আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
১. একজন বক্তা বলতেছিলেন যে, "আল্লাহ শুধু জাহান্নামের মালিক, বাকি সব কিছুর মালিক নবী (সা:) এর পরে বললেন উনাকে কেও জন্ম দেয় নি। এই সব কথার প্রেক্ষিতে তাদের তাকফির করা যায়?

২. কেও যদি এসব কথা শুনে উদের কাফের  বলতে সংকোচ করে এতে কি তাদের কুফরী হবে? সে জানে এই সকল কথা ইসলাম সমর্থিত না, তবুও কাফের বলছেনা...

৩. কেও যদি বলে "লম্বা দাড়ি আমার অপছন্দ/পছন্দ না, অল্প দাড়িতে স্মার্ট দেখায়" বা " টুপি পরলে সুন্দর দেখায় না" বা  "  টুপি পরা পছন্দ না" এই কথা গুলো দ্বারা কি ইমান চলে যেতে পারে?
সে ঠাট্টা করে নাই, এগুলো যে সে এতোটা  পছন্দ করে না, এভাবে লম্বা দাড়ি-টুপি রাখলে স্মার্ট লাগে না তার কছে এই কারণেই একটু হেসে লম্বা দাড়ি নিয়ে এই মত প্রকাশ করেছে, যে লম্বা দাড়ি ভালো লাগে না/পছন্দ করে না ছোট দাড়িতে স্মার্ট লাগে ।
আর টুপির কথা সাধারন ভাবেই বলেছে। এমনিতে এগুলো সে সুন্নত ওয়াজিব  মানে।
এতে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

৪. নামাজের এক রাকাত পরার পর এই রাকাতে কয়টা সিজদা দিয়েছি মনে না আসলে, অর্থাত দুই সিজদার মাঝে যে বসেছি সেই সময়টা মাথায় আসে না, ফলে খালি সন্দেহ লাগে, আপাত দৃষ্টিতে তো দুই সিজদা দেওয়ার ই কথা। তাই দুই সিজদা দিয়েছি বিবেচনায় সাহু সিজদা বা অতিরিক্ত সিজদা না দিয়ে নামাজ পূর্ণ করলে নামাজ হবে কি?

৫."বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম " কোন সুরার অংশ  এই আলাপ উঠলে আমি বলি যে এটা সুরা কাহাফের অংশ, পরে একজন না করেন বলেন এই সুরা না,তবে উনি বলতেও পারছেন না কোন সুরা, কিন্তু আমার মনে হচ্ছিলো কোথায় যেনো পড়েছিলাম যে এইটা সুরা কাহাফের। তাই উনার কথার বিরোধিতা করছিলাম,পরে খোজে দেখলাম সুরা নামলের অংশ। এর কিছু সময় পরে ইস্তেগফারের কথা মনে পরায় ইস্তেগফার করলাম, এতে কি গুনাহ বা কুফর হবে?

৬.কেও লুঙ্গি পরলে তা দেখে বা তাকে নিয়ে হাসলে কি কুফর হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) "আল্লাহ শুধু জাহান্নামের মালিক, বাকি সব কিছুর মালিক নবী (সা:) এর পরে বললেন উনাকে কেউ জন্ম দেয়নি। এই সব কথা আল্লাহর একত্ববাদের সাথে সাংঘর্ষিক। সুতরাং ঈমান থাকবে না।

(২) কেউ যদি এসব কথা শুনে তাদের কাফির বলতে সংকোচবোধ করে,তাহলে এটা দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক।তবে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩) কেউ যদি বলে "লম্বা দাড়ি আমার অপছন্দ/পছন্দ না, অল্প দাড়িতে স্মার্ট দেখায়" বা " টুপি পরলে সুন্দর দেখায় না" বা  "  টুপি পরা পছন্দ না" যদি সে ঠাট্টা করে এগুলো না বলে, তাহলে কাফির হবে না।তবে ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টা করে এসব বললে অবশ্যই ঈমান থাকবে না।

(৪) এক রাকাত পরার পর এই রাকাতে কয়টা সিজদা দিয়েছি মনে না আসলে, অর্থাৎ দুই সিজদার মাঝে যে বসেছি সেই সময়টা মাথায় না আসলে, বরং খালি খালি সন্দেহ হতে লাগলে, তখন তাহাররি করে নামায পড়তে হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3409

(৫) "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম " কোন সুরার অংশ  এই আলাপ উঠলে আমি বলি যে এটা সুরা কাহাফের অংশ, পরে একজন না করে বলেন এই সুরা না,তবে উনি বলতেও পারছেন না কোন সুরা, কিন্তু আমার মনে হচ্ছিলো কোথায় যেনো পড়েছিলাম যে এইটা সুরা কাহাফের। তাই উনার কথার বিরোধিতা করছিলাম,পরে খোজে দেখলাম সুরা নামলের অংশ। এর কিছু সময় পরে ইস্তেগফারের কথা মনে পরায় ইস্তেগফার করলাম, এতে কি গুনাহ বা কুফর হবে?

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّهُ مِن سُلَيْمَانَ وَإِنَّهُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
সেই পত্র সুলায়মানের পক্ষ থেকে এবং তা এইঃ সসীম দাতা, পরম দয়ালু, আল্লাহর নামে শুরু(সূরা নমল-৩০)

'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' সূরা নমলের অংশ। 

(৬) কেউ লুঙ্গি পরলে তা দেখে বা তাকে নিয়ে হাসলে  কুফর হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...