আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (31 points)
edited by

এলিয়েন কি অাসলেই অাছে নাকি নেই

এলিয়েন সম্পকে অাছে কি নেই তা ত জানি না। নেট এ সার্চ দিয়েও শিউর হতে পারি নি।  যদি মনে করতাম অাছে বা নেই। মানে না জেনে ভুল ধারণা পোষণ করতাম ও তা নিয়ে নানা অালোচনা করতাম (কুরঅানে এর ব্যাখার জন্য নয় এমনি অালোচনা ) তবে কি সে কাফির তাকে অাবার ঈমান অানতে হয়

কাউকে এলিয়েন বলি সাধারণত তার ভাল দক্ষতা বা গুণ বুঝাতে  এর ফলে কি ঈমানে কোন সমস্যা হয়।

কারও চলাফেরা হিন্দুদের মত। হিন্দু কি মুসলমান জানি না কিন্তু দেখে,চালচলনে হিন্দু মনে হয় তাকে কি হিন্দু বলতে পারব কারণ সবাইকে ত অার জিজ্ঞেস করা যায় না সে কি হিন্দু নাকি মুসলমান।
অার তার মুসলমান হওয়ার কথা না, বুঝা যায় না যে সে মুসলমান  তবুও যদি সে মুসলমান হয় তাই তাকে ধারণার ভিওিতে তবে হিন্দু বলার ফলে কি নিজে কাফের হয়ে যায়।

যত দোষ নন্দঘোষে এই কথাটা অামারদের সমাজে প্রচলিতে। এতে নিজেকে হিন্দু বলার উদ্দেশ্য  থাকে না। নন্দঘোষ বলতে অাবার  নিজেকেই উদ্দেশ্য করা হয়।এই কথা বলার অাসল মানে থাকে যে সব দোষই অামার, না। এইরকম। এই কথা বলার ফলে কি কেউ কাফের হয়ে যায়

অামি তোমাকে সবটুকু দিয়ে ভালবাসি,তুমি অামার জান, তোমাকে ছাড়া বাচব না অাকীদা ঠিক রেখে কি এই কথা বললে কেউ কাফের হয়ে যায়।

একজন হিন্দু একটি হালাল পোষাক পরেছে বা ফ্যাশন করেছে অামার ভাল লাগল এখন তার দেখাদেখি অামি সেই পোষাকটি পড়ি বা ফ্যাশনটি করি তবে কি কোন সমস্যা হবে


 ক

নিয়ত সহীহ রেখে ফ্যাশন এর জন্য টাই পড়া কি জায়েজ



লুঙ্গী ও মহিলাদের সালোয়ার  নিয়ে মজা করলে কি ঈমান থাকে

বিধমীদের করা হালাল শিক্ষনীয় কাজ  কি অনুকরণ করা যাবে ।( সাধারণত যে কাজ গুলো তাদের থেকে ব্যতিএম করা সম্ভব হয় না।)
১০
সমাজের অবক্ষয় সম্পকে নিজেরা অালোচনা করলে কি গীবত হয় ( অালোচনার কেউ ই সেই অন্যায় প্রতিরোধ করতে পারবে না শুধু অালোচনা করা)
১১
সরকার এর অন্যায় সম্পকে দ্রব্যমূল্যর দাম বৃদ্ধি,অপরাদ ইত্যাদি অালোচনা করলে কি গীবত হয়( অালোচনার কেউ ই সেই অন্যায় প্রতিরোধ করতে পারবে না শুধু অালোচনা করা)
১২

অাপনাদের কাছ থেকে নানা জিনিশ জানি তার উপর ভিওি করে বিভিন্ন ফতোয়ার মত বললে  । যেমন কেউ বলল ভুলে একটা কুফরি কথা বলে ফেলছি, তাকে বললাম ভুলে বললে কোন সমস্যা হয় না। অারকি যে বিষয়গুলো অাপনাদের কাছ থেকে জেনেছি সেগুলো এইভাবে বললেও কি গুণাহ হবে।

