ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
ঘুম থেকে উঠার পর কাপড় বা শরীরে স্বপ্নদোষের চিহ্ন পরিলক্ষিত হলে গোসল কি ফরয হবে?
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)যেহেতু আপনি বুঝতে পেরেছেন যে,আপনার স্বপ্নদোষ হয়েছে। তবে যেই হাত দ্বারা আপনি সুইচ ইত্যাদি স্পর্শ করেছেন, সেগুলো নাপাক হবে না।হ্যা, মনের সন্দেহ দূর করার জন্য আপনি ভিজা কাপড় দ্বারা মুছে নিবেন। হ্যা, আপনার উপর গোসল ফরয হয়েছে।
(২) হাতে নাপাকি সন্দেহে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করার সময় হাতে উপরে অংশে পানি ছিটে আসলে, এতেকরে হাত নাপাক হবে না।
(৩)শরীরের কোথাও বীর্য লাগলে তিনবার শরীরকে ধৌত করে নিলেই হবে।
(৪)ল্যাপটপের কিবোর্ড মাউসে যদি বী'য লেগে শুকিয়ে যায়, তাহলে সেইগুলা পানি দ্বারা তিনবার মুছে নিতে হবে।
(৫)বিছানাতে, কাথাতে বী'য লাগলে সেই বিছানাতে ঘুমানো যাবে। তবে নামায পড়া যাবে না।
(৬)স্বপ্নদোষ নিয়ে মারাত্মকভাবে ওয়াসওয়াসা থাকলে, করণীয় সম্পর্কে জানতে উপরের লিংকে ক্লিক করুন।
(৭)বাড়ির দেয়াল, দরজা,জানালা হাত লাগলে মনে হয় হাত নাপাক হয়ে গেছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সর্বদা মনে করবেন,এগুলো শয়তানের ওয়াসওয়াসা।আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্যই শয়তান এগুলো আপনার মনে নিয়ে আসছে।
(৮)পায়খানা করার পর পানি ব্যাবহার করার পরও মনে হয় পায়খানা পরিষ্কার হয়নি। সারাদিন ওয়াসওয়াসাতে থাকতে হয়। এগুলো শয়তানের ওয়াসওয়াসা। তিনবার টিস্যু ব্যবহার করে এক বদনা পানি ব্যবহারই যথেষ্ট।
(৯) কোন কাপড়ে বীর্য লাগলে তা তিনবার ধৌত করে পবিত্র করতে হবে।