আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদ,

আমাদের পুরোনো ৩ টা বিড়াল আছে,তার মধ্যে একটা বেশি স্পেশাল। আমার সাথে ওর সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি ভালো ছিল,আর কেউ ওকে ধরতে না পারলেও আমি পারতাম।ছোট থেকে ও আমাদের কাছেই বড় হয়েছে,একটু বোকা বোকা ধরনের,আর অন্যদের থেকে দূর্বল ছিলো,তাই আদর ভালোবাস বেশি পেয়েছে

কিছুদিন আগে একটা নতুন বিড়াল আনায় ও বাসা থেকে একটু দূরে দূরে থাকতো,কয়েকদিন পর স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু ওর প্রতি মনোযোগ কম দেয়া হয়েছে সবার,আগে ও সাবার মধ্যমণি ছিলো,ছোট বিড়াল আনার পর ছোটটাকেই বেশি attention দেয়া হচ্ছিল,যেহেতু আগেরগুলো এখন অনেকটা বড়।
এমনি ও ঘরের ভিতর ঘুমাতো না,কিন্তু নতুন বিড়ালটা ছোট তাই নতুনটাকে আমি ঘরে নিয়ে ঘুমাতাম। এখন তো হালকা ঠান্ডা পরেছে, আগের বিড়ালটা ৫ দিন আগে রাতে আমার ঘরে ঘুমিয়েছে,ফজরের পর আমি ওকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছি। এরপর ৪ দিন ওকে খুঁজে পাইনি, শেষে গতকাল জানতে পারি বাসার পাশেই চিপায় ও মরে পচে আছে।
আমার খুব খারাপ লাগছে আর অপরাধবোধ হচ্ছে,যে ওকে ঠিকভাবে টেক কেয়ার করতে পারিনি,এজন্যই ও মরে গেল। আমি জুলুম করেছি ওর উপর। আমি গুগল করে জানলাম যে বিড়ালরা কাছের মানুষের কাছে কষ্ট পেয়ে আত্নহত্যাও করতে পারে। আমি গতকাল থেকে একটু পর পর কেদেই যাচ্ছি।
আল্লাহ কি আমায় মাফ করবেন? আমি তো ওর প্রতি জুলুম করে ফেলেছি।একজন নারী তো শুধু বিড়াল কে কষ্ট দেয়ার জন্যই জাহান্নামে যাবে, আমিতো ওর হক নষ্ট করেছি,এর কাফফারা কি হবে উস্তাদ?আমি কিভাবে আল্লাহর ক্ষমা পাবো?আমার কিছুই ভালো লাগছেনা,ওকে আমি ভীষণ ভালোবাসতাম আর ও কষ্ট পেয়ে মরেই গেল!

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://www.ifatwa.info/4980  ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে  যে, 

পোষ্য প্রাণীকে নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে। এবং তার আরো অন্যান্য হক আদায় করতে হবে। 
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,

عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)(

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি তো বিড়ালকে শুধু ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন,আপনি নিজে তো তাকে মেরে ফেলননি,বা তাকে প্রহারও করেননি।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
আপনাকে কোনো কাফফারা আদায় করতে হবেনা।
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...