আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
459 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) ডিমের খোসার গায়ে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে ছিটিয়ে লেগে ছিলো। ঐ ডিম ভাজি করার জন্য যখন ভাঙ্গা হয় তখন ডিমের খোসার কিছু অংশও ডিমের সাথে বাটিতে পড়ে। এখানে নাপাকি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন ঐ ডিম খাওয়া কি হারাম হবে? ঐ ডিম কেউ খেলে তার কি করা উচিত?
২) তার কাছে ফিসারির জন্য পুকুর লীজ দেয়া হয়েছে সে যদি নিজ ইচ্ছায় মাছ দিয়ে যায় তাহলে কি তা নেয়া যাবে? তাকে মাছের মূল্য না দিয়ে বিনা পয়সায়  তার কাছ থেকে মাছ চেয়ে খাওয়া হালাল হবে?
৩) ওয়ারিসদের মধ্যে এখনো সম্পদ ভাগাভাগি হয়নি এঅবস্থায়
সেই সম্পদে ফসল ফলানো বা সেই সম্পত্তি ব্যবহার করে আয় করা কি জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (718,600 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

হাস বা মুরগের বিষ্টা নাপাক।যেমন  118 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,
(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার  প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)

সুতরাং হাস মোরগের বিষ্টা খাওয়া জায়েয হবে না।যদি নিশ্চিত ধারণা থাকে যে,বিষ্টা সংমিশ্রিত ডিমের খোসা তাতে পড়ে গেছে,তাহলে সেই ডিম ভাজিকে খাওয়া কখনো জায়েয হবে না।কিন্তু যদি নিশ্চিত ধারণা এ ব্যাপারে না থাকে,তাহলে এই ডিম ভাজি খাওয়া যাবে।এতে কোনো সন্দেহ নাই।

(২)সে যদি এমনিতেই দেয়,তাহলে এটা হাদিয়া।আর হাদিয়া আদান প্রদান করা জায়েয।বা খুজে নেয়াও জায়েয হবে যদি সে অন্তরের সন্তুষ্টিতে দেয়।তাছাড়া অন্য কোনো হিলা বাহানায় নেয়া জায়েয হবে না।

(৩)ওয়ারিসদের মধ্যে এখনো সম্পদ ভাগাভাগি হয়নি এমতাবস্থায় সেই সম্পদে ফসল ফলানো বা সেই সম্পত্তি ব্যবহার করে আয় করলে উক্ত ফলিত ফসলের এক ভাগ মূল ওয়ারিছদেরকে দিতে হবে।সম্পূর্ণ একা নিয়ে নেয়া জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...