আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (46 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্ ,
উস্তাদজী ,
১/ কোন মেয়ের বাবা মূল যে ডিসলাইন সেটা এনে দিয়েছে গ্রামে , এবং এর থেকে মাসে অনেক অর্থ সে পায় , তবে নিশ্চয়ই এই অর্থ হারাম? ঐ মেয়ের বাবা শিক্ষক , শিক্ষকতা নিশ্চয়ই হালাল পেশা , এখন সে উভয় অর্থ যদি এক সাথে রেখে মাসের খরচ চালায় তবে কি ঐ অর্থ সম্পূর্ণ ই তার হারাম হবে , ? যেহেতু আল্লাহ্ বলেছেন, তোমরা হালালের সাথে হারাম মিলিয়ো না ।
মেয়ের এখন ও বিয়ে হয়নি , সে ইলম অর্জন করছে ঐ হারাম অর্থ খাবার খেয়ে , এখন তার কি করা উচিত ?
মেয়ের কদিন পর বিয়ে ইন্ শা আল্লাহ্ , এখন ঐ মেয়ে তার ইলম ধরে রাখার জন্য  বাবার বাড়ি এসে যদি বলে আমাকে হারাম অর্থ খাবার খাওয়াবে না , আমি টাকা দিচ্ছি এটা দিয়েই আমার জন্য , খরচ করবে আর এ ক্ষেত্রে যদি বাবা মা কষ্ট পায় তবে করণীয় কি , আর মেয়ে তো কয়েক মাসের জন্য থাকলেও হয়তো ঐ ভাবে অর্থ দিয়ে থাকবে না , বা মেয়ের তো অবশ্যই বাবার বাড়ি বেড়াতে আসবে সে ক্ষেত্রে সে কি করলে আল্লাহ্ কে রাজি খুশি রাখতে পারবে ?
২ / কোন মেয়ের প্রতি মাসেই ঠিক মতো হায়েজ হয়েছে , এখন কোন এক মাসে যদি ১০ দিনের বেশি হয় তবে ১০ দিন হায়েজ ধরে পরবর্তী কয়দিন ইস্তেহাযা ধরে ঐ অবস্থাতেই সালাত আদায় করবে কি? এ ক্ষেত্রে জামা কাপড় কি নতুন করে ধুয়ে নিতে হবে? কোন নিয়ত ?
এ অবস্থায় কি কুরআন পড়তে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

(০১)
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

★★প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী বোন!
শরীয়ত উপার্জন সক্ষম বালেগ পুরুষ এর উপর আরো অনেকের লালন পালনের দায়িত্ব দিয়েছে।যেমন, উপার্জন অক্ষম মাতা-পিতা, নাবালিগ ছেলে,মেয়ে,স্ত্রী সহ অনেকের ভরণপোষণের দায়িত্ব রয়েছে একজন পুরুষের উপর।
এখন অভিবাবকের সম্পদ হারাম হলে, সেই সম্পদ থেকে খরছ না করে নিজ মাল থেকে খরছ করাই উচিৎ,যদি নিজের সম্পদ থাকে।তবে বালেগ ছেলের উপর ওয়াজিব যে,তার সম্পদ না থাকলেও সে হালাল তরিক্বায় তার জীবিকা নির্বাহ করার চেষ্টা করবে।হ্যা উপার্জন অক্ষম ব্যক্তির জন্য অভিবাবকের  হারাম মাল থেকে তাওবাহ-ইস্তেগফারেরর সাথে প্রয়োজন পর্যন্ত খোরাকি গ্রহণ করা বৈধ রয়েছে।কেননা এই উপার্জন অক্ষম ব্যক্তিগণকে ভরণপোষণ করা তার একান্ত দায়িত্ব ছিলো।সুতরাং গোনাহ ঐ অভিবাবকের ই হবে।(বিস্তারিত জানতে দেখুন-ফাতাওয়ায়ে উসমানী-৩/১২৭)

আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই মেয়ের বাবার সম্পদ যেহেতু হালাল হারাম মিশ্রিত, আর বুঝা যাচ্ছে যে এক্ষেত্রে হালালই বেশি,তাই উক্ত মেয়ের জন্য তার বাবার উপার্জন ভোগ করতে সমস্যা নেই।  

(০২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সেই মেয়ে ১০ দিন হায়েজ ধরে পরবর্তী কয়দিন ইস্তেহাযা ধরে সালাত আদায় করবে।

তিনি যদি মা'যুর হোন,(তথা অনবরত যদি স্রাব আসতে থাকে,নামাজের পুরো ওয়াক্তের কোনক এক সময়ে ছোট সুরা দিয়ে হলেও পবিত্র অবস্থায় নামাজ আদায় সম্পন্ন করা সম্ভবপর না হয়,)
তাহলে তার জন্য প্রতি নামাজে জামা কাপড় ধোয়া,নতুন কাপড় পড়ে নামাজ পড়া আবশ্যক হবেনা।  
আর যদি মা'যুর না হোন,তাহলে পবিত্র কাপড়ে নামাজ আদায় করতে হবে।

মা'যুর সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...