আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
আস-সালামু আলাইকুম। আমি পলিটেকনিক্যাল এ ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এ ১ম পর্বে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছি। তো ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পর সরকার অনলাইনে নোটিশ দিয়েছে যে "আগে আসলে আগে পাবে" (First Come First Served) এর মাধ্যমে সরকারি পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান এ আবেদন করা যাবে। তো আমি নোটিশ টা পড়েছিলাম। ওখানে লিখা ছিল যেটা আমি সেটা বুজিনি আমি অন্য কিছু বুজেছিলাম তাই আর আবেদন করিনি। ওই নোটিশে লিখা ছিল- "যারা ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ে আবেদন করে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেনি তারা "আগে আসলে আগে পাবে" (First Come First Served) এ আবেদন করতে পারবে" এমন কিছু লিখা ছিল। তো আমি ৩য় ও ৪র্থ পর্যায় লিখাটাকে ভেবেছিলাম ৩য় ও ৪র্থ পর্ব যেটাতে এবার যারা HSC পরীক্ষা দিয়েছে তারা আবেদন করতে পারবে। আমিতো SSC দিয়েছি। তো এমন ভূল বুজেছিলাম। তারপর ইউটিউবে এই নিয়ে ভিডিও দেখার পর সঠিক টা জানতে পারলাম। তো আবেদন করার ডেট শেষ হয়ে যাওয়ার পর খোজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম যে এই (First Come First Served) এ আমিও আবেদন করতে পারতাম। আবার অল্প কিছু মানুষ বলেছে যে আবেদন করতে পারতাম না, যেটা অল্প কিছু মানুষ বলেছে। তো আমি যে সরকারী পলিটেকনিক এ আবেদন করতে পারিনি এর জন্য আমার আফসোস হচ্ছে, মন খারাপ হয়ে গেছে। তো এর থেকে বাচার ইসলামিক উপায় কি? আমার তকদিরে কি এটাই লিখা ছিল? তকদিরে কি এটা লিখা ছিল যে আমি বেসরকারি পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠাবে পড়ালেখা করবো?

1 Answer

+1 vote
by (676,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

مَاۤ اَصَابَ مِنۡ مُّصِیۡبَۃٍ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَا فِیۡۤ اَنۡفُسِکُمۡ اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ نَّبۡرَاَہَا ؕ اِنَّ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰہِ یَسِیۡرٌ ﴿ۚۖ۲۲﴾ 

যমীনে বা ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর যে বিপৰ্যয়ই আসে তা সংঘটিত হওয়ার পূর্বেই আমরা তা কিতাবে লিপিবদ্ধ রেখেছি নিশ্চয় আল্লাহর পক্ষে এটা খুব সহজ।
(সুরা হাদীদ ২২)

لِّکَیۡلَا تَاۡسَوۡا عَلٰی مَا فَاتَکُمۡ وَ لَا تَفۡرَحُوۡا بِمَاۤ اٰتٰىکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ لَا یُحِبُّ کُلَّ مُخۡتَالٍ فَخُوۡرِۣ ﴿ۙ۲۳﴾ 

এটা এ জন্যে যে, তোমরা যা হারিয়েছ তাতে যেন তোমরা বিমর্ষ না হও এবং যা তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন তার জন্য আনন্দিত না হও।নিশ্চয় আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন উদ্ধত অহংকারীদেরকে।
(সুরা হাদীদ ২৩)

আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, দুনিয়াতে মানুষ যা কিছু বিপদ অথবা সুখ, আনন্দ অথবা দুঃখের সম্মুখীন হয়, তা সবই আল্লাহ তা’আলা লাওহে-মাহফুযে মানুষের জন্মের পূর্বেই লিখে রেখেছেন। হাদীসে এসেছে, “আল্লাহ্ তা'আলা আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর আগে যাবতীয় তাকদীর নির্ধারণ করে নিয়েছেন”। [মুসলিম: ২৬৫৩] এ বিষয়ের সংবাদ তোমাদেরকে এ জন্য দেয়া হয়েছে, যাতে তোমরা দুনিয়ার ভাল-মন্দ অবস্থা নিয়ে বেশী চিন্তা-ভাবনা না কর। দুনিয়ার কষ্ট ও বিপদাপদ তেমন আক্ষেপ ও পরিতাপের বিষয় নয় এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য এবং অর্থসম্পদ তেমন উল্লসিত ও মত্ত হওয়ার বিষয় নয় যে, এগুলোতে মশগুল হয়ে তোমরা আল্লাহর স্মরণ ও আখেরাত সম্পর্কে গাফেল হয়ে যাবে। প্রত্যেক মানুষ স্বভাবগতভাবে কোনো কোনো বিষয়ের কারণে আনন্দিত এবং কোনো কোনো বিষয়ের কারণে দুঃখিত হয়। কিন্তু যা উচিত তা এই যে, বিপদের সম্মুখীন হলে সবর করে আখেরাতের পুরস্কার ও সওয়াব অর্জন করতে হবে এবং সুখ ও আনন্দের সম্মুখীন হলে কৃতজ্ঞ হয়ে পুরস্কার ও সওয়াব হাসিল করতে হবে। [দেখুন: ফাতহুল কাদীর; কুরতুবী]

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- 

ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.

আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এই আফসোস থেকে বাঁচার উপায় আপনি মনে বিশ্বাস রাখবেন যে এটি তাকদীরেই ছিলো।
আপনার তকদিরে এটাই লিখা ছিলো।
তাকদিরে এটা লিখা ছিল যে আপনি বেসরকারি পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করবেন।

তাহলে আর আফসোস আসবেনা,ইনশাআল্লাহ ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...