আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।

১। নামাজ পড়ার সময় যদি অজু চলে যায় তাহলে নামাজ কন্টিনিউ করলে কি ঈমান চলে যাবে??  অনেক সময় লজ্জার কারণে নামাজ ছেড়ে যেতে পারি না।  এখন আমার করনীয় কি?
২। এই নামাজ কি আবার পড়া লাগবে??
৩। নামাজ পড়ার সময় প্রায় মনে হয় অজু মনে হয় ভেঙগে গেছে কিন্তুু অজু আসলে ভেঙগে গেছে কিনা সিউর বলতে পারি না, এই সময় আমার কি করা উচিত???

৪।  আমার এক বন্ধু কে প্রায় বলি নামাজ পড়ার জন্য ও বলে ওর নাকি  প্যান্ট নষ্ট এজন্য নামাজ পড়ে না আজকে ওরে জোর করে ধরে নামাজ পড়াতে নিয়ে গেছি বলছি, প্যান্ট এর কিছু অংশ পানি দিয়ে ৩ বার ধুয়ে নিতে, এতে করে ও এভাবে নামাজ পড়লে কি নামাজ হবে???
৫। ও যেহেতু পাক ছিল না ওকে জোর করে নামাজ পড়িয়েছি এতে করে কি আমার কোন গুনাহ হবে???

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن عائشة، قالت: قال النبي صلى الله عليه وسلم: «إذا أحدث أحدكم في صلاته فليأخذ بأنفه، ثم لينصرف»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি তোমাদের কারো নামাযে অজু চলে যায়,তাহলে সে যেন নিজ নাকে ধরে নামায ভেঙ্গে অজুর জন্য চলে যায়।(সুনানু আবি দাউদ-১১১৪)

নামাযে যদি কারো অজু ভঙ্গ হয়ে যায়,এবং ঐ ব্যক্তি যদি প্রথম কাতারে থাকে,তাহলে তিনি প্রত্যেক দুই ব্যক্তির মধ্যখানে ফাক সৃষ্টি করে তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে অজু করতে চলে যাবেন।কিংবা যদি সামন দিক দিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে,তাহলে তিনি সামন দিক দিয়ে যাবেন।এক্ষেত্রে অনেককে ডিঙ্গিয়ে যাওয়ার রুখসত রয়েছে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।কেননা এগুলো নিজের নামাযকে সংশোধন করার নিমিত্তেই করা হচ্ছে।যদি নামাযের কাতার থেকে বাহির হওয়ার কোনো সুযোগ না থাকে,বা কাতার সংখ্যায় অনেক থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় বিধান হল,ঐ ব্যক্তি নামাযকে পরিত্যাগ করে আপন স্থানে বসে থাকবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৬/৫৭৯)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4709

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
নামাজ পড়ার সময় যদি অজু চলে যায় তাহলে নামাজ কন্টিনিউ করলে, তার ঈমান চলে যাবে না। তবে বিনা অজুতে নামায পড়াকে হালাল মনে করলে, তখন ঈমান থাকবে না।

(২) বিনা অজুতে পড়ে নেওয়া নামাযকে অবশ্যই আবার দোহড়াতে হবে।

(৩)
যতক্ষণ না নিশ্চিতভাবে মনে হচ্ছে যে, অজু ভঙ্গ হয়েছে, ততক্ষণ অজু করা লাগবে না।

(৪)
প্যান্টের যেই জায়গায় নাপাকি ছিল, সেই জায়গা যদি এক দিরহাম থেকে বেশী হয়, তাহলে সেই জায়গাকে ধৌত করা ব্যতিত নামায হবে না। আর যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে ধৌত না করলেও নামায হয়ে যাবে।

(৫)
আপনার গোনাহ হবে না।তবে ভবিষ্যতে এমন জোড়াজোড়ি আর করবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (721,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...