায় না?

৬। নিশ্চিত জেনে রেখ, আল্লাহর রহমত থেকে তো কাফের ছাড়া অন্য কেউ নিরাশ হতে পারে না।’ (সূরা ইউসুফ : ৮৭)। আমার প্রশ্ন হলো কেউ যদি তার গুনাহের জন্য একেবারেই নিরাশ হয়ে পড়ে এবং আল্লাহর ক্ষমা নিয়ে মনে মনে সন্দেহ পোষণ করতে থাকে তাহলে কি উপরোক্ত আয়াতের আলোকে সে ব্যক্তি কাফের হয়ে যাবে?

by (21 points)
শেষের তিনটি প্রশ্নের উত্তর যদি কারণসহ বলতেন।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এখানে অস্বীকার বলতে শুধু মুখ দিয়ে বা লিখিত ভাবে অস্বীকার করা বুঝানো হয়েছে।

শুধু মনে মনে অস্বীকার করলে কেউ কাফের হয়ে যাবেনা।

(০২)
শুধু মনে মনে কুরআনের কোনো আয়াত বা কুরআনের বিধান অস্বীকার করলে কেউ কাফের হয়ে যাবেনা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তিও কাফের হয়ে যাবেনা।

মুখ দিয়ে অস্বীকার না করা পর্যন্ত কাফের হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।

মুখ দিয়ে অস্বীকার না করা পর্যন্ত কাফের হবেনা।

(০৪)
না,এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

কেননা সে মৌখিক ভাবে বিষয়টি বলেনি।

(০৫)
এমন চিন্তাধারার জন্য সে কাফের হয়ে যায়না।

কেননা সে মৌখিক ভাবে কোনো আয়াতকে অস্বীকার করেনি।

(০৬)
কেউ যদি তার গুনাহের জন্য একেবারেই নিরাশ হয়ে পড়ে এবং আল্লাহর ক্ষমা নিয়ে মনে মনে সন্দেহ পোষণ করতে থাকে তাহলে উপরোক্ত আয়াতের আলোকে সে ব্যক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।

কেননা এখানে সে উক্ত আয়াতের উপর আমল করেনি মাত্র।
সে উক্ত আয়াতকে তো মৌখিক ভাবে অস্বীকার করেনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...