আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
353 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (-1 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

১/ সেকুলার শাসক কি মুসলিম?

২/ নামাজের মধ্যে ইমামের অযু ভেঙে গেলে তার করণীয় কি? বিনা অযুতে বাকি নামাজ আদায় করে নিলে মুক্তাদিদের নামাজ কি শুদ্ধ হবে?

৩/ স্ত্রীকে দুষ্টামি করে 'আপু' বললে কি স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে?

৪/ রোযা রাখা অবস্থায় স্ত্রী দুষ্টামি করে ইচ্ছাকৃতভাবে থুতু দিলে আর সেটা স্বামী ভুলে গিলে ফেললে কি রোযা ভেঙে যাবে?

৫/ পিরিয়ড অবস্থায় মেয়েরা কি কি আমল করতে পারবে?

৬/ ইসলামে নিলামের বৈধতা আছে কি?

৭/ চ্যাটগ্রুপে যদি একজন ছেলে আর একজন মেয়ে মজা করে প্রস্তাব আর ইজাব কবুল করে আর বাকি দুজন পুরুষ যদি এই ম্যাসেজগুলার সাক্ষী থাকে তবে তাদের বিয়ে হয়ে যাবে? (তালাকের ক্ষেত্রে তো ম্যাসেজে তালাক দিলেই হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও এমন হবে কিনা?)

৮/ যেসব ওয়াক্তে ইমাম উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করে না সেসব ওয়াক্তে ইমামের পিছনে মুক্তাদি অবস্থায় মনে মনে সূরা ফাতিহা পড়া যাবে কি?
৯/ সাহু সিজদার সঠিক পদ্ধতি কোনটা?

১০/ পুরুষদের কি রূপচর্চা করার বৈধতা আছে?

১১/ এমন নাশিদ যেখানে কোন বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নেই তবে সুর কোন জাহিলিয়্যাতি গানের হুবহু নকল করা। যেমনঃ অনেকে হলিউড/বলিউডের গানগুলার সুর নকল করে সেসব গানেরই বাদ্যযন্ত্র আর কিছু লাইন বাদ দিয়ে 'মুসলিম ভার্সন' বের করে। এগুলা শোনা কি জায়েজ?

১২/ দ্বীনদারিতার কারণে কোন ছেলে কোন মেয়েকে বা কোন মেয়ে কোন ছেলেকে দূর থেকে পছন্দ করতে পারবে?

১৩/ নখ কাটার সুন্নাতি নিয়ম কি?

১৪/ রেস্টুরেন্ট থেকে মাংস খাওয়ার বিধান কি? আমরা তো নিশ্চিত না যে তারা জবাই করার সময় বিসমিল্লাহ বলে কিনা! দারুল ইসলাম আর দারুল কুফরে এর হুকুম কি আলাদা হবে?

১৫/ একজন লোকের ১ম স্ত্রীর একটা মেয়ে হয়েছে। এরপর তালাক হয়ে গেল। তারপর সে আরেক জায়গায় বিয়ে করল সেখানে তার ২য় স্ত্রীর একটা ছেলে হইলো। এখন এই ২য় স্ত্রীর ছেলে কি ১ম স্ত্রীর মেয়ের মাহরাম হবে?

১৬/ একজন একটা পতিতার সাথে শারিরীক সম্পর্ক লিপ্ত হলো। তবে এসবের আগেই সে পতিতার সাথে ওয়াদাবদ্ধ হয়েছিলো যে কাজ শেষে টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু সে পতিতার পাওনা টাকা দিলো না। এজন্য জিনার গুনাহ বাদে তার ওয়াদার খেলাফ করার গুনাহ হবে?

১৭/ আমি যদ্দুর জানি কোন কাফিরকে সম্মান করা শিরক আল আসগার। তাহলে কলেজের যেসব টিচার কাফির তাদের সাথে কেমন ব্যবহার করতে হবে? কলেজের নিয়মে বাধ্য হয়ে 'স্যার' বলে সম্বোধন করলে গুনাহ হবে?

