আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম। সম্মানিত জনাব,
একজন নারীর ক্ষেত্রে মাহরাম ছাড়া সৌদি আরবের ইউনিভার্সিটিগুলোতে পড়াটা কি জায়েজ হবে? আমি লন্ডন আমেরিকার কথা বলছি না,এগুলোর প্রতি আমার কোনো লোভও নেই, আমি রাসূলের দেশের কথা বলছি।আমার কোনো মাহরাম ওই দেশে নাই আর সাথে যাওয়ার মতোও আপাতত কেউ নাই। সৌদি আরবে তো অনুমতি দিয়েছে নারীরা মাহরাম ছাড়া যেতে পারবে, অবশ্য কোনো দেশের আইনে তো ইসলাম চলে না।
ডক্টর খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. এর একটা আলোচনায় শুনেছি সম্পূর্ণ পর্দা  এবং নারীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলে নাকি মাহরাম ছাড়া অবস্থান করা যাবে।শুনেছি সেখানকার ইউনিভার্সিটি পরিবেশ নিরাপদ নারীদের জন্য এবং সহশিক্ষাও নেই। স্কলারশিপ স্টুডেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে। শুনছি ওখানকার ভার্সিটিগুলোই নারীদের ক্যাম্পাসও আলাদা, এমনকি তাদের ক্যাম্পাসক্যাম্পাসের তীরসীমানায়ও পুরুষদের দেখা যায় না। তাই আমার ধারণা ওখানে অবস্থান করে দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করতে পর্দা এবং নিরাপত্তার কোনো অসুবিধা হবে না ইনশাআল্লাহ।  কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে ওখানে যাওয়া পর্যন্ত সফরসঙ্গী কি আবশ্যক?
হাদীসে তো বলা আছে ৩ দিন পরিমাণ দূরত্ব হলে সফরসঙ্গী হিসেবে মাহরাম লাগবে। কেউ কেউ বলেন এখন তো ৩ দিন লাগে না, ৩ ঘন্টায় যাওয়া যায় আর তাছাড়া এয়ারলাইন্সও নিরাপদ।
এজন্য জানতে চাচ্ছি শরীয়াহ কি এ ব্যাপারে কিছুটা ছাড় দিবে?
একদিকে প্রচন্ড ইচ্ছে আর অন্যদিকে মাহরাম ছাড়া সফর নিয়ে দ্বিধা।
রাসূল ﷺ এর দেশের জন্য লোভ হয়, যদি ক্ষেত্রবিশেষে শরীয়ার অনুমতি থাকতো। আমার পরিস্থিতিও ভিন্ন, আমি সহশিক্ষা ছেড়ে দিয়েছি। এবং আশা আছে আমার ছোট ভাইকে দুই বছর পর মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন দেওয়াবো। তাই যদি সফরসঙ্গী ছাড়া গোনাহগার না হই, তবে রাসূল ﷺ এর দেশে যেতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


কোনো নারীর জন্য দুরবর্তি সফর (৭৮ কিলোমিটার)  মাহরাম পুরুষ ছাড়া সফর করা জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اكْتُتِبْتُ فِىْ غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِىْ حَاجَّةً قَالَ: اِذْهَبْ فَاحْجُجْ مَعَ اِمْرَأَتِكَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

 [‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ/হজ করো।

সহীহ : বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ مُسْلِمَةٍ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ لَيْلَةٍ، إِلَّا وَمَعَهَا رَجُلٌ ذُو حُرْمَةٍ مِنْهَا

আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মুসলিম নারীর জন্য সাথে মাহরাম (যার সাথে বিবাহ হারাম এমন আত্মীয়) ছাড়া এক রাতের রাস্তা সফর করা বৈধ নয়।
(আবু দাউদ ১৭২৩)

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মাহরাম পুরুষ ছাড়া সৌদি আরবে যাওয়া জায়েজ হবেনা।
এতে আপনার গুনাহ হবে। 

এক্ষেত্রে কোনো মাহরাম পুরুষ সেখানে আপনাকে রেখে আসলে এবং সেখানের থাকা খাওয়া পড়াশোনা সব ক্ষেত্রেই নিরাপদ হলে ফিতনার আশংকা না থাকলে আপনি প্রশ্নের বিবরণ মতে সেখানে লেখাপড়া করতে পারবেন।

তবে এ দেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়া আসার সময় মাহরাম পুরুষ থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...