জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
নামাজের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াতের সময় বা অন্য কোনো রুকুনে নামায ফাসিদ বা মাকরূহ হবে এমন কোন কাজ ইমাম যদি ভুলে করতে থাকে, তখন মুক্তাদী ইমামকে লুকমা দেয়া জরুরী।
আর যদি ভুলটি এমন না হয়,যা দ্বারা নামাজ ফাসিদ বা মাকরুহ হবেনা,তাহলে লুকমা দেওয়া জরুরি নয়।
রাসূল সাঃ নামাযে ভুল করলে পিছনে থাকা সাহাবীগণ লুকমা দিয়েছেন।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ مِنَ اثْنَتَيْنِ، فَقَالَ لَهُ ذُو اليَدَيْنِ: أَقَصُرَتِ الصَّلاَةُ، أَمْ نَسِيتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَصَدَقَ ذُو اليَدَيْنِ» فَقَالَ النَّاسُ: نَعَمْ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَلَّى اثْنَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ،
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ একদা [চার রাকাত বিশিষ্ট নামাযে] দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। তখন যুল ইয়াদাইন রাঃ বলেলনঃ নামায কি কমে গেছে নাকি আপনি ভুলে গেছেন হে আল্লাহর রাসূল? তখন রাসূল সাঃ বললেনঃ যুল ইয়াদাইন কি সত্য বলছে? তখন সাহাবাগণ বললেনঃ হ্যাঁ, তখন রাসূল সাঃ দাঁড়িয়ে বাকি দুই রাকাত পড়লেন।[বুখারী, হাদীস নং-৭১৪]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যেই মাসয়ালা জানতেন,সেটিই সঠিক।
নামাজে ইমামের কোনো ভূল হলে সেক্ষেত্রে নামাজের বাহিরের কেউ লোকমা ধরলে ইমাম যদি সেই লোকমা গ্রহন করে,সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ গ্রন্থে আছেঃ-
الموسوعة الفقهية الكويتية (32/ 15):
"وإن فتح المصلي على غير إمامه فسدت صلاته؛ لأنه تعليم وتعلم، فكان من جنس كلام الناس، إلا إذا نوى التلاوة، فإن نوى التلاوة لاتفسد صلاته عند الكل، وتفسد صلاة الآخذ، إلا إذا تذكر قبل تمام الفتح، وأخذ في التلاوة قبل تمام الفتح فلاتفسد، وإلا فسدت صلاته، لأن تذكره يضاف إلى الفتح"
সারমর্মঃ-
যদি মুছল্লি নিজ ইমাম ব্যাতিত অন্য ইমামকে লোকমা দেয়,সেক্ষেত্রে তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
কিন্তু যদি তিলাওয়াতের নিয়ত করে,সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে লোকমা গ্রহনকারীর নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
(০২)
সেক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
(০৩)
এতে নামাজ ভঙ্গ হবেনা।
(০৪)
এভাবে বলায় নবী(সা:) এর শানে বেয়াদবি হয়নি।
এতে গুনাহ বা কুফর হবেনা।
(০৫)
না,কুফর হবেনা।
(০৬)
আযাযিল (ইবলিস) এর ‘মুয়াল্লিমুল মালাইকা’ তথা ফেরেশতাদের শিক্ষক হওয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন। কুরআন-হাদিসে এমন কোনো কথা খুঁজে পাওয়া যায় না।
(০৭)
এতে কুফরি হবেনা।
(০৮)
এক্ষেত্রে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
গুনাহ হবেনা।