১৮/ কেউ প্রাণ নাশের ভয়ে কারো সাথে জিনা করে ফেললে তার হুকুম কি? তার উপর হদ কায়েম করা হবে?

১৯/ এমন কোন সেন্সিটিভ তথ্য যেটা প্রকাশ হয়ে গেলে মুসলিমদের ক্ষতি হয়ে যাবে। শত্রুদের হাত থেকে এমন তথ্য সংরক্ষণ করতে নিজেই নিজেকে হত্যা করার বৈধতা আছে?


২০/ আদর করে কাউকে খারাপ নামে ডাকা যাবে? যদি সে নিজেও জানে যে আদর করে তাকে এমন বিকৃত নামে ডাকা হচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)সেক্যুলার শাসকের অর্থ যদি হয়,যে শাসক কুরআন-হাদীসকে অস্বীকার করে,তাহলে এমন শাসক নিঃসন্দেহে কাফির।আর যদি সেক্যুলার শাসকের অর্থ হয়,কুরআন হাদীসকে স্বীকার করে,তবে বাস্তবায়ন করে না,তাহলে এমন শাসক ফাসিক।দেখুন আল্লাহ তা'আলা কিছু কিছু শাসকদেরকে একবার কাফির এবং একবার ফাসিক বলে সম্ভোধন করেছেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺤْﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮُﻭﻥ
যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।(সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪৪)
ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺤْﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﺃﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤُﻮﻥَ
যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম।(সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪৫)
ﻭَﺃَﻥِ ﺍﺣْﻜُﻢ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢ ﺑِﻤَﺂ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻭَﻻَ ﺗَﺘَّﺒِﻊْ ﺃَﻫْﻮَﺍﺀﻫُﻢْ ﻭَﺍﺣْﺬَﺭْﻫُﻢْ ﺃَﻥ ﻳَﻔْﺘِﻨُﻮﻙَ ﻋَﻦ ﺑَﻌْﺾِ ﻣَﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ
আর আমি আদেশ করছি যে, আপনি তাদের পারস্পরিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী ফয়সালা করুন; তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না এবং তাদের থেকে সতর্ক থাকুন-যেন তারা আপনাকে এমন কোন নির্দেশ থেকে বিচ্যুত না করে, যা আল্লাহ আপনার প্রতি নাযিল করেছেন।(সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪৯)
 ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺤْﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻔَﺎﺳِﻘُﻮﻥَ
যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।(সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪)

(২)নামাযের মধ্যে ইমামের অজু ভেঙ্গে গেলে,তিনি একজন নায়েব বা প্রতিনিধি ঠিক করে অজু করতে চলে যাবেন।কিন্তু যদি তিনি বিনা অজুতে নামায পড়ান,তাহলে কারোরই নামায হবে না।

(৩)স্ত্রীকে দুষ্টামি করে 'আপু' বললে স্ত্রী হারাম হবে না।তবে মাহরামে আবদি(যাদের সাথে চিরস্থায়ী বিয়ে হারাম)যেমন, নিজ মা, বোন ইত্যাদির কোনো অঙ্গের সাথে তুলনা করলে, বিয়ে জিহার সাব্যস্ত হয়ে হারাম হয়ে যাবে।

(৪)রোযা রাখা অবস্থায় স্ত্রী দুষ্টামি করে ইচ্ছাকৃতভাবে থুতু দিলে আর সেটা স্বামী ভুলে গিলে ফেললে, অবশ্যই রোযা ভেঙে যাবে।যেহেতু স্বামী ভুলে গিলেছে,তাই শুধুমাত্র কা'যা আসবে,কাফফারা আসবে না।

(৫)পিরিয়ড অবস্থায় মেয়েরা নামায,রোযা, হজ্ব-উমরা এবং হানাফি ফিকহ অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত  ব্যতীত সকল তাসবিহ তাহলিল আদায় করতে পারবে।

