আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামুয়ালাইকুম।  হুজুর আমার কিছু প্রশ্ন আছে। আমি যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি (১৩-১৪-১৫ বছর বয়স সম্ভাবত,সঠিক মনে নেই কিন্তু এর মধ্যে হওয়ার কথা) তখন আমি বন্ধু দের পাল্লায় পরে অশ্লিল গল্প পড়তাম। এ কারনে আমার মনে উল্টাপাল্টা বিষয়ে আগ্রহ জন্মায় বা করতে ইচ্ছা করে। আমার তখন ইসলামের জ্ঞান কম ছিলো। জিনা ব্যাভিচার শব্দ জানতাম না কিন্তু অশ্লিল গল্প পড়ার কারনে এসব কাজ করতে মান চাইতো। এগুলো এতো বড় অন্যায় বা গুনাহ জানলে কখনোই এগুলা করতাম না। একদিন আমি আমার আম্মুর সাথে শুই। তখন আম্মুকে নিয়ে জঘন্য সব কল্পনা করি( সহবাসের / কামভাবের জাগ্রত হয়েছিল)। একপর্যায়ে আমি আমার আম্মুকে পেটে /বুকে হাত দিয়ে জড়াই ধরি। আমি হুরমত সমন্ধে জানতাম না। ওই বয়সে এগুলা জানারো কথা না। আম্মুর গায়ে (সাধারনত সবসময় মায়ের বয়সিরা যেসব ধরনের জামা পরে) থ্রি পিস ছিলো সম্ভাবত। উষনতা ছিল কিনা সঠিক মনে নেই। একবার মনে হয় হয়তো ছিল আবার মনে হয় হয়তো ছিলো না। আবার মনে হয় গায়ে আমি হাত দেই ই নি আবার মনে হয় গায়ের সাথে গা লাগায়ে রাখছিলাম।

১-এখন আমার আম্মুর সাথে কি হুরমত হয়েছে?

২-পুরা ঘটনায় কি ঘটেছিলো যদি সামান্য কোনো বিষয়ে সন্দেহ আসে, তবে কি হুরমত হবে?

৩-সন্দেহ না হলে উক্ত প্রেক্ষিতে কি হুরমত হবে?

হুজুর আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। আত্ততহত্হতা করতে মন চায় মাঝে মাঝে। আমার জন্য কি আমার বাবা মা এত্তো গুনাগার হবে? হুজুর, আমি তওবা করেছি যে ওগুলা করবোনা বা ভাববো না। হুজুর অল্প বয়স ছিলো, অতো জ্ঞান ছিলো না। আর বুঝিনি বিষয়টা এতোটা ভয়াবহ।  হুজুর আমাকে সঠিক উত্তর দিন।

1 Answer

0 votes
by (719,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"উষ্ণতা ছিল কি না সঠিক মনে নেই। একবার মনে হয় হয়তো ছিল আবার মনে হয় হয়তো ছিলো না। আবার মনে হয়, গায়ে আমি হাত দেইনি আবার মনে হয় গায়ের সাথে গা লাগায়ে রাখছিলাম।"

আপনার বিবরণ মতে আপনার পূর্ণ সন্দেহ রয়েছে, বিধায় আপনার মায়ের সাথে আপনার হুরমত হবে না। তাই আপনার মা বাবার মধ্যকার বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...