ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
টয়লেটে ফ্লাশ করলে বা পানি ঢেলে দিলে নাপাকি বা বর্জ্যটা সেখানে আর থাকেন না, কথাটা বিশুদ্ধ নয়।বরং ময়লা আবর্জনার কিছু না কিছু অংশ সেখানে থাকে।অন্ততপক্ষে দুর্গন্ধ তো থাকবেই।তাছাড়া যে স্থানে বর্জ্য নিষ্কাশন করা হবে বা যে স্থানকে বর্জন্য নিষ্কাশনের জন্য তৈরী করা হয়েছে,সে স্থান কখনো যিকরুল্লাহর উপযুক্ত হতে পারে না।সুতরাং টয়লেটে ময়লা আবর্জনার কিছু থাকুক বা নাই থাকুক,সর্বাবস্থায় টয়লেটে এবং প্রস্রাবের স্থানে যিকরুল্লাহ(আল্লাহর যিকির যেমন,বিসমিল্লাহ/দু'আ দুরুদ) করা যাবে না।
(২)অজুতে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত।বিসমিল্লাহ না বললেও অজু হবে।যে হাদীসে বিসমিল্লাহ না বললে অজু হবে না,বলা হচ্ছে,সেই হাদীসের অর্থ হল,বিসমিল্লাহ না বললে অজুর পূর্ণতা হবে না।অজুর পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না।অজু যে হবেই না,বিষয়টা আসলে এমন নয়।
কেউ বাথরুমে ওজু করলে ওজুর দু'আ পড়তে হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.
যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)
তাই বুঝা গেল যে,প্রথমত বাথরুমে ওজু না করাই উত্তম,তবে ওজু করাও জায়েয।অন্যদিকে বাথরুমে ওজু করলে মাসনুন দু'আ সমুহ পড়া লাগবে না এবং পড়া যাবেও না।এমনকি আয়না দেখার দু'আ ও পড়া যাবে না।এ সম্পর্কে আরো জানুন-
1015
বাথরুমে অজু করার ইচ্ছা হলে,বাথরুমে ঢোকার পূর্বেই বিসমিল্লাহ বলে বাথরুমে ঢোকা হবে,তারপর বাথরুমের ভিতর অজুকে সম্পন্ন করে বের হয়ে অজুর আখেরি দু'আ পড়া হবে।