আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
67 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
১.কোন ব্যক্তি যদি কারো উপর কালো জাদু/সিহর করার জন্য জাদুকরের কাছে যায় তবে সে কি কাফের হয়ে যাবে?জাদুকরের দ্বারস্থ হওয়া ব্যক্তি যদি পরবর্তীতে তাওবা করে কিন্তু যার ক্ষতি করেছে সে যদি তাকে মাফ না করে তবে এই ব্যক্তি কি আখিরাতে নাজাত পাবে?

২.কেউ যদি সিহর কাটানোর জন্য জাদুকরের কাছে যায় তবে সে কি কাফের হবে?

1 Answer

0 votes
by (684,640 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো জাদু টোনা করা হারাম,এমনকি এর মধ্যে কিছু ছুরত রয়েছে,যেটি মানুষকে কুফর পর্যন্ত পৌছিয়ে দেয়।
ইসলামী রাষ্ট্রে প্রমান সাক্ষী সহকারে কাহারো এমনটি করার প্রমান হয়,তাহলে জাদুগরের শাস্তি মৃত্যুদন্ড। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৬/২৭১)

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ اتَّبَعُوۡا مَا تَتۡلُوا الشَّیٰطِیۡنُ عَلٰی مُلۡکِ سُلَیۡمٰنَ ۚ وَ مَا کَفَرَ سُلَیۡمٰنُ وَ لٰکِنَّ الشَّیٰطِیۡنَ کَفَرُوۡا یُعَلِّمُوۡنَ النَّاسَ السِّحۡرَ ٭

আর সুলাইমানের রাজত্বে শয়তানরা যা আবৃত্তি করত তারা তা অনুসরণ করেছে। আর সুলাইমান কুফরী করেননি, বরং শয়তানরাই কুফরী করেছিল। তারা মানুষকে শিক্ষা দিত জাদু,,।
(সুরা বাকারা ১০২)

قال أبوحنیفۃ: الساحر إذا أقر لسحرہ أو ثبت بالبینۃ یقتل ولا یستتاب منہ۔ (شامي ۴؍۲۴۰ کراچی، ۶؍۳۸۲ زکریا)
সারমর্মঃ
ইমাম আবু হানিফা রহঃ বলেন, কেহ যদি তার জাদু করার কথা স্বীকার করে অথবা দলিল দ্বারা প্রমানীত হয়,তাকে হত্যা করা হবে।
তওবা চাওয়া হবেনা। 

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
যাদুকরের কাছ থেকে যদি কুফরি কালাম করায়,এবং কুফরি কালাম করতে যাদুকরকে নির্দেশ দেয়,তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। কিন্ত যদি সে কিছু না বলে,বরং যাদুকর এমনিতেই কুফরি কালাম দ্বারা কিছু করে দেয়,তাহলে এজন্য ঐ ব্যক্তি কাফির হবেনা। হ্যা, উদ্দেশ্য খারাপ হলে সে অবশ্যই গোনাহগার হবে।

(এক্ষেত্রে শুধু জাদুকর কাফের হবে।) 

★সুতরাং কুফরি কালাম ছাড়া জাদু করা হলে এহেন জাদু করা বা করানো হারাম।
এতে কেউ কাফের হবেনা।

তবে কুফরি কালাম দ্বারা জাদু করলে জাদুকর কাফের হবে।
কুফরি কালাম করতে যাদুকরকে নির্দেশ করলে নির্দেশ দাতাও কাফের হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

★জাদুকরের দ্বারস্থ হওয়া ব্যক্তি যদি পরবর্তীতে তাওবা করে কিন্তু যার ক্ষতি করেছে সে যদি তাকে মাফ না করে তবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি মাফ না করলে এই ব্যাক্তি মাফ পাবেনা, নাজাত পাবেনা।

★তবে এখানে শর্ত হলো,যাকে জাদু করা হয়েছে,তার ক্ষতি হওয়া।
যদি কোনো ক্ষতিই না হয়,তাহলে এতে বান্দার হক নষ্ট হবেনা।

(০২)
সে কাফের হয়ে যাবেনা।
,
হ্যাঁ,সে যদি জাদুকরকে কুফরি বাক্য বলার মাধ্যমে জাদু কাটাতে বলে,তাহলে এক্ষেত্রে কুফরি বাক্যের মাধ্যমে জাদু কাটানো হলে জাদুকর সহ সেও কাফের হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...