ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) "আল্লাহ শুধু জাহান্নামের মালিক, বাকি সব কিছুর মালিক নবী (সা:) এর পরে বললেন উনাকে কেউ জন্ম দেয়নি। এই সব কথা আল্লাহর একত্ববাদের সাথে সাংঘর্ষিক। সুতরাং ঈমান থাকবে না।
(২) কেউ যদি এসব কথা শুনে তাদের কাফির বলতে সংকোচবোধ করে,তাহলে এটা দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক।তবে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩) কেউ যদি বলে "লম্বা দাড়ি আমার অপছন্দ/পছন্দ না, অল্প দাড়িতে স্মার্ট দেখায়" বা " টুপি পরলে সুন্দর দেখায় না" বা " টুপি পরা পছন্দ না" যদি সে ঠাট্টা করে এগুলো না বলে, তাহলে কাফির হবে না।তবে ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টা করে এসব বললে অবশ্যই ঈমান থাকবে না।
(৪) এক রাকাত পরার পর এই রাকাতে কয়টা সিজদা দিয়েছি মনে না আসলে, অর্থাৎ দুই সিজদার মাঝে যে বসেছি সেই সময়টা মাথায় না আসলে, বরং খালি খালি সন্দেহ হতে লাগলে, তখন তাহাররি করে নামায পড়তে হবে।
(৫) "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম " কোন সুরার অংশ এই আলাপ উঠলে আমি বলি যে এটা সুরা কাহাফের অংশ, পরে একজন না করে বলেন এই সুরা না,তবে উনি বলতেও পারছেন না কোন সুরা, কিন্তু আমার মনে হচ্ছিলো কোথায় যেনো পড়েছিলাম যে এইটা সুরা কাহাফের। তাই উনার কথার বিরোধিতা করছিলাম,পরে খোজে দেখলাম সুরা নামলের অংশ। এর কিছু সময় পরে ইস্তেগফারের কথা মনে পরায় ইস্তেগফার করলাম, এতে কি গুনাহ বা কুফর হবে?
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّهُ مِن سُلَيْمَانَ وَإِنَّهُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
সেই পত্র সুলায়মানের পক্ষ থেকে এবং তা এইঃ সসীম দাতা, পরম দয়ালু, আল্লাহর নামে শুরু(সূরা নমল-৩০)
'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' সূরা নমলের অংশ।
(৬) কেউ লুঙ্গি পরলে তা দেখে বা তাকে নিয়ে হাসলে কুফর হবে না।