আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (31 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
হুজুরের কাছে একটা জরুরি প্রশ্ন।

হালাল হারাম নিয়ে প্রশ্নঃ

আল্লাহর বানি,,,ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখেছ আল্লাহ তোমাদের যে জীবিকা দিয়েছেন তোমরা যে তার কিছু হালাল ও কিছু হারাম করেছ? বলুন, আল্লাহ কি তোমাদের এর অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করছ?’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৫৯

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনরা, আল্লাহ তোমাদের জন্য উত্কৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন, সেসবকে তোমরা হারাম কোরো না এবং সীমা লঙ্ঘন কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না। ’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৮৭)

এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন কোরো না। যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করে তারাই অবিচারী। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২২৯

এই আয়াত গুলো থেকে বুঝা জাচ্ছে আল্লাহ যেগুলোকে হারাম করেছে সেটাই হারাম।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,,,,
মহরাম নারী ছাড়া সকল মেয়েকেই বিয়া করা জায়েজ অর্থাৎ হালাল
আর নারীর মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ, তোমাদের জন্যে এটা আল্লাহ্ র বিধান। উল্লিখিত নারীগণ ব্যতীত অন্য নারীকে অর্থব্যয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতে চাওয়া তোমাদের জন্যে বৈধ করা হল, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্যে নয়। তাদের মধ্যে যাদেরকে তোমরা সম্ভোগ করেছ তাদের নির্ধারিত মাহ্র অর্পণ করবে। মাহ্র নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পরস্পর রাজী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সুরা নিসা ২৪)

এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালা আমার জন্য সকল নারীকেই বিয়া করা হালাল করে দিয়েছেন (মহরাম নারী ছাড়া)

এখন আমি যদি কোনো মেয়েকে নির্দিষ্ট করে বিয়া না করার শপথ নেই তাহলে কি ওই মেয়েটাকে বিয়া করা আমার জন্য হারাম হবে?

যেহেতু আল্লাহ তায়ালা আমার জন্য হালাল করে দিয়েছে,এখন আমার শপথের কারনে কি এটা হারাম হবে?
যদি কাফফারা নাও দেই তাহলে কি হারাম হবে?আর এই ধরনের হালাল বস্তুর ক্ষেত্রে শপথ ভংগ করলে কি কাফফারা দিতে হয়?

২/আমি যদি নির্দিষ্ট করে কোোনো মেয়েকে বিয়া না করার শপথ নেই তাহলে কি ওই মেয়ে ছাড়া অন্য মেয়েদেরকে বিয়া করা আমার জন্য হারাম হবে?আর এই ধরনের শপথের জন্য কি কাফফারা দিতে হয়?
যেমন কেউ যদি শপথ নিয়ে  বলে আমি গররু মাংস ছাড়া অন্য হালাল খানার খাব না। এই শপথ ভংগ করলে কি কাফফারা লাগবে?

৩/কেউ যদি অন্য কারও সাথে হারাম চুক্তি করে অর্থাৎ হালালকে হারাম বানানোর জন্য চুক্তি করে তাহলে কি সে চুক্তি জায়েজ হবে?যদি চুক্তি করে থাকে তাহলে কি সে চুক্তি অনুযায়ী কাজ করা গুনাহ হবে বা নাজায়েজ হবে নাকি?

৪/ যে ধরনের চুক্তি বা শর্তগুলোকে ইসলামে হারাম বলা হয়েছে,কেউ যদি সে ধরনের চুক্তি বা শর্ত করে তাহলে কি ওই শর্ত অনুযায়ী কাজ করা জায়েজ হবে নাকি কাজ করলে গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ যেই সমস্ত জিনিষ মানুষের জন্য হালাল করে দিয়েছেন, সেই সমস্ত জিনিষ থেকে কোনো কিছু নিজের জন্য হারাম সাব্যস্ত করা অপরাধ। আর এই জন্যই সেই অপরাধের শাস্তি স্বরূপ, সেটা তার জন্য হারাম হয়ে যায়। অর্থাৎ কোনো জিনিষকে হারাম করে নিলে, সেই জিনিষটা কসমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।তখন ঐ জিনিষকে হালাল করলে কাফফারা দিতে হয়।

الدر المختار
"(ومن حرم) أي على نفسه ... (شيئا) (ثم فعله) بأكل أو نفقة .. (كفر) ليمينه، لما تقرر أن تحريم الحلال يمين".
(الدر المختار مع رد المحتار، 729/3، سعید)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
 আপনি যদি কোনো মেয়েকে নির্দিষ্ট করে বিয়ে না করার শপথ নেন,তাহলে ওই মেয়েটাকে বিয়া করা আপনার জন্য হারাম হবে।হ্যা, কাফফারা দিয়ে দিলে তখন জায়েয হবে।

(২)আপনি যদি নির্দিষ্ট করে কোনো মেয়েকে বিয়া না করার শপথ নেন,তাহলে ওই মেয়ে ছাড়া অন্য মেয়েদেরকে বিয়া করা আপনার জন্য হারাম হবে নাএই ধরনের শপথের জন্য কাফফারা দিতে হয় না।
কেউ যদি শপথ নিয়ে বলে আমি গররু মাংস ছাড়া অন্য হালাল খানার খাব না। এখানে শপথ হয় নাই,কেননা শপথ হওয়ার জন্য হারাম করা শর্ত।

(৩) কেউ যদি অন্য কারও সাথে হারাম চুক্তি করে অর্থাৎ হালালকে হারাম বানানোর জন্য চুক্তি করে, 
প্রশ্নটি অস্পষ্ট।স্পষ্ট করে উল্লেখ করবেন।

(৪)যে ধরনের চুক্তি বা শর্তগুলোকে ইসলামে হারাম বলা হয়েছে, কেউ যদি সে ধরনের চুক্তি বা শর্ত করে তাহলে ওই শর্ত অনুযায়ী কাজ করা জায়েয হবে না।বরং কাজ করলে তখন অবশ্যই গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...