আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
edited by

https://youtu.be/dmGIYQeOMAk
এর আলোকে কিছু প্রশ্ন, (উনি হানাফি কিন্তু অনেক জায়গায় মিলে না, ব্যাখ্যা চাই ভালো ভাবে)
জানার জন্য প্রশ্ন, রাগ করবেন না।

ক) কামালউদ্দীন জাফরি সাহেব কি হক? অনুসরণ করা যাবে?

খ) জুমার দিন খুতবার আগে বাংলা ওয়াজের সময় কি দুই রাকাত পড়া যাবে না? কেন এমন নিয়ম মানা লাগবে যেখানে বাংলা ওয়াজ খুতবার অংশ না।

গ) খুতবার সময়েও দুই রাকাত পড়া যাবে? তাঁর ব্যাখ্যা ঠিক? আমি পড়লে কি গুনাহ হবে? হানাফিতে তো পড়ি না৷

ঘ) জুমার আগে চার রাকাত কাবলাল জুমা নাই? উনি বলেছেন। হানাফিতে তো পড়ি।

ঙ) জুমার পরে মসজিদে পড়লে চার রাকাত, বাড়িতে পড়লে দুই রাকাত৷ এইটা ঠিক? হানাফিতে তো ছয় রাকাত পড়ি।

চ) ফজরের ফরয নামায শুরু হলে দুই রাকাত সুন্নাত না পড়ে ফরয এর জামাতে শরীক হতে হবে। এইটা কি ঠিক? উনি এইটাই বলেছেন।

ছ) মসজিদে লাল বাতি নাকি রাখা যাবে না। এইটা বলেছেন। তিনি বলেছেন,  মসজিদে ঢুকলেই দুই রাকাত যেটা পড়ি সেটা সবসময় পড়া যাবে৷

জ) তিনি বলেন, খুতবা আরবী ছাড়াও অন্য ভাষাতেও দেওয়া যাবে। সৌদি বিন বায ও উসাইমিন রহ. এর ফতোয়া হিসেবে ' খুতবা মানুষ বোঝে এইভাবে দেওয়া লাগবে। নাইলে জায়েয হবে না '।  তাহলে এই সহজ নিয়ম না মেনে কেন অতিরিক্ত বাংলা ওয়াজ এনে সে সময়ে নামায পড়াও মানা করা হচ্ছে?

ঝ) হানাফিতে মানে, জুমার নামায দুই রাকাত আর যোহর এর নামায চার রাকাত। দুই রাকাত কমে গেছে জুমাতে আর এইটা খুতবা দিয়ে কাভার হইছে। খুতবা সেজন্য আরবী তে হতে হবে নামায এর মত। উনি এর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, যা ভিডিও তে পাবেন।  কে ঠিক?

ঞ) বায়তুল মোকাররম মসজিদে কেন ঈদ এ মিলাদুন্নবী মাহফিল হয়? ওখানে কি মিলাদ কিয়াম হয়? কেন ওখানে কওমী নিয়ম কানুন মানা হয়না? নাকি ওখানে সব পন্থার লোকদেরকেই মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়?কফ

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(ক)
উইকিপেডিয়ার তথ্যমতে কামাল উদ্দিন জাফরীর সম্পৃক্ততা 'বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী' এর সাথে।

(খ)
জুমার দিন খুতবার আগে বাংলা ওয়াজের সময় দুই রাকাত সুন্নত পড়া যাবে।

(গ)
তবে খুৎবার সময় সুন্নত পড়া যাবে না।

(ঘ)
হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত আছে যে,
وروي عن عبد الله بن مسعود: أنه كان يصلي قبل الجمعة أربعا، وبعدها أربعا.(ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 523 )
তিনি জুমুআহ এর পূর্বে ও পরে চার রাকাত নামায পড়তেন।(জামে তিরমিযি-৫২৩নং হাদীসের আলোচনায় বর্ণিত)

প্রকাশ থাকে যে,ইবনে মাসউদ রাযি এর উক্ত আ'মল নবীজী সা এর কাছ থেকে জেনেই করেছেন,কেননা গায়রে মা'ক্বুল(আ'কল গবেষনার উর্ধে কোনো) বিষয়ে কোনো সাহাবীর আ'মল হাদীসের মারফুর হুকমে হয়।তাই বুঝা গেল,হযরত ইবনে মাসউদ রাযি নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে এ বিষয়টা জেনেই করেছেন।এটা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আ'মল।ইবনে মাসউদ রাযি এর গবেষণা নয় যাতে ভূল ভ্রান্তির সমূহ সম্ভাবনা থাকতে পারে।

জুম্মাহর নামাযের আগের ও পরের সুন্নত সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে  ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/4666

(ঙ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4666

(চ)
حدثنا سليمان بن شعيب، قال: ثنا عبد الرحمن بن زياد، قال: ثنا زهير بن معاوية، عن أبي إسحاق، قال: حدثني عبد الله بن أبي موسى، عن أبيه، حين دعاهم سعيد بن العاص، دعا أبا موسى، وحذيفة، وعبد الله بن مسعود رضي الله عنهم، قبل أن يصلي الغداة، ثم خرجوا من عنده وقد أقيمت الصلاة، فجلس عبد الله إلى أسطوانة من المسجد، فصلى الركعتين، ثم دخل في الصلاة.
এ ঘটনাটি আবু ইসহাক সাবেয়ী থেকে কিছু ভিন্নতার সাথে মুতাররিফ ইবনে তরীফ ও সুফিয়ান সাওরী রাহ.ও বর্ণনা করেছেন। মুতাররিফের বর্ণনায় এ কথাও আছে যে, আবু মূসা আশয়ারী রা. জামাতে শরীক হয়ে গেলেন। -দ্রষ্টব্য : মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ৪০২১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৬৪৭৬

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10062

(ছ)
জ্বী, এটা অবশ্যই ঠিক বলেছেন।

(জ)
তাওয়াতুর তথা অতীত থেকে আরবী খুৎবাহর নিয়ম চলে আসছে।সুতরাং এটাকে পরিত্যাগ করা যাবে না।এটা ইজতেহাদি বিষয়। সুতরাং উম্মাহর বিরাট অংশ যেই আ'মল করে আসছেন, সেটা করাই উচিৎ।

(ঝ)
হানাফিদের কেউ কেউ এই কিয়াস পেশ করেন।তবে এই কিয়াসি দলিল অকাট্য নয়।

(ঞ)
সাংবিধানিক আইন অনুসারে ওখানে সব পন্থার লোকদেরকেই প্রবেশের অনুমোদন রয়েছে।সে যে যখন সেখানে প্রবেশ করে,তার মতামতকেই বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...