আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
442 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
১. অযু ছাড়া তিলাওয়াতের সিজদা করা যাবে?

২.নখ কাটার কি কোন সুন্নত তরীকা সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান মতে তিলাওয়াতের সেজদা,সিজদায়ে শোকর সকল বিধান একই।
অর্থাৎ অপবিত্র অবস্থায় অথবা অযু বিহিন জায়েজ নেই।
যদি এমনটি করে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
 
কেহ যদি দ্বীনের প্রতি ইহানত,তিরস্কার,ঘৃণা দেখানোর জন্য অযু ছাড়া সেজদা করে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।        

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُولٍ " . قَالَ هَنَّادٌ فِي حَدِيثِهِ " إِلاَّ بِطُهُورٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَحْسَنُ
ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা ছাড়া নামায কবুল হয় না। আর হারাম উপায়ে প্রাপ্ত মালের সাদকাও কুবুল হয় না। হান্নাদ 'বিগাইরি তুহুর' এর স্থলে ইল্লা বিতুহূর’ উল্লেখ করেছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (২৭২) তিরমিজি ০১)

আবু ঈসা বলেন, এই অনুচ্ছেদে এ হাদীসটিই সবচাইতে সহীহ এবং উত্তম।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ   
"قلت: وبه ظهر أن تعمد الصلاة بلا طهر غير مكفر كصلاته لغير القبلة أو مع ثوب نجس، وهو ظاهر المذهب، كما في الخانية.
(قوله: غير مكفر) أشار به إلى الرد على بعض المشايخ، حيث قال: المختار أنه يكفر بالصلاة بغير طهارة لا بالصلاة بالثوب النجس وإلى غير القبلة لجواز الأخيرتين حالة العذر بخلاف الأولى فإنه لايؤتى بها بحال فيكفر. قال الصدر الشهيد: وبه نأخذ، ذكره في الخلاصة والذخيرة، وبحث فيه في الحلية بوجهين: أحدهما ما أشار إليه الشارح. ثانيهما أن الجواز بعذر لايؤثر في عدم الإكفار بلا عذر؛ لأن الموجب للإكفار في هذه المسائل هو الاستهانة، فحيث ثبتت الاستهانة في الكل تساوى الكل في الإكفار، وحيث انتفت منها تساوت في عدمه، وذلك لأنه ليس حكم الفرض لزوم الكفر بتركه، وإلا كان كل تارك لفرض كافراً، وإنما حكمه لزوم الكفر بجحده بلا شبهة دارئة اهـ ملخصاً: أي والاستخفاف في حكم الجحود.
(قوله: كما في الخانية) حيث قال بعد ذكره الخلاف في مسألة الصلاة بلا طهارة: وأن الإكفار رواية النوادر. وفي ظاهر الرواية: لايكون كفراً، وإنما اختلفوا إذا صلى لا على وجه الاستخفاف بالدين، فإن كان وجه الاستخفاف ينبغي أن يكون كفراً عند الكل. اهـ.
أقول: وهذا مؤيد لما بحثه في الحلية لكن بعد اعتبار كونه مستخفا ومستهينا بالدين كما علمت من كلام الخانية، وهو بمعنى الاستهزاء والسخرية به، أما لو كان بمعنى عد ذلك الفعل خفيفا وهينا من غير استهزاء ولا سخرية، بل لمجرد الكسل أو الجهل فينبغي أن لايكون كفرا عند الكل، تأمل". (1/81، کتاب الطہارۃ، ط:سعید) 
সারমর্মঃ-
কেহ যদি দ্বীনের প্রতি ইহানত,ইস্তেহযা,তিরস্কার,ঘৃণা দেখানোর জন্য অযু ছাড়া নামাজ পড়ে,সেজদাহ করে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।    
,
★তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে  সেজদার আয়াত তেলাওয়াত করে সেজদা দেয়ার জন্য ত্বাহারাত বা পবিত্রতা শর্ত নয়। সুতরাং ওযু না থাকলেও সিজাদায়ে তেলাওয়াত দেয়া জায়েয রয়েছে।
,
তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 
কোনো সমস্যা নেই।       
,

