আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
১: জুম'আ এর সময় মাসজিদে যেয়ে যদি দেখি খাতিব সাহেব মিম্বরে দাঁড়িয়ে (মাতৃ ভাষায়) খুৎবা শুরু করেছেন; সেই সময় কি তাহিইয়্যাতুল মাসজিদ এর নামাজ আদায় করে বসবো নাকি খাতিব সাহেবের কাছাকাছি যেয়ে বসে খুৎবা শুনবো?
২: জুম'আর দিনে দু'আ কবুলের নির্দিষ্ট সময় আছে এই মর্মে সহিহ হাদিস আছে যতটুকু জানি; এই সময়টি নিয়ে ২ টি মতামত শুনেছি,
"আসর - মাগরিবের" মধ্যবর্তী সময় এবং জুম'আর খুৎবা চলাকালীন সময়।
প্রশ্ন হলো, এই জুম'আর সময়টা কি খাতিব সাহেব মিম্বরে উঠার পর থেকে শুরু করে ইকামতের আগ পর্যন্ত কি এই সময়?
(নাকি)

মাতৃভাষা এবং আরবী খুৎবার মধ্যবর্তী সময় যখন খাতিব সাহেব সুন্নত নামাজের সময় দেন সেইটুকু?

(নাকি)

আরবী খুৎবার প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগের মাঝে যখন খাতিব সাহেব মিম্বরে বসে থাকেন সেই সময়?

৩: ভ্রমনের সময় নামাজের নিয়ম এবং অনেক ভীড়ের কারনে নিজের সিটেই নামায পড়া যাবে কিনা? অনেক সময় ভীড়ের কারনে এমন হয় যে কেবলার দিক নামাজ পড়লে ধাক্কা দেয়ার মত অবস্থা হয়। এইক্ষেত্রে নামায কিভাবে পড়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (575,070 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এটি যেহেতু ২য় আযানের আগেই,তাই এই সময়ে মসজিদের কোণের দিকে বা বারান্দায় তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া যাবে।

তবে মূল মজলিসে এসে তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়লে নামাজর সমস্যা হবে।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي شَأْنِ سَاعَةِ الْجُمُعَةِ: «هِيَ مَا بَيْنَ أَنْ يَجْلِسَ الْإِمَامُ إِلَى أَن تقضى الصَّلَاة» . رَوَاهُ مُسلم
আবূ বুরদাহ্ ইবনু আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জুমু‘আর দিনের দু‘আ কবূলের সময় সম্পর্কে বলতে শুনেছেনঃ সে সময়টা হলো ইমামের মিম্বারের উপর বসার পর সালাত পড়াবার আগের মধ্যবর্তী সময়টুকু।
(সহীহ : মুসলিম ৮৫৩, আবূ দাঊদ ১০৪৯, ইবনু খুযায়মাহ্ ১৭৩৯, দা‘ওয়াতুল কাবীর ৫২৩, সুনানুল বায়হাক্বী ৫৯৯৯, শু‘আবুল ঈমান ২৭২৯, রিয়াযুস সালিহীন ১১৬৪,মিশকাতুল মাসাবিহ ১৩৫৮)

আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ আলোচ্য হাদীসে ইমামের বসা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, খুতবার জন্য মিম্বারে আরোহণ করা। আর আলোচ্য সংক্ষিপ্ত মহামূল্যবান সময়টা খুতবার জন্য ইমামের মিম্বারে আরোহণ করা থেকে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ হওয়ার মাঝামাঝি সময়, তবে এর দ্বারা পূর্ণ এ সময় উদ্দেশ্য নয়। বরং তা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথার আলোকেই যে স্বল্প সময়ের কথা অতিবাহিত হয়েছে তাই, আর তা হলো অতি সামান্য সময়। এখানে সময়টা উল্লেখ করার দ্বারা উপকারিতা হলো নিশ্চয় সেটা আলোচ্য সময়ের মধ্য সীমাবদ্ধ থাকবে। সেটার শুরু হবে খুতবার শুরু থেকে এবং সেটার শেষ হবে সালাতের শেষ পর্যন্ত।

(অর্থাৎ এ সময়ের মধ্যেই উক্ত সংক্ষিপ্ত সময়টুকু অতিবাহিত হবে।)

একটি হাদীসে জুময়ার নামাক হতে সালাম ফিরানোর আগ পর্যন্ত এ সময়ের মাঝেই সেই দোয়া কবুলের মুহুর্তটি আছে।
যেমন,

حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي الْجُمُعَةِ سَاعَةً لاَ يَسْأَلُ اللَّهَ الْعَبْدُ فِيهَا شَيْئًا إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ إِيَّاهُ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَّةُ سَاعَةٍ هِيَ قَالَ " حِينَ تُقَامُ الصَّلاَةُ إِلَى الاِنْصِرَافِ مِنْهَا "

যিয়াদ ইবনু আয়্যূব আল-বাগদাদী (রহঃ) ..... আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ জুমুআর দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে। কোন বান্দা যদি সেই মুহূর্তে আল্লাহর কাছে কিছু দু’আ করে, তবে অবশ্যই তিনি তার দু’আ বাস্তবায়িত করেন। সাহাবীগণ আরয করলেন : হে আল্লাহর রাসূল! কোনটি এই মুহূর্ত? তিনি বললেনঃ জুমুআর ইকামতে সালাত (নামায/নামাজ) থেকে নিয়ে তা শেষ হওয়া পর্যন্ত। - ইবনু মাজাহ ১৩৮৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৯০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(০৩)
কেবলার দিক নামাজ পড়লে ধাক্কা দেয়ার মত অবস্থা হলেও কেবলার দিক হয়েই নামাজ পড়তে হবে।
অন্যদিক হয়ে নামাজ পড়ার সুযোগ নেই।

এক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে পারেন,বা অন্য সীটে যেতে পারেন।
বা যাত্রীও সুপার ভাইজার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...