এটি যেহেতু ২য় আযানের আগেই,তাই এই সময়ে মসজিদের কোণের দিকে বা বারান্দায় তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي شَأْنِ سَاعَةِ الْجُمُعَةِ: «هِيَ مَا بَيْنَ أَنْ يَجْلِسَ الْإِمَامُ إِلَى أَن تقضى الصَّلَاة» . رَوَاهُ مُسلم
আবূ বুরদাহ্ ইবনু আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জুমু‘আর দিনের দু‘আ কবূলের সময় সম্পর্কে বলতে শুনেছেনঃ সে সময়টা হলো ইমামের মিম্বারের উপর বসার পর সালাত পড়াবার আগের মধ্যবর্তী সময়টুকু।
(সহীহ : মুসলিম ৮৫৩, আবূ দাঊদ ১০৪৯, ইবনু খুযায়মাহ্ ১৭৩৯, দা‘ওয়াতুল কাবীর ৫২৩, সুনানুল বায়হাক্বী ৫৯৯৯, শু‘আবুল ঈমান ২৭২৯, রিয়াযুস সালিহীন ১১৬৪,মিশকাতুল মাসাবিহ ১৩৫৮)
আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ আলোচ্য হাদীসে ইমামের বসা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, খুতবার জন্য মিম্বারে আরোহণ করা। আর আলোচ্য সংক্ষিপ্ত মহামূল্যবান সময়টা খুতবার জন্য ইমামের মিম্বারে আরোহণ করা থেকে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ হওয়ার মাঝামাঝি সময়, তবে এর দ্বারা পূর্ণ এ সময় উদ্দেশ্য নয়। বরং তা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথার আলোকেই যে স্বল্প সময়ের কথা অতিবাহিত হয়েছে তাই, আর তা হলো অতি সামান্য সময়। এখানে সময়টা উল্লেখ করার দ্বারা উপকারিতা হলো নিশ্চয় সেটা আলোচ্য সময়ের মধ্য সীমাবদ্ধ থাকবে। সেটার শুরু হবে খুতবার শুরু থেকে এবং সেটার শেষ হবে সালাতের শেষ পর্যন্ত।
(অর্থাৎ এ সময়ের মধ্যেই উক্ত সংক্ষিপ্ত সময়টুকু অতিবাহিত হবে।)
একটি হাদীসে জুময়ার নামাক হতে সালাম ফিরানোর আগ পর্যন্ত এ সময়ের মাঝেই সেই দোয়া কবুলের মুহুর্তটি আছে।
যেমন,
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي الْجُمُعَةِ سَاعَةً لاَ يَسْأَلُ اللَّهَ الْعَبْدُ فِيهَا شَيْئًا إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ إِيَّاهُ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَّةُ سَاعَةٍ هِيَ قَالَ " حِينَ تُقَامُ الصَّلاَةُ إِلَى الاِنْصِرَافِ مِنْهَا "
যিয়াদ ইবনু আয়্যূব আল-বাগদাদী (রহঃ) ..... আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ জুমুআর দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে। কোন বান্দা যদি সেই মুহূর্তে আল্লাহর কাছে কিছু দু’আ করে, তবে অবশ্যই তিনি তার দু’আ বাস্তবায়িত করেন। সাহাবীগণ আরয করলেন : হে আল্লাহর রাসূল! কোনটি এই মুহূর্ত? তিনি বললেনঃ জুমুআর ইকামতে সালাত (নামায/নামাজ) থেকে নিয়ে তা শেষ হওয়া পর্যন্ত। - ইবনু মাজাহ ১৩৮৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৯০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
কেবলার দিক নামাজ পড়লে ধাক্কা দেয়ার মত অবস্থা হলেও কেবলার দিক হয়েই নামাজ পড়তে হবে।