আসসালামু আলাইকুম। সম্মানিত জনাব,
একজন নারীর ক্ষেত্রে মাহরাম ছাড়া সৌদি আরবের ইউনিভার্সিটিগুলোতে পড়াটা কি জায়েজ হবে? আমি লন্ডন আমেরিকার কথা বলছি না,এগুলোর প্রতি আমার কোনো লোভও নেই, আমি রাসূলের দেশের কথা বলছি।আমার কোনো মাহরাম ওই দেশে নাই আর সাথে যাওয়ার মতোও আপাতত কেউ নাই। সৌদি আরবে তো অনুমতি দিয়েছে নারীরা মাহরাম ছাড়া যেতে পারবে, অবশ্য কোনো দেশের আইনে তো ইসলাম চলে না।
ডক্টর খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. এর একটা আলোচনায় শুনেছি সম্পূর্ণ পর্দা এবং নারীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলে নাকি মাহরাম ছাড়া অবস্থান করা যাবে।শুনেছি সেখানকার ইউনিভার্সিটি পরিবেশ নিরাপদ নারীদের জন্য এবং সহশিক্ষাও নেই। স্কলারশিপ স্টুডেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে। শুনছি ওখানকার ভার্সিটিগুলোই নারীদের ক্যাম্পাসও আলাদা, এমনকি তাদের ক্যাম্পাসক্যাম্পাসের তীরসীমানায়ও পুরুষদের দেখা যায় না। তাই আমার ধারণা ওখানে অবস্থান করে দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করতে পর্দা এবং নিরাপত্তার কোনো অসুবিধা হবে না ইনশাআল্লাহ। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে ওখানে যাওয়া পর্যন্ত সফরসঙ্গী কি আবশ্যক?
হাদীসে তো বলা আছে ৩ দিন পরিমাণ দূরত্ব হলে সফরসঙ্গী হিসেবে মাহরাম লাগবে। কেউ কেউ বলেন এখন তো ৩ দিন লাগে না, ৩ ঘন্টায় যাওয়া যায় আর তাছাড়া এয়ারলাইন্সও নিরাপদ।
এজন্য জানতে চাচ্ছি শরীয়াহ কি এ ব্যাপারে কিছুটা ছাড় দিবে?
একদিকে প্রচন্ড ইচ্ছে আর অন্যদিকে মাহরাম ছাড়া সফর নিয়ে দ্বিধা।
রাসূল ﷺ এর দেশের জন্য লোভ হয়, যদি ক্ষেত্রবিশেষে শরীয়ার অনুমতি থাকতো। আমার পরিস্থিতিও ভিন্ন, আমি সহশিক্ষা ছেড়ে দিয়েছি। এবং আশা আছে আমার ছোট ভাইকে দুই বছর পর মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন দেওয়াবো। তাই যদি সফরসঙ্গী ছাড়া গোনাহগার না হই, তবে রাসূল ﷺ এর দেশে যেতে চাই।