আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
edited by
কেউ আমার উপর জুলুম করেছে। তাকে সরাসরি শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। আমি যদি গোপনে তার ক্ষতি করি তবে কি আমার গুনাহ হবে?
যেমন, আমার চাচা আমার আব্বুকে তার প্রাপ্য (জমি/সম্পদ) বুঝিয়ে দেয় না। প্রতি বছর জোড় করে জমির ফসল বেশি নিয়ে যায়। এখন যদি আমার বাবা তার (আমার চাচার) জমির ফসল বা অন্য সম্পদ, যার মূল্য সে আমার বাবার থেকে যা আত্মসাৎ করেছে তার থেকে কম, যদি তার অগোচরে নিয়ে নেয় তবে কি আমার বাবার গুনাহ হবে?
অথবা, কেউ আমার কোনো সম্পদ নষ্ট করেছে বা চুরি করেছে, আমি নিজ চোখে তা দেখেছি, কিন্তু সে অস্বীকার করেছে। আমার ন্যায়বিচার পাওয়ার কোনো উপায় নেই। এখন আমি যদি তার কোনো সম্পদ নষ্ট করে ফেলি বা গোপনে নিয়ে নিই তবে কি আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

+1 vote
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


মাযলুম যালিমের কাছ থেকে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত প্রতিশোধগ্রহণ করতে পারবে বা প্রতিশোধের অপেক্ষায় থাকতে পারবে এতে তার কোন প্রকার গুনাহ হবেনা।এ সম্পর্কে আরোও শুনুন আল্লাহর তা'আলার বাণী.....

ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺻَﺎﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺒَﻐْﻲُ ﻫُﻢْ ﻳَﻨﺘَﺼِﺮُﻭﻥَ

যারা আক্রান্ত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।(৪২সূরা আশ শূরা-৩৯)
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ

আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন নাই।(৪২/৪০)

ﻭَﻟَﻤَﻦِ ﺍﻧْﺘَﺼَﺮَ ﺑَﻌْﺪَ ﻇُﻠْﻤِﻪِ ﻓَﺄُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦ ﺳَﺒِﻴْﻞٍ ، ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞُ ﻋَﻠَﻰْ ﺍﻟّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻈْﻠِﻤُﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻳَﺒْﻐُﻮﻥَ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟْﺤَﻖّ ، ﺃُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ

নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।(৪২/৪১-৪২)

আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাকে ভালোভাবে বুঝাতে হবে।
নিজের হক আদায়ের ব্যপারে বুঝাতে হবে। পাওনা যত টাকা বা জমি বা সম্পদ আছে,সব দিতে বলতে হবে।
হাজারো বুঝানোর পরেও হক না দিলে তার অগোচরে আত্মসাৎ করা যাবে।
তবে এক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করা যাবেনা।

অনুরুপ ভাবে যদি কেউ আপনার কোনো সম্পদ নষ্ট করে বা চুরি করে, আপনি নিজ চোখে তা দেখেছেন, কিন্তু সে অস্বীকার করেছে। আপনার ন্যায়বিচার পাওয়ার কোনো উপায় নেই। এখন আপনি যদি তার কোনো সম্পদ গোপনে নিয়ে নেন, তবে আপনার গুনাহ হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করা যাবেনা।

সম্পদ নষ্ট করে ফেলা যেহেতু ইসলাম সমর্থন করেনা। তাই কোনো ছুরতেই সম্পদ নষ্ট করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...