আসসালামু আলাইকুম
হুজুরের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এতো বড় প্রশ্ন করার জন্য।ছোট ছোট প্রশ্ন করলে উত্তর পেতে দেরি হয়, এতো বড় প্রশ্নের জন্য ক্ষমা করবেন
!!!!শপথ আর তালাক নিয়ে কিছু প্রশ্ন!!!!!
১/মনে মনে একটা কাজ না করার শপথ নিলাম এবং ওই নিয়ত অনুযায়ী মুখে শপথ বা কসম বললাম এর মাধ্যমে কি শপথ হবে?
২/মুখে উচ্চারণ করে যদি এমন বিষয়ে শপথ নেই যেটা আমার জন্য খারাপনা অর্থাৎ একটা কাজ না করার জন্য শপথ নিলাম পরে দেখলাম যে এই কাজটা তো আমার জন্য খারাপনা
জেমন আমি যদি মুখে শপথ নিয়ে বলি যে আমি ওই বাড়িতে যাবোনা, পরে দেখলাম যে ওই বাড়িতে জাওয়া আমার জন্য খারাপ বা ক্ষতিকর না,এখন যদি আমি ওই বাড়িতে যাই তাহলে কি শপথ ভংগ হবে?নাকি এটা কোনো শপথের মধ্যেই গন্য হবেনা?
৩/আমি মনে মনে একটা কাজ না করার ইচ্ছা করলাম এবং ওই ইচ্ছা অনুযায়ীই অর্থাৎ ওই ইচ্ছাকে উদ্দেশ্য করে মুখ দিয়ে শপথ নিলাম বা কসম করলাম উচ্চারণ করলাম এখন কি এটা শপথ হয়ে যাবে,?যেহেতু আমি সম্পুর্ন কথাটা মুখে উচ্চারণ করিনাই শুধু মনে মনে কাজটা না করার ইচ্ছা করেছি আর মুখ দিয়ে শপথ বা কসম শব্দ উচ্চারণ করেছি।
৪/কেউ যদি মনে মনে বলে যে আমি যদি এই কাজটা করি তাহলে আমার স্ত্রী তালাক, এরপর মুখে উচ্চারণ করে এই মনে মনে বলা কথাটাকে উদ্দেশ্য করে শপথ নিলাম শব্দ মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলো এর মাধ্যমে কি এটা শপথ হবে?এবং এর কারনে কি স্ত্রী তালাক হবে?
৫/কেউ যদি স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার উদ্দেশ্য খাতায় বা মোবাইলে লিখে যে আমার স্ত্রীকে তালাক দিলাম, এর মাধ্যমে কি স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?স্ত্রী কিন্তু এই লেখাটা দেখেনি।
৬/৫নং কাজটা কি বেদয়াতের অন্তর্ভুক্ত?আর বেদয়াতি তালাক কি কার্যকর হয়?
৭/অর্থাৎ কেউ যদি এমন পদ্ধতিতে তালাক দেয় যার বিধান কোরআন হাদিস এবং ইজমার মধ্যে নেই এবং সাহাবা তাবেয়িদের মধ্যেও নেই যেমন 5 নং প্রশ্নের তালাকটা উদাহরণ হিসেবে মনে করুন।এই পদ্ধতিতে তালাক অর্থ দিলে সেটা কার্জকর হবে নাকি?
৮/কেউ যদি এমন বাক্য বলে যে আমি শপথ নিলাম যে এই কাজটা করবনা আর যদি এই কাজটা করি তাহলে আমার স্ত্রী তালাক হবে?এর মাধ্যমে কি তালাক হবে?
৯/কেউ যদি মনে মনে বলে আমি যদি দুপুরে ভাত না খাই (উদাহরণ) তাহলে আমার স্ত্রী তালাক হবে,এই কথাটুকু বলার পরে সে ব্যক্তি এই বেপারে মুখে শপথ নিলাম বা কসম করলাম শব্দ উচ্চারণ করেছে অর্থাৎ আমি যদি ভাত না খাই তাহলে আমার স্ত্রী তালাক হবে এতোটুকু কথা স্বামী মুখে উচ্চারণ করেনাই শুধু এই কথাটুকু উদ্দেশ্য করে শপথ নিলাম বা কসম করলাম শব্দ মুখে উচ্চারণ করেছে, এর মাধ্যমে কি এটা শপথ হিসেবে গন্য হবে এবং ভাত না খেলে কি স্ত্রী তালাক হবে?