নিজে নিজে অাপনাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান র ভিওিতে এইসব ছোট খাটো বিষয় (ক তে উদাহরণ দিয়েছি) নিজেকে নিজে ফতোয়ার মত দিয়ে  অামল করলে কি সমস্যা হবে। কারণ অামি ওয়াসওয়াস রোগি প্রশ্ন করলে দিনে ৫০ টা প্রশ্ন করলেও শেষ হবে না।



বিবর্তন বাদ  কুফরি তা না জেনে কেউ বিবতনবাদ বিশ্বাস করলে কি কাফের হয়ে যায়।
১৩
 মনে কুফরি নিয়তের ওয়াসওয়াস অাসে এর ফলে সে হেসে দেয়। হেসে দেওয়া দ্বারা সে সময় কুফরি সমথন ও করে না সে, বাস্তবে সে মুসলমান থাকতে চায় শয়তানের ওয়াসওয়াস এর ফলে এই রকম হয়েছে তার । তবে কি কাফের হয়ে যাবে।
১৪
 কুসংস্কার বিশ্বাস করা শিরক সে জানে ও এর ফলে কুসংস্কার বিশ্বাস করে না কিন্তু মাঝে মাঝে  ফাইজলামি করে বলে। যেমন বন্ধুকে বলল তুই একটা কুফা অাইলি অার কারেন্ট টা গেল। এর ফলে কি কাফের হয়ে যায়
১৫
কেউ জানে বাক্যটা কুফরি কিন্তু বলার সময় খেয়াল ছিল না বাক্যটা কুফরি। পরে মনে পড়ার বা বুঝার  সাথে সাথে তওবা করে। এতে কি সে কাফের হয়ে যায়।
১৬
হিজাবকে অপমান করার উদ্দেশ্য ছিল না, বিরক্তির কারণে ধরেন বার বার খুলে যাচ্ছে তাই বলে, ছাতা ডা বার বার খুলে যাচ্ছে বলে বিরক্তি প্রকাশ করে । এই ঘটনায় জন্য কি সে কাফের হয়ে যায়।

১৭কালো জাদু করে মানুষ ও মেরে ফেলে এই কথায় কি শিরক হয়

১৮
হুজুর অাজান দিচ্ছে খেলা দেখছি, নামাজ হচ্ছে সিনেমা দেখছি। নামাজের সময় চলে যাচ্ছে বলছি হয়ত একদিন থেকে পড়ব। কিন্তু নামাজ সহ অাল্লাহর ফরজ বিধান সবচেয়ে দামি ও গুরুত্বপূর্ণ  ইবাদত বিশ্বাস ও স্কীকার করি কোন অবমাননা করি না। দুনিয়াবী সবকিছুর চেয়ে উওম বলি।
এর ফলেও কি ভালবাসায় শিরক হয়

1 Answer

0 votes
by (682,000 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-

وَ لِلّٰہِ یَسۡجُدُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ مِنۡ دَآبَّۃٍ وَّ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ ہُمۡ لَا یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ ﴿۴۹﴾ 

 ‘আসমান ও যমীনে যত প্রাণী আছে, সবই আল্লাহকে সিজদা করে এবং ফেরেশতাগণ। আর তারা অহংকার করে না’ (নাহল ৪৯)। 

তিনি আরো ইরশাদ করেন, 

تُسَبِّحُ لَہُ السَّمٰوٰتُ السَّبۡعُ وَ الۡاَرۡضُ وَ مَنۡ فِیۡہِنَّ ؕ وَ اِنۡ مِّنۡ شَیۡءٍ اِلَّا یُسَبِّحُ بِحَمۡدِہٖ وَ لٰکِنۡ لَّا تَفۡقَہُوۡنَ تَسۡبِیۡحَہُمۡ ؕ اِنَّہٗ کَانَ حَلِیۡمًا غَفُوۡرًا ﴿۴۴﴾ 

সাত আসমান ও যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যবর্তী সবকিছু তাঁরই পবিত্রতা ঘোষণা করে। আর এমন কিছু নেই যা তার প্রশংসাসহ মহিমা ঘোষণা করে না। কিন্তু তাদের পবিত্রতা বর্ণনা তোমরা বুঝতে পারো না। নিশ্চয়ই তিনি অতীব সহনশীল ও ক্ষমাপরায়ণ (সুরা ইসরা ৪৪)। 