(৬)ইসলামে নিলামের বৈধতা আছে।কাঠুরিয়ার কম্বলকে রাসূলুল্লাহ সাঃ নিলামে বিক্রি করেছিলেন।

(৭)বিবাহের জন্য সাক্ষী জরুরী।সাক্ষীদেরকে অবশ্যই স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে।তবে তালাকের জন্য স্বাক্ষীর কোনো প্রয়োজন নাই।সুতরাং মেসেজে বা গ্রুপ চ্যাটে বিয়ে হবে না,তবে তালাক হয়ে যাবে।

(৮)উচ্ছস্বরের নামায হোক বা নিম্নস্বরের নামায হোক,হানাফি ফিকহ অনুযায়ী মুক্তাদির জন্য কেরাত পড়া হারাম।হ্যা অন্যান্য মাযহাবে নিম্নস্বরের নামাযে মুক্তাদির জন্য অনুমোদন রয়েছে।

(৯)1837 নং ফাতাওয়ায় সাহু সিজদার সঠিক নিয়ম উল্লেখ করেছি যে, 
হযরত ছাওবান রাযি থেকে বর্ণিত 
عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لِكُلِّ سَهْوٍ سَجْدَتَانِ بَعْدَ مَايُسَلِّمُ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,প্রত্যেক ভুলের(তরকে ওয়াজিবের)সালামের পর জন্য দু'টি সেজদা রয়েছে।(সুনানু আবি-দাউদ-১০৩৮,বায়হাক্বী-২/৩৩৭)

উক্ত হাদীসে সালামের পর সেজদায়ে সাহুর কথা বলা হয়েছে।সালামের পর বলতে এক সালামের পর।কেননা দুই সালাম তো নামাযকে সমাপ্ত করে দেয়।আরো জানুন- 897

(১০)জ্বী রয়েছে।তবে নিজ স্ত্রীকে দেখানোর জন্য।বেগানা নারীকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্য থাকলে,তখন জায়েয হবে না।

(১১)না জায়েয হবে না।নাশিদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১৮৯৮

(১২)দ্বীনদারিত্বর কারণে বিবাহের জন্য দূর থেকে পছন্দ করা যায়।তবে বিবাহ বহির্ভূত কাউকে পছন্দ করা বা বিবাহের পূর্বে অন্তরে কামনানবাসনা রাখা বা কল্পনা করা কখনো জায়েয হবে না।

(১৩)আসুন জেনে নিই হাত-পায়ের নখ কাটার সুন্নত পদ্ধতি
১. সপ্তাহে একবার (হাত পায়ের) নখ কাটা সুন্নত। ২. শুক্রবার জুমার নামাযে যাওয়ার আগে নখ কাটা সুন্নত। সূত্র: শরহুস্ সুন্নাহ, হাদিস নং ৩০৯০ ও ৩০৯১।
হাতের নখ কাটার পদ্ধতি: উভয় হাত (মুনাজাতের আকৃতিতে ধরে) ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল থেকে আরম্ভ করে ধারাবাহিকভাবে বাম হাতের বৃ্দ্ধাঙ্গুলির নখ কেটে শেষ করা। অতঃপর সর্বশেষে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ কাটা। সূত্র: ফাতওয়ায়ে শামী, ৬: ৪০৬, ফাতওয়ায়ে আলমগীরী, ৫: ৩৫৮।
পায়ের নখ কাটার পদ্ধতি: ডান পায়ের কনিষ্ঠাঙ্গুলি থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে বাম পায়ের কনিষ্ঠাঙ্গুলির নখ কেটে শেষ করা।
বি. দ্র. ৩ ও ৪ নং এর বিষয়বস্তু সরাসরি হাদিসের কিতাবে না থাকলেও জুতা পরিধান ও জুতা খোলার হাদিসে যে কারণ দর্শানো হয়েছে সে কারণ এ পদ্ধতিতেও পাওয়া যায়, তাই সুন্নাতের আকিদা না রেখে আমল এরুপ করা ভাল। সূত্র: বুখারী শরীফ, হাদিস নং ৫৮৫৫,

