জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পূর্বে তালাক দিলে তালাক হবেনা।
হ্যাঁ যদি সে মুয়াল্লাক তালাক দেয়,তাহলে বিবাহের পর তালাক পতিত হবে।
.
★মুয়াল্লাক তালাক দেওয়ার পদ্ধতি হলো কেহ যদি এমন বলে যে আমি যাকেই বিবাহ করবো,সেই তালাক,বা এমন বলে যে আমি যদি অমুক মহিলাকে বিবাহ করি,তাহলে সে তালাক,বা এমন বলে যে আমি যখনই বিবাহ করিবো,তখনই তালাক ইত্যাদি।
,
উক্ত শব্দ না বলে এমনিতেই কোনো অবিবাহিত পুরুষ কোনো মেয়েকে বলে যে আমি তোমাকে মুয়াল্লাক তালাক দিলাম তাহলে তালাক হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ الشَّعْبِیِّ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ قَالَ لامْرَأَتهِ: کُلُّ امْرَأَةٍ أَتَزَوَّجُهَا عَلَیْک فَهَیَ طَالِقٌ، قَالَ: فَکُلُّ امْرَأَةٍ یَتَزَوَّجُهَا عَلَیْهَا، فَهِیَ طَالِقٌ.
ابن أبي شیبة، المصنف، 4: 65، رقم: 17838، الریاض: مکتبة الرشد
সারমর্মঃ
শা'বি রহঃ থেকে বর্ণিত,তার নিকটে এক ব্যাক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, যে তার স্ত্রীকে বলেছে যে আমি যেই মহিলাকেই তোমার উপরে বিবাহ করবো,সে তালাক।
ইমাম শা'বী রহঃ বলেন,তাহলে যেই মহিলাকেই সেই তার স্ত্রীর উপরে (স্ত্রী থাকা অবস্থায়) বিবাহ করবে,তার উপরেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।
(মুছান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৪ঃ৬
৫ হাদীস নং ১৭৮৩৮।)
وإذا أضاف الطلاق إلی النکاح وقع عقیب النکاح مثل أن یقول لامرأة إن تزوجتک فأنت طالق أو کل امرأة أتزوجہا فہي طالق۔ (الہدایة ۲/۳۶۵)
কেহ যদি বিবাহের সাথে তালাক কে নিসবত করে,তাহলে বিবাহের পর তালাক পতিত হবে।
,
(০১)
হ্যাঁ এতে এক তালাকে বায়েন পতিত হয়ে যাবে।
,
নতুন করে পুনরায় বিবাহ পড়ে নিতে হবে,তাহলে আর কোনো তালাক হবেনা।
,
(০২)
এ ছুরতে কোনো তালাক পতিত হবেনা
আপনি নির্দিধায় উক্ত মেয়েকে বিবাহ করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
(০৩)
এটি কসমের সংজ্ঞার মধ্যে পড়েনা।
তাই এতে কাফফারা আসেবেনা।
,
আরো জানুনঃ