(০২)

এ বিষয়ে যা কিছু লোকমুখে প্রসিদ্ধ আছে,তাহা হাদীসে নেই।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত   নখ কাটার কোন সুন্নত তরীকা সহীহ হাদীসে বর্ণিত নেই।
,
 নখ কাটার কোনো মাসনুন তরীকা থাকলে তা শুধু এই যে, এ কাজটি ডানদিক থেকে শুরু করবে। হাদীস শরীফে এসেছে-
كان النبي صلى الله عليه وسلم يعجبه التيمن في تنعله وترجله وطهوره وفي شانه كله
সহীহ বুখারী ১/২৯; মুসনাদে আহমদ ১৭/৬২২; সুনানে বায়হাকী ১/৮৬; শরহুল মুহাযযাব ১/৩৩৯; ফাতহুল বারী ১০/৩৫৭; উমদাতুল কারী ২২/৪৫; ফাতহুল মুলহিম ১/৪১৯; আলমাসনূ’ ফী মারেফাতিল হাদীসিল মাওযূ’ পৃ. ১৩০; হাশিয়াতুত্তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/১০৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪০৫

قال الحصکفي:
"وفي شرح الغزاویة: روي أنه صلی اللّٰة علیه وسلم بدأ بمسبحته الیمنی إلی الخنصر، ثم بخنصر الیسری إلی الإبهام، وختم بإبهام الیمنی. و ذکر له الغزالي في الإحیاء وجهاً وجیهاً ... قلتُ: وفي المواهب اللدنیة: قال الحافظ ابن حجر: إنه یستحب کیفما احتاج إلیه، ولم یثبت في کیفیته شيء، ولا في تعیین یوم له عن النبي صلی اللّٰه علیه وسلم".
قال ابن عابدین:
"(قوله: قلتُ الخ) وکذا قال السیوطي، وقد أنکر الإمام ابن دقیق العید جمیع هذه الأبیات، وقال: لا تعتبر هیئة مخصوصة، وهذا لا أصل له في الشریعة، ولایجوز اعتقاد استحبابه؛ لأن الاستحباب حکم شرعي لا بد له من دلیل". (الدر المختار مع رد المحتار: ۶/۴۰۶، کتاب الحظر والإباحة، فصل في البیع، ط: دار الفکر، بیروت)
যার সারমর্ম হলো কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই।
যার যেইরকম,সেই ভাবেই কাটতে পারেন।

"قال النووي: ویستحب أن یبدأ بالید الیمنی، ثم الیسری، ثم الرجل الیمنی، ثم الیسری. قال الغزالی في الإحیاء: یبدأ بمسبحة الیمنی، ثم الوسطی، ثم البنصر، ثم الخنصر، ثم خنصر الیسری إلی إبهام الیمنی، وذکر فیه حدیثاً وکلاماً لا أوثر ذکره، والمقصود أن الذي ذکره الغزالي لابأس به إلا في تاخیر إبهام الیمنی، فلا یقبل قوله فیه؛ بل یقدم الیمنی بکمالها، ثم یشرع في الیسری، وأما الحدیث الذي ذکره، فباطل لا أصل له". (المجموع شرح المهذب: ۱/۲۸۳، ط: دار الفکر، بیروت) 
,
কেহ কেহ বলেছেন যে মুস্তাহাব হল আগে ডান হাত,তারপর বাম হাত,তার পর ডান পা,তার পর বাম পায়ের আঙ্গুলের নখ কাটা।

কেহ কেহ বলেন যে মুসতাহাব হলো আগে ডান হাতের শাহাদত আঙ্গুলি থেকে শুরু করে কনিষ্ঠ আঙুলের নখ কাটবে,তারপর বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের নখ থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ পর্যন্ত কাটবে।
,
তারপর ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ কাটবে।
,
★সুতরাং  নখ কাটার কোনো সুন্নাত তরীকা প্রমানীত নেই।
যার যেইদিক থেকে ইচ্ছা কাটতে পারে।
তবে ডান হাত থেকে আগে শুরু করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...