(১৪)মুসলিম দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁ গুলোতে  গোশত খাওয়া জায়েয রয়েছে।এক্ষেত্রে সন্দেহ প্রবণতা পরিহার করা উচিত।মুসলমানকে এবং মুসলিম সমাজের মানুষকে বিশ্বাস করাই স্বাভাবিকতা। অবশ্য কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।
অন্যদিকে অমুসলিম রেস্তোরাঁ থেকে গোস্ত ভক্ষণ করতে হলে মালিককে জিজ্ঞাসা করতে হবে।সে যদি বলে ইসলামি ত্বরিকায় হালালভাবে যবেহ করা হয় নাই,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত গোশতকে ভক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু যদি সে বলে যে এটাকে হালাল ত্বরিকায় যবেহ করা হয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় করণীয় কি?সে সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,যদি কোনো মুশরিক দাবী করে যে তার কাছে  হালাল যবেহ করা গোস্ত রয়েছে। তাহলে সেটা খাওয়া জায়েয রয়েছে।(কিতাবুল ফাতাওয়া ৪/১৯৯)

আরো বর্ণিত রয়েছে,আবকে মাসাঈল -৭/২৯২জা'মেউল ফাতাওয়া-৩/১৩৭,বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-686


(১৫)জ্বী,মাহরাম হইবে।কেননা তারা পরস্পর সৎ ভাই।

(১৬)জ্বী, যিনার গোনাহ হবে,সাথে সাথে ওয়াদা ভঙ্গের গোনাহ হবে।মোটকথা যিনা,ধোকা ইত্যাদি সবকিছুরই গোনাহ হবে।

(১৭)না,গোনাহ হবে না।

(১৮)না,তার উপর হদ কায়েম হবে না।কেননা যথাসম্ভব জান বাঁচানো ফরয।

(১৯)ইসলাম ও মুসলমানদের স্বর্থ রক্ষার্থে নিজ জীবনকে বিলিয়ে দেওয়ার অনুমোদন ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।তবে এক্ষেত্রে আত্মহত্যার শরয়ী ব্যখ্যার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে-আত্মঘাতি দুই প্রকার যথা
(১) কাফিরদের মধ্যে ঢুকে তাদের উপর বোমা নিক্ষেপ করা,ফলাফল বোমায় নিক্ষেপকারীও মারা যাওয়া।এটা জায়েয।উহুদের যুদ্ধে রাসূল সাঃ এর শাহাদতের মিথ্যা সংবাদ শুনে আলী রাযি কাফিরদের মধ্যে একাই গিয়ে প্রবেশ করেছিলেন।
(২)নিজের শরীরে বোমা রেখে কাফিরদের মধ্যে ঢুকে বোমা ফোটানো।এটা নাজায়েয ও হারাম।
যথাসম্ভব প্রথম প্রকারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।প্রথম প্রকারের কোনো সুযোগ না থাকলে দ্বিতীয় প্রকারের রুখসত থাকবে।

(২০)কাউকে কটাক্ষ করার উদ্দেশ্যে খারাপ নামে ডাকা নাজায়েয ও হারাম।তবে আদর করে কাউকে খারাপ নামে ডাকা অনুচিৎ।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَرْ قَومٌ مِّن قَوْمٍ عَسَى أَن يَكُونُوا خَيْرًا مِّنْهُمْ وَلَا نِسَاء مِّن نِّسَاء عَسَى أَن يَكُنَّ خَيْرًا مِّنْهُنَّ وَلَا تَلْمِزُوا أَنفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوا بِالْأَلْقَابِ بِئْسَ الاِسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الْإِيمَانِ وَمَن لَّمْ يَتُبْ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম।(সূরা হুজুরাত-১১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 124 views
...