অর্থাৎ আমি যেহেতু সম্পুর্ন বাক্যটুকু মুখে উচ্চারণ করি নাই শুধু শপথ নিলাম শব্দ উচ্চারণ করেছি ওই কথাটাকে উদ্দেশ্য করে এর ফলে কি এটা শপথের অন্তর্ভুক্ত হবে?
১০/তালাকের খাটি নিয়ত নেই কিন্তু তালাক দিলে কি তালাক হবে?অর্থাৎ নিয়ত ছাড়া তালাক দিলে কি সেটা কার্জকর হয়?
১১/ কেউ যদি শপথ করলাম না বলতে গিয়ে শপথ করলাম বলে তাহলে কি সেটা শপথ হবে?
১২/ওয়াসওয়ার কারনে শপথ করে ফেললে কি সেটা শপথ হবে?
১৩/মনে মনে একটা কাজ না করার ইচ্ছা করলাম এবং ওয়াযওয়াসার কারনে জদি মনে মনে করা ইচ্ছাটাকে উদ্দেশ্য করে শপথ শব্দটা বলে ফেলি তাহলে কি সেটা শপথ হবে?
১৪/আমি যদি মনে মনে বলি যে আমি ওই মেয়েটাকে বিয়া করবনা যদি বিয়া করি তাহলে সে তালাক হয়ে যাবে,এইটুকু আমি মুখে উচ্চারণ করে বলি নাই কিন্ত এই কথাটাকে উদ্দেশ্য করে যদি মুখে উচ্চারণ করে বলি যে আমি শপথ নিলাম তাহলে কি সেটা শপথ হবে?
১৫/১৪ নং প্রশ্ন অনুসারেই কেউ যদি শপথ নিলামনা বলতে গিয়ে এইভাবে বলে যে শপথ নিলামনা(না শব্দটা গুনগুনিয়ে বলেছে)বা শপথ নিলাম উচ্চারণ বুঝা গিয়েছে আর না শব্দের উচ্চারণ বুঝা যায়নি (শপথ নিলামনা বলারই নিয়ত ছিল)এটাতে কি শপথ হবে?
১৬/কেউ জদি একা একা অর্থাৎ যেখানে কেউ নেই এমন স্থানে এই ধরনের কথা বলে যে আমি জাকে বিয়া করব তার উপরে তালাক পড়বে। এই কথাটা যে বলেছে সে ছাড়া আর কেউ শুনে নাই তাহলে কি বিয়ার পর স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?
১৭/যদি এমন হয় যে আমি কোনো শপথ নিয়েছি কিন্তু পরে মনে হলো আমি শপথ নেয়নি তাহলে কি সে শপথ ভংগ করলে কাফফারা দিতে হবে?
১৮/আমি জদি এইরকম শপথ নেয় যে আমি ওই মেয়েটাকে বিয়া করবনা পরে দেখলাম ওই মেয়েটাকে আমার ভালো লাগলো বা পছন্দ হলো তাহলে আমি যদি ওই মেয়েটাকে বিয়া করি এটাতে কি কাফফারা দিতে হবে?যেহেতু
১৯/যদি এমন হয় যে আমি যদি শপথ নেই ওই মেয়েকে ছাড়া অন্য কাওকে বিয়া করবনা,পরে দেখলাম ওই মেয়েটা অন্য কাওকে বিয়া করেছে তাহলে আমি যদি অন্য মেয়েকে বিয়া করি এটাতে কি শপথ ভংগ হবে?
