ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(ক)
উইকিপেডিয়ার তথ্যমতে কামাল উদ্দিন জাফরীর সম্পৃক্ততা 'বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী' এর সাথে।
(খ)
জুমার দিন খুতবার আগে বাংলা ওয়াজের সময় দুই রাকাত সুন্নত পড়া যাবে।
(গ)
তবে খুৎবার সময় সুন্নত পড়া যাবে না।
(ঘ)
হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত আছে যে,
وروي عن عبد الله بن مسعود: أنه كان يصلي قبل الجمعة أربعا، وبعدها أربعا.(ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 523 )
তিনি জুমুআহ এর পূর্বে ও পরে চার রাকাত নামায পড়তেন।(জামে তিরমিযি-৫২৩নং হাদীসের আলোচনায় বর্ণিত)
প্রকাশ থাকে যে,ইবনে মাসউদ রাযি এর উক্ত আ'মল নবীজী সা এর কাছ থেকে জেনেই করেছেন,কেননা গায়রে মা'ক্বুল(আ'কল গবেষনার উর্ধে কোনো) বিষয়ে কোনো সাহাবীর আ'মল হাদীসের মারফুর হুকমে হয়।তাই বুঝা গেল,হযরত ইবনে মাসউদ রাযি নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে এ বিষয়টা জেনেই করেছেন।এটা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আ'মল।ইবনে মাসউদ রাযি এর গবেষণা নয় যাতে ভূল ভ্রান্তির সমূহ সম্ভাবনা থাকতে পারে।
জুম্মাহর নামাযের আগের ও পরের সুন্নত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/4666
(ঙ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4666
(চ)
حدثنا سليمان بن شعيب، قال: ثنا عبد الرحمن بن زياد، قال: ثنا زهير بن معاوية، عن أبي إسحاق، قال: حدثني عبد الله بن أبي موسى، عن أبيه، حين دعاهم سعيد بن العاص، دعا أبا موسى، وحذيفة، وعبد الله بن مسعود رضي الله عنهم، قبل أن يصلي الغداة، ثم خرجوا من عنده وقد أقيمت الصلاة، فجلس عبد الله إلى أسطوانة من المسجد، فصلى الركعتين، ثم دخل في الصلاة.
এ ঘটনাটি আবু ইসহাক সাবেয়ী থেকে কিছু ভিন্নতার সাথে মুতাররিফ ইবনে তরীফ ও সুফিয়ান সাওরী রাহ.ও বর্ণনা করেছেন। মুতাররিফের বর্ণনায় এ কথাও আছে যে, আবু মূসা আশয়ারী রা. জামাতে শরীক হয়ে গেলেন। -দ্রষ্টব্য : মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ৪০২১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৬৪৭৬
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10062
(ছ)
জ্বী, এটা অবশ্যই ঠিক বলেছেন।
(জ)
তাওয়াতুর তথা অতীত থেকে আরবী খুৎবাহর নিয়ম চলে আসছে।সুতরাং এটাকে পরিত্যাগ করা যাবে না।এটা ইজতেহাদি বিষয়। সুতরাং উম্মাহর বিরাট অংশ যেই আ'মল করে আসছেন, সেটা করাই উচিৎ।
(ঝ)
হানাফিদের কেউ কেউ এই কিয়াস পেশ করেন।তবে এই কিয়াসি দলিল অকাট্য নয়।
(ঞ)
সাংবিধানিক আইন অনুসারে ওখানে সব পন্থার লোকদেরকেই প্রবেশের অনুমোদন রয়েছে।সে যে যখন সেখানে প্রবেশ করে,তার মতামতকেই বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করে।