বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাস বা মুরগের বিষ্টা নাপাক।যেমন
118 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,
(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)
সুতরাং হাস মোরগের বিষ্টা খাওয়া জায়েয হবে না।যদি নিশ্চিত ধারণা থাকে যে,বিষ্টা সংমিশ্রিত ডিমের খোসা তাতে পড়ে গেছে,তাহলে সেই ডিম ভাজিকে খাওয়া কখনো জায়েয হবে না।কিন্তু যদি নিশ্চিত ধারণা এ ব্যাপারে না থাকে,তাহলে এই ডিম ভাজি খাওয়া যাবে।এতে কোনো সন্দেহ নাই।
(২)সে যদি এমনিতেই দেয়,তাহলে এটা হাদিয়া।আর হাদিয়া আদান প্রদান করা জায়েয।বা খুজে নেয়াও জায়েয হবে যদি সে অন্তরের সন্তুষ্টিতে দেয়।তাছাড়া অন্য কোনো হিলা বাহানায় নেয়া জায়েয হবে না।
(৩)ওয়ারিসদের মধ্যে এখনো সম্পদ ভাগাভাগি হয়নি এমতাবস্থায় সেই সম্পদে ফসল ফলানো বা সেই সম্পত্তি ব্যবহার করে আয় করলে উক্ত ফলিত ফসলের এক ভাগ মূল ওয়ারিছদেরকে দিতে হবে।সম্পূর্ণ একা নিয়ে নেয়া জায়েয হবে না।