জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ছওয়াবের আশায় কাউকে কুরআন এবং জায়নামাজ হাদিয়া দেয়া জায়েজ আছে।
তবে নন মাহরামকে হাদিয়া দিলে ফিতনার আশংকা থাকে। তাই ফিতনার আশংকা থাকলে জায়েজ হবেনা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি নন মাহরামকে কুরআন এবং জায়নামাজ হাদিয়া দিতে চান,সেক্ষেত্রে মাহরাম কোনো পুরুষ এর মাধ্যমে দিবেন।
বা সেই নন মাহরামের পরিচিত কাহারো মাধ্যমে দিবেন।
যদি এমনট সম্ভব না হয়,যদি অগত্যা আপনাকেই তাহা দিতে হয়,সেক্ষেত্রে আপনি পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে নন মাহরাম কাউকে কুরআন, জায়নামাজ হাদিয়া দেন,বা অন্যের মাধ্যমে দিতে পারবেন।
তবে শর্ত হলো, এখানে কুরআন হাদিয়া দেয়া ও সেটি পড়ার মধ্যে ও জায়নামাজে নামাজের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ থেকেই ফিতনার কোনো আশংকা না থাকতে হবে।