জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ فَسَارَ لَيْلَةً حَتَّى إِذَا أَدْرَكَنَا الْكَرَى عَرَّسَ وَقَالَ لِبِلَالٍ " اكْلأْ لَنَا اللَّيْلَ " . قَالَ فَغَلَبَتْ بِلَالاً عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَلَمْ يَسْتَيْقِظِ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم وَلَا بِلَالٌ وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى إِذَا ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ فَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا فَفَزِعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا بِلَالُ " . فَقَالَ أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللهِ فَاقْتَادُوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا ثُمَّ تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم وَأَمَرَ بِلَالاً فَأَقَامَ لَهُمُ الصَّلَاةَ وَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ قَالَ " مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى قَالَ (أَقِمِ الصَّلَاةَ لِلذِّكْرَى) " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনের একরাতে বিরতিহীনভাবে সফর করতে থাকলে আমাদের ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। ফলে শেষ রাতে তিনি যাত্রা বিরতি করেন এবং বিলাল (রাঃ)-কে বলেনঃ তুমি জেগে থাকবে এবং রাতের দিকে লক্ষ্য রাখবে। কিন্তু বিলাল (রাঃ)-ও নিদ্রাকাতর হয়ে তার উটের সাথে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ফলশ্রুতিতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, বিলাল এবং তাঁর সাহাবীদের কারোরই ঘুম ভাঙ্গল না। অতঃপর সূর্যের তাপ তাদের গায়ে এসে পড়লে সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অস্থির হয়ে বললেনঃ কি হলো বিলাল! বিলাল বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! যে সত্তা আপনাকে অচেতন রেখেছেন, আমাকেও তিনিই অচেতন রেখেছেন। অতঃপর তারা নিজেদের বাহন নিয়ে কিছু দূর অগ্রসর হওয়ার পর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযু করলেন এবং বিলালকে নির্দেশ করলে বিলাল ইক্বামাত দিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকলকে নিয়ে ফজরের সলাত আদায় শেষে বললেনঃ কেউ সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই উক্ত সলাত আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘‘আমার স্মরণার্থে সলাত প্রতিষ্ঠা কর।’’ (সূরা ত্ব-হা ১৪)
(আবু দাউদ ৪৩৫)
বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি, সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না। কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত নামায কা'যা রয়েছে। তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না। সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।
যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকে, এবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার জিম্মায় বাকী থাকে, তাহলে কি সে সাহেবে তারতীব হবে?
এ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ কথা হল, ঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।
সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব। অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে। তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে। উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তি নামাজের নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতিত যেকোনো সময় সেই ৯ ওয়াক্তের নামাজের কাজা আদায় করতে পারবে।
পরবর্তী ওয়াক্তের ফরজ নামাজের আগেও কাজা আদায় করতে পারবে,ফরজ নামাজের পরেও কাজা আদায় করতে পারবে।
তবে উক্ত ব্যাক্তি যদি ইতিপূর্বে সাহেবে তারতিব হয়ে থাকে,অর্থাৎ বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা না থাকে,সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যাক্তি এই নয় ওয়াক্তের নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে চার ওয়াক্ত আদায়ের পর যেহেতু ৫ ওয়াক্ত নামাজের কাজা থাকবে,সেক্ষেত্রে উক্ত সময় বাকি নামাজ গুলি পরবর্তী ফরজ নামাজ আদায়ের পূর্বেই আদায় করতে হবে।
সেই ৫ ওয়াক্ত নামাজের কাজা আদায় না করে ফরজ নামাজ আদায় করবেনা।
হ্যাঁ যদি ভুলে যায়,সেক্ষেত্রে সমস্যা নেই।
আরো জানুনঃ-