২০/আগে আমি একটা মেয়েকে নির্দিষ্ট করে শপথ করেছিলাম যেখানে আল্লাহর নাম নিয়ে শপথ করেছি নাকি আল্লাহর নাম ছাড়া শপথ করেছি সেটা এখন আমার মনে নেই,ধরেই নিলাম আল্লাহর নাম নিয়েই শপথ করেছি কিন্তু মুখে উচ্চারণ করে করেছি নাকি মনে মনে শপথ করেছি সেটাও এখন আমার মনে নেই,শপথটা এমন ছিলো যে,আমি ওই মেয়ে ছাড়া অন্য কোনো মেয়েকে বিয়া করবনা।এখন আমি শিয়র হতে পারতেছিনা যে মুখে উচ্চারণ কিরে শপথ করেছি নাকি মনে মনে করেছি,তাই আমি যদি অন্য মেয়েকে বিয়া করি তাহলে কি এটা শপথ ভংগ হবে?
২১/ধরেন আজকে এমন কথা বললাম যে আমি এটা করলে আমার স্ত্রী তালাক হবে,কিন্তু পরের দিন আমি আর শিয়র হতে পারতেছিনা যে আমি কি এটা মনে মনে বলেছি নাকি উচ্চারণ করে বলেছি,এখন যদি আমি ওই কাজটা করি তাহলে কি স্ত্রী তালাক হবে?
২২/আমি এটা নিশ্চিত যে শপথ নিয়েছি কিন্তু এটা নিশ্চিতনা যে শপথটা কি মুখে উচ্চারণ করে নিয়েছি নাকি মনে মনে বলেছি।এতে কি শপথ ভংগ হবে?
২৩/যদি এমন হয় যে আমি শপথ নিয়েই ফেলেছি কিন্তু আমার মনে নাই যে কিভাবে শপথ নিয়েছে(মনে মনে নাকি উচ্চারন করে)এতে কি কাফফারা দিতে হবে?
২৪/না চাইলেও শপথ দিয়ে ফেলি অর্থাৎ একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, কোনো বিষয় মনে উদয় হলেই এই বিষয়ে শপথ দিয়ে ফেলি,কিন্তু এটা শিয়র যে মুখে উচ্চারণ করে স্পষ্টভাবে শপথ দেয়না,হয়তো শপথ করলাম না বলতে গিয়ে করলাম বলে ফেলি।এতে কি কোনো সমস্যা হবে?
২৫/কেউ যদি মনে মনে স্ত্রীর কথা ভেবে মুখে তালাক শব্দটা স্পষ্ট বলে তাহলে কি তালাক হবে?
অর্থাৎ স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়তটা মনে মনে করেছে আর ওই নিয়ত অনুযায়ী মুখ দিয়ে তালাক দিলাম বলেছে এখন কি তালাক হবে?
২৬/যদি ২৫ নং প্রশ্নের অনুরূপ ঘটনা ঘটে থাকে এবং তার কিছুক্ষন পরে জদি স্বামী তালাক দিলাম বলেছে নাকি তালাক দিলামনা বলেছে সেটা নিশ্চিত না হতে পারলে কি তালাক হবে?
২৭/তালাক দেওয়ার নিয়ত নেই কিন্তু কেউ যদি বিয়ার আগে তালাকের নিয়ত ছাড়া মুয়াল্লাক তালাক দিয়ে রাখে তাহলে কি তালাক হবে/(তালাক দেওয়ার কোোনো নিয়ত ছিলো না)
২৮/মুখে উচ্চারন করে শপথ নিলে এবং যদি দেখা জায় যে শপথ ভংগ করলে কোোনো ক্ষতি হচ্ছেনা অর্থাৎ আমি জদি একটা কাজ না করার শপথ নেই এবং পরে যদি দেখি যে ওই কাজটা করা তো গুনাহ বা ক্ষতি হচ্ছেনা এইরুপ শপথ ভংগ করলে কি কাফফারা দিতে হবে?
২৯/কেউ যদি স্ত্রীর কথা ভাবতে ভাবতে শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করে অথচ স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়ত নেই এর ফলে কি তালাক হবে?
৩০/মুয়াল্লাক তালাক কি কোোরআন হাদিস দিয়ে প্রমানিত?
সংক্ষেপে উত্তর দিবেন ইনশাআল্লাহ, একবারে সব প্রশ্ন কিরে দিলাম জাতে পরে আর প্রশ্ন করা না লাগে ইনশাআল্লাহ।