আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in ওয়াসওয়াসা by (14 points)
আমি দীর্ঘ দিন যাবত নিচের নিচের সমস্যা গুলো তে ভুগছি।

১.কিছুদিন আগে হঠাৎ ঘুম উঠে হাতে তরল জাতীয় কিছু অনুভব করি।ঘাম ভেবে সেই হাত দিয়ে মোবাইল,দরজার ছিটকিনি, সুইচ স্পর্শ করি।পরে বুজতে পারি আমার স্বপ্নদোষ হয়েছে। সুইচ, দরজার ছিটকিনি স্পর্শ করলে কি হাত নাপাক হয়ে যাবে যদিও সেগুলো শুকিয়ে গেছে।মোবাইলটিকে প্রথমে একটি কাপড়ে সাবান লাগিয়ে ভালো করে মুছি তারপর আরেকটি কাপড় পানি দিয়ে ভিজিয়ে মুছি তারপর একটি শুকনো টিস্যু দিয়ে মুছি।এরকম ভাবে ৫ বার করি।প্রতিবারই কাপড় পানি দিয়ে ধুয়ে নিংড়ে নেই।এখন আমার মোবাইল পাক ধরে নেব?

২.গত রাতে হাতে নাপাকি সন্দেহে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সময় হাতে উপরে অংশে পানি ছিটে আসে। ওই পানি কি নাপাক?

৩.শরীরে কোথাও বী'য লাগলে তা কত বার সাবান দিয়ে ধুয়ে দিলে তা পাক হয়ে যাবে বা তা পাক ইসলামি নিয়ম কি?

৪.ল্যাপটপের কিবোর্ড মাউসে যদি বী'য লেগে শুকিয়ে যায় তাহলে সেইগুলা ব্যাবহার করলে কি হাত নাপাক হয়ে যাবে?

৫.বিছানাতে, কাথা তে বী'য লাগলে সেই বিছানাতে কি ঘুমানো যাবে?

৬.স্বপ্নদোষ নিয়ে মারাত্মকভাবে ওয়াসওয়াসা তে আছি।পস্বপ্নদোষ হয়েছে কি না এই বিষয়ে সন্দেহে থাকি।সারাদিন প্রায় ১৫-২০ বার লুংগি চেক করি লুংগিতে কিছু লেগে আছে কি না?
এই সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাব?

৭.বাড়ির দেয়াল, দরজা,জানালা হাত লাগলে মনে হয় হাত নাপাক হয়ে গেছে। এ সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাব?

৮.পায়খানা করার পানি ব্যাবহার করার পরও মনে হয় পায়খানা পরিষ্কার হয় নি।সারাদিন ওয়াসওয়াসা তে থাকি।পায়খনার পর কত বদনি পানি ব্যাবহার করতে হবে?

৯.কোন কাপড়ে বী'য লাগলে তা কিভাবে পাক করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

ঘুম থেকে উঠার পর কাপড় বা শরীরে স্বপ্নদোষের চিহ্ন পরিলক্ষিত হলে গোসল কি ফরয হবে?
সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11414

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)যেহেতু আপনি বুঝতে পেরেছেন যে,আপনার স্বপ্নদোষ হয়েছে। তবে যেই হাত দ্বারা আপনি সুইচ ইত্যাদি স্পর্শ করেছেন, সেগুলো নাপাক হবে না।হ্যা, মনের সন্দেহ দূর করার জন্য আপনি ভিজা কাপড় দ্বারা মুছে নিবেন। হ্যা, আপনার উপর গোসল ফরয হয়েছে।

(২) হাতে নাপাকি সন্দেহে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করার সময় হাতে উপরে অংশে পানি ছিটে আসলে, এতেকরে হাত নাপাক হবে না।

(৩)শরীরের কোথাও বীর্য লাগলে তিনবার শরীরকে ধৌত করে নিলেই হবে।

(৪)ল্যাপটপের কিবোর্ড মাউসে যদি বী'য লেগে শুকিয়ে যায়, তাহলে সেইগুলা পানি দ্বারা তিনবার মুছে নিতে হবে।

(৫)বিছানাতে, কাথাতে বী'য লাগলে সেই বিছানাতে  ঘুমানো যাবে। তবে নামায পড়া যাবে না।

(৬)স্বপ্নদোষ নিয়ে মারাত্মকভাবে ওয়াসওয়াসা থাকলে, করণীয় সম্পর্কে জানতে উপরের লিংকে ক্লিক করুন।


(৭)বাড়ির দেয়াল, দরজা,জানালা হাত লাগলে মনে হয় হাত নাপাক হয়ে গেছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সর্বদা মনে করবেন,এগুলো শয়তানের ওয়াসওয়াসা।আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্যই শয়তান এগুলো আপনার মনে নিয়ে আসছে।

(৮)পায়খানা করার পর পানি ব্যাবহার করার পরও মনে হয় পায়খানা পরিষ্কার হয়নি। সারাদিন ওয়াসওয়াসাতে থাকতে হয়। এগুলো শয়তানের ওয়াসওয়াসা। তিনবার টিস্যু ব্যবহার করে এক বদনা পানি ব্যবহারই যথেষ্ট।

(৯) কোন কাপড়ে বীর্য লাগলে তা তিনবার ধৌত করে পবিত্র করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...