লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)
আমরা তো জানি যে, মহান আল্লাহ্ তায়ালা জ্বীন ও মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তাঁর (আল্লাহ্'র) ইবাদাত করার জন্য।
প্রেক্ষাপটঃ ১
কিন্তু আমরা যখন জন্মগ্রহণ করি, তখন থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত (যখন থেকে সাওয়াব ও গুনাহ্ লিপিবদ্ধ করা হয়) আমরা তো কোনো কিছু সম্বন্ধেই আবগত ছিলাম না। আমার জন্মের আগে আমাকে / আমার সত্ত্বাকে অবহিতও করা হলো না যে (মানে জিজ্ঞেসও করা হলো না যে), তোমাকে পৃথিবী নামক একটি যায়গায় প্রেরণ করা হবে, ওখানে যেয়ে যখন তুমি বালেগ হবা / প্রাপ্তবয়স্ক (যখন থেকে আমাদের কৃত কর্মের উপর ভিত্তি করে সাওয়াব ও গুনাহ্ লিপিবদ্ধ করা হয়) হবা, তখন থেকে তোমার কৃত কর্মের উপর তোমার আমলনামায় সাওয়াব ও গুনাহ্ লিখা হবে, এই সাওয়াব ও গুনাহ এর উপর ভিত্তি করে তোমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম এর ফায়সালা হবে।
প্রেক্ষাপটঃ ২
আমার প্রশ্ন হলো, যে বিষয়ে আমি অবহিতই ছিলাম না, যে বিষয়টি তে আমাকে (আমার প্রপ্তবয়ষ্ক অবস্থায়) না জানিয়েই জড়িয়ে দেয়া হলো, মানে পৃথিবীতে আসার পর যখন আমার বুঝ আসলো, যখন আমি পাপ-পূন্য বুঝতে শুরু করলাম, তখন বুঝলাম যে আমি একটা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যা কিনা আমাকে আগে জিজ্ঞেস করা হলে আমি পরীক্ষাটাই দিতে চাইতাম না।
প্রেক্ষাপটঃ ৩
ঠিক এই মুহূর্তে অনেকেই আমাকে বলে বসবে, "আল্লাহ্ কি তোমাকে জিজ্ঞেস করে কাজ করবে ?!!" [[নাউজুবিল্লাহ্]]...মানে আল্লাহ্ কি করবেন না করবেন, সেটা তাঁর বেপার, আমরা তো তার গোলাম মাত্র।
এই ক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হলো, "তাহলে আমার নিজস্ব সত্ত্বাটা রইলো কোথায় ? কোথায় আমার বুদ্ধিমত্তা ? কোথায় আমার নিজস্বতা, যেই নিজ স্বত্তার কর্মের উপর ভিত্তি করে আমাকে পুরষ্কার/স্বাস্তি দেয়া হবে ?"
যেই প্রাপ্তবয়সের কাজের উপর ভিত্তি করে আমাকে রিওয়ার্ড/পানিশমেন্ট দেয়া হবে, সেই প্রপ্তবয়সে এখন যদি আমাকে জিজ্ঞেস করা হত, "তুমি কি পৃথিবী তে যেতে চাও, জান্নাত লাভের আশায় আল্লাহর বিধান মেনে চলতে চাও ? (যেখানে আল্লাহর বিধি বিধান মানা অনেক কষ্টসাধ্য, সর্বদা সয়তানের অসওয়াসা তোমার উপর আরোপিত হতে থাকবে, যাতে করে তুমি আল্লাহ্'র বিধি বিধান ঠিক ভাবে মেনে না চলতে পারো) " তাহলে আমার উত্তর হতো, "না, আমি পরিক্ষা দিতে চাই না...আমি আমার কোনো স্বত্তাই চাইনা"
#Conclusion
প্রশ্ন - ১ঃ (আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও) আল্লাহ্ তাঁর ইচ্ছায় আমাকে পৃথিবীতে পাঠালেন, আমাকে একটি পরিক্ষার মধ্যদিয়ে যেতে হচ্ছে [যেটাও কিনা আমার প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর কিংবা আমার বুঝ আসার পর আমাকে জিজ্ঞেস না করেই পরিক্ষার ময়দানে (পৃথিবীতে) পাঠানো হলো]। তাহলো আমার কৃতকর্মের উপর ভিত্তি করে কেনো আমাকে পুরষ্কার / শাস্তি দেয়া হবে ???
প্রশ্ন - ২ঃ আমার এই অনিচ্ছাকৃত পরীক্ষায় আমার ফল যেটাই আসুক (আমি পুরষ্কৃত / তিরষ্কৃত যেটাই হই), তাতে আমার কি ? আমার তো কোনো নিজস্ব সত্ত্বাই নাই ? [নিজস্ব সত্ত্বা নেই এজন্যই বলছি যে, আমাকে তো আমার বুঝ আসার পরে জিজ্ঞেস করে পৃথিবীতে পরীক্ষা দেয়ার জন্য পাঠায়নি, আল্লাহর ইচ্ছায় তার সৃষ্টিকে (মানে আমাকে) তিনি পাঠিয়েছেন]
প্রশ্ন - ৩ঃ (আমার উপরোক্ত প্রশ্নের সঠিক ব্যাখ্যা দিবেন প্লিজ) ও এমতাবস্থায় আমার করনীয় কি ?