আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (68 points)
edited by

১. নামাজে জানতাম বাইরের কেও ভুল ধরলে সেই ভুল গ্রগন করলে নামাজ ভেঙ্গে যায়৷ আজকে একজন বললেন যে আসলে যে দুইজন নামাজে থাকলে একজন যদি আরেকজনের ভুল ধরে  তবে সেই ভুল গ্রাগন কারীর নামাজ ভাঙ্গবে, আর যদি  একজন নামাজে ভুল করে অপর জন নামাজ পরছে না এমন সুরতে থেকে ভুল ধরিয় দেয়, তবে নামাজ ভঙ্গ হবে না, এই মাসআলাটা টি একটু বলবেন?

২. নামাজে যদি কেও আত্তাহিয়াতু না পড়ে দাড়িয়ে যায়, এবং উঠে একটু পরে মনে পরে আত্তাহিয়াতুর কথা, করনীয় কি?

৩. নামাজ চলাকালীন মনে বিভিন্ন খারাপ ঘটনা চলে আসলে, কেও যদি মনে মনে বলে আল্লাহ এমনটা না করুক এতে কি নামাজ ভঙ্গ হবে?

৪. আজকে একজনকে বলছিলাম, এখন মানুষ যেভাবে মানুষের পুরাতন দোষ খোজে, উমর (রা:) জীবিত থাকলে তারা বলতো এখন এতো ভালো ওইছো আগে তো অমুককে মারতে চলে গিয়েছিলে। (আমি নবী(সা:) না বলে অমুক বলে ফেলেছিলাম) যদিও পরে খারাপ লেগেছে অনেক৷ এভাবে বলায় কি নবী(সা:) শানে বেয়াদবি হেয়ছে?এতে কি গুনাহ না কুফর হবে?

৫. আজাজিল ফেরেসতাদের শিক্ষক ছিলো এটা শুনে কেও যদি মানতে চায় না এটা বলে যে সে তো জিন ফেরেসতার শিক্ষক কিভাবে ওয়। পরে একজন মুফতি  বললেন আজাজিলকে  "মোয়াল্লিমুল মালাইকা" বলা হয়েছে,এটা শুনে মনে করে এটা কোরআনের কথা,তাই কোরআনের কথা মনে করে বিশ্বাস সে ফেরেসতাদের শিক্ষক,  পরে জানতে পারে এই কথার ভিত্তি নাই।  তার এই বিশ্বাস বদল করার ফলে কি কুফর হবে?

৬. আসলে আজাজিল কি ফেরেসতাদের শিক্ষক ছিলো না কি না, কি জানবো আমরা?

৭. কেও যদি নিজের নামাজের মানের (মনযোগ দিতে পারে না) প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে মনে মনে বলে " কি বালের নামাজ পরি! " (নাউজুবিল্লাহ),  এত কি কুফর হবে? 

৮. বন্ধু একজন বললো তাকে খাওয়ানোর জন্য পরে বললাম কমদামের  মাঝে এইটা খাইয়া নে,তখন সে বললো খাই না তাইলে। এটা শুনে মজা করে হেসে যদি কেও বলে "আলহামদুলিল্লাহ তাইলো তো ভালা" তবে কি ইমানে সমস্যা  হবে? বা গুনাহ হবে?এভাবে মজা করে আলহামদুলিল্লাহ বলার জন্য

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
নামাজের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াতের সময় বা অন্য কোনো রুকুনে  নামায ফাসিদ বা মাকরূহ হবে এমন কোন কাজ ইমাম যদি ভুলে করতে থাকে, তখন মুক্তাদী ইমামকে লুকমা দেয়া জরুরী।
আর যদি ভুলটি এমন না হয়,যা দ্বারা নামাজ ফাসিদ বা মাকরুহ হবেনা,তাহলে লুকমা দেওয়া জরুরি নয়। 

রাসূল সাঃ নামাযে ভুল করলে পিছনে থাকা সাহাবীগণ লুকমা দিয়েছেন। 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ مِنَ اثْنَتَيْنِ، فَقَالَ لَهُ ذُو اليَدَيْنِ: أَقَصُرَتِ الصَّلاَةُ، أَمْ نَسِيتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَصَدَقَ ذُو اليَدَيْنِ» فَقَالَ النَّاسُ: نَعَمْ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَلَّى اثْنَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ،

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ একদা [চার রাকাত বিশিষ্ট নামাযে] দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। তখন যুল ইয়াদাইন রাঃ বলেলনঃ নামায কি কমে গেছে নাকি আপনি ভুলে গেছেন হে আল্লাহর রাসূল? তখন রাসূল সাঃ বললেনঃ যুল ইয়াদাইন কি সত্য বলছে? তখন সাহাবাগণ বললেনঃ হ্যাঁ, তখন রাসূল সাঃ দাঁড়িয়ে বাকি দুই রাকাত পড়লেন।[বুখারী, হাদীস নং-৭১৪]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যেই মাসয়ালা জানতেন,সেটিই সঠিক।

নামাজে ইমামের কোনো ভূল হলে সেক্ষেত্রে নামাজের বাহিরের কেউ লোকমা ধরলে ইমাম যদি সেই লোকমা গ্রহন করে,সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ গ্রন্থে আছেঃ- 

الموسوعة الفقهية الكويتية (32/ 15):
"وإن فتح المصلي على غير إمامه فسدت صلاته؛ لأنه تعليم وتعلم، فكان من جنس كلام الناس، إلا إذا نوى التلاوة، فإن نوى التلاوة لاتفسد صلاته عند الكل، وتفسد صلاة الآخذ، إلا إذا تذكر قبل تمام الفتح، وأخذ في التلاوة قبل تمام الفتح فلاتفسد، وإلا فسدت صلاته، لأن تذكره يضاف إلى الفتح"
সারমর্মঃ-
যদি মুছল্লি নিজ ইমাম ব্যাতিত অন্য ইমামকে লোকমা দেয়,সেক্ষেত্রে তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
কিন্তু যদি তিলাওয়াতের নিয়ত করে,সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে লোকমা গ্রহনকারীর নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

(০২)
সেক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে। 

(০৩)
এতে নামাজ ভঙ্গ হবেনা।

(০৪)
এভাবে বলায় নবী(সা:) এর শানে বেয়াদবি হয়নি।
এতে গুনাহ বা কুফর হবেনা।

(০৫)
না,কুফর হবেনা।

(০৬)
আযাযিল (ইবলিস) এর ‘মুয়াল্লিমুল মালাইকা’ তথা ফেরেশতাদের শিক্ষক হওয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন। কুরআন-হাদিসে এমন কোনো কথা খুঁজে পাওয়া যায় না। 

(০৭)
এতে কুফরি হবেনা।

(০৮)
এক্ষেত্রে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 
গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...