ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي الفتاوى الهندية : الأكل على مراتب :
فرض : وهو ما يندفع به الهلاك ، فإن ترك الأكل والشرب حتى هلك فقد عصى .ومأجور عليه ، وهو ما زاد عليه ليتمكن من الصلاة قائما ، ويسهل عليه الصوم .ومباح ، وهو ما زاد على ذلك إلى الشبع لتزداد قوة البدن ولا أجر فيه ولا وزر ويحاسب عليه حسابا يسيرا إن كان من حل .وحرام ، وهو الأكل فوق الشبع إلا إذا قصد به التقوي على صوم الغد ، أو لئلا يستحي الضيف فلا بأس بأكله فوق الشبع .
খাদ্য গ্রহণ কয়েকভাবে হতে পারে।
(১) ফরয:
ঐ পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা ফরয, যে পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করলে শারিরিক ক্ষতি থেকে মানুষ রক্ষা পাবে। যদি কেউ এই পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা থেকেও বিরত থাকে , যেজন্য সে ধংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যায়, তাহলে সে যেন নাফরমানিতে লিপ্ত হল।তবে যদি কেউ প্রফুল্লতার সাথে ইবাদত তথা নামায রোযা পালন করার জন্য এত্থেকেও বেশী খাদ্য গ্রহণ করে, তাহলে সে এজন্য সওয়াব পাবে।
(২) মুবাহ:
উপরে বর্ণিত খাদ্যর চেয়ে অতিরিক্ত এমন খাদ্য যা পরিতৃপ্তির কাছাকাছি থাকে, এ পর্যায়ের খাদ্য গ্রহণ করা মুবাহ। এ প্রকারের খাদ্যে কোনো লাভও নাই এবং লোকশানও নাই। হালাল থেকে পরিতৃপ্তি পর্যন্ত খাদ্য গ্রহণ করলে হালকা পাতলা হিসেব নেওয়া হতে পারে।
(৩) হারাম:
পরিতৃপ্তিরও অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করা। তবে যদি আগামি দিনের রোযা রাখার ইচ্ছা হয়, অথবা মেহমানের সাথে খাদ্য গ্রহণ করতে যেয়ে মেহমানকে খাদ্য গ্রহণের সুযোগ দিতে গিয়ে পরিতৃপ্তির চেয়েও বেশী খাদ্য গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা হারাম হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3799
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
শারিরিক দুর্বলতা থেকে রেহাই মিলে এই পরিমাণ খাবার না খেলে নিজের প্রতি জুলুম হবে।
(২)
ঔষধ সেবন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর সুন্নত।সুতরাং চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।