তিনি আরো বলেন, 

وَ مِنۡ اٰیٰتِہٖ خَلۡقُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَثَّ فِیۡہِمَا مِنۡ دَآبَّۃٍ ؕ وَ ہُوَ عَلٰی جَمۡعِہِمۡ اِذَا یَشَآءُ قَدِیۡرٌ ﴿۲۹﴾ 

তাঁর নিদর্শন সমূহের অন্যতম হ’ল নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে যে সকল জীবজন্তু তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন। আর তিনি যখনই ইচ্ছা এগুলিকে (ক্বিয়ামতের দিন) জমা করতে সক্ষম’ (সুরা শূরা ২৯)। 

উক্ত আয়াতগুলো থেকে অনুমিত হয় যে, আসমানে ফেরেশতা ছাড়াও অন্য সৃষ্টি রয়েছে।
পৃথিবী ছাড়াও অন্যত্র জীবনের অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব নয়।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এলিয়েনের অস্তিত্ব সম্পর্কে অনেকেই মত ও প্রমান পেশ করেছেন।
এটি যদি বাস্তবে সঠিক হয়,তাতে কোনো সমস্যা নেই।

কেননা পৃথিবী ছাড়াও অন্যত্র জীবনের অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব নয়।

(০২)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এতে কাফের হবেনা।
তবে এই ব্যাপারে হাদীসে কঠিন ধমক থাকার কারনে না জেনে কাহারো ব্যাপারে এমনটি বলা যাবেনা।

(০৫)
এই কথা বলার ফলে কেউ কাফের হয়ে যায়না।

(০৬)
এতে কেউ কাফের হবেনা।

(০৭)
এটি যদি হিন্দুদের সাদৃশ্য রাখে,এমন পোশাক হয়,যাহা সাধারণত মুসলিম গন পরিধান করেনা,তাহলে সাদৃশ্য হবেনা।

নতুবা গুনাহ হবে।

(০৮)
ক, জায়েজ নেই।

খ, ঈমান চলে যাবেনা।

(০৯)
হ্যাঁ অনুকরণ করা যাবে।
তবে কোনো কাজ সম্পর্কে ইসলামী স্কলারগন অনুকরণ করতে নিষেধ করলে সেগুলোর অনুকরণ করা যাবেনা।

(১০)
এভাবে সমাজ পরিবর্তন এর নিয়তে আলোচনা করা যাবে।

(১১)
এভাবে আলোচনা, প্রতিবাদ জায়েজ আছে।

(১২)
ক, আপনি বলবেন যে এটা আমি মুফতী সাহেব থেকে জেনেছি।

খ, যেটা সঠিক জানেন,সেটি সেভাবেই আমল করতে পারবেন।

বাকি বিষয় গুলোর জন্য আহকামে জিন্দেগী পড়ে আমল করতে পারেন।
অতিরিক্ত কোনো প্রশ্ন করবেননা,যাহা সেখানে (সেই গ্রন্থে) আছে,তাহা মেনে চলার চেষ্টা করবেন।

গ, মুসলমান বলতেই তো সকলেই জানে যে সর্ব প্রথম মানুষ  আদম আঃ কে আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন,তার থেকে পরবর্তীতে এভাবে নারী পুরুষ এর মিলনের মাধ্যমে বীর্য থেকে আল্লাহ তায়ালা অন্যান্য মানুষদেরকে সৃষ্টি করেছেন।

সুতরাং এটি জানার পরেও কেউ বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করলে তার ঈমান চলে যাবে।


(১৩)
এতে সে কাফের হবেনা।

(১৪)
এতে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।

(১৫)
এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(১৬)
এ ঘটনায় সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(১৭)
এ কথায় শিরক হয়না।

(১৮)
এতে শিরক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (31 points)
হুজুর ১৭ ও ১৮ নাম্বার টা পরে অ্যাড করেছি দয়া করে উওর দিয়ে চিন্তা মুক্ত হতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লা। অামি অাপনাদের যত কম জ্বালাতন করতে পারি তত অামার ও ভাল লাগে। কিন্তু ওয়াসওয়াস অনেক বড় সমস্যা। অাশা করি রাগ করবেন না  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...