বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن عائشة، قالت: قال النبي صلى الله عليه وسلم: «إذا أحدث أحدكم في صلاته فليأخذ بأنفه، ثم لينصرف»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি তোমাদের কারো নামাযে অজু চলে যায়,তাহলে সে যেন নিজ নাকে ধরে নামায ভেঙ্গে অজুর জন্য চলে যায়।(সুনানু আবি দাউদ-১১১৪)
নামাযে যদি কারো অজু ভঙ্গ হয়ে যায়,এবং ঐ ব্যক্তি যদি প্রথম কাতারে থাকে,তাহলে তিনি প্রত্যেক দুই ব্যক্তির মধ্যখানে ফাক সৃষ্টি করে তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে অজু করতে চলে যাবেন।কিংবা যদি সামন দিক দিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে,তাহলে তিনি সামন দিক দিয়ে যাবেন।এক্ষেত্রে অনেককে ডিঙ্গিয়ে যাওয়ার রুখসত রয়েছে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।কেননা এগুলো নিজের নামাযকে সংশোধন করার নিমিত্তেই করা হচ্ছে।যদি নামাযের কাতার থেকে বাহির হওয়ার কোনো সুযোগ না থাকে,বা কাতার সংখ্যায় অনেক থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় বিধান হল,ঐ ব্যক্তি নামাযকে পরিত্যাগ করে আপন স্থানে বসে থাকবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৬/৫৭৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
নামাজ পড়ার সময় যদি অজু চলে যায় তাহলে নামাজ কন্টিনিউ করলে, তার ঈমান চলে যাবে না। তবে বিনা অজুতে নামায পড়াকে হালাল মনে করলে, তখন ঈমান থাকবে না।
(২) বিনা অজুতে পড়ে নেওয়া নামাযকে অবশ্যই আবার দোহড়াতে হবে।
(৩)
যতক্ষণ না নিশ্চিতভাবে মনে হচ্ছে যে, অজু ভঙ্গ হয়েছে, ততক্ষণ অজু করা লাগবে না।
(৪)
প্যান্টের যেই জায়গায় নাপাকি ছিল, সেই জায়গা যদি এক দিরহাম থেকে বেশী হয়, তাহলে সেই জায়গাকে ধৌত করা ব্যতিত নামায হবে না। আর যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে ধৌত না করলেও নামায হয়ে যাবে।
(৫)
আপনার গোনাহ হবে না।তবে ভবিষ্যতে এমন জোড়াজোড়ি আর করবেন না।