জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বিবাহের পূর্বে সাধারণত তালাক পতিত হয়না।
হ্যাঁ বিবাহের দিকে ঈঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাক দিলে তালাক হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ جُوَيْبِرٍ عَنْ الضَّحَّاكِ عَنْ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ قَبْلَ النِّكَاحِ
‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিবাহের পূর্বে তালাক নাই।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৪৯)
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَنْبَأَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ ح و حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ فِيمَا لَا تَمْلِكُ
‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না।
তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, ইবনে মাজাহ ২০৪৭ রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২।
★★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শর্তাধীন তালাক সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে জরুরী হলো ঐ মহিলা সেই ছেলের বিবাহে থাকতে হবে অথবা শর্তযুক্ত বাক্যটি উক্ত মহিলার দিকে বিবাহের নিসবত করা হবে।
কেহ যদি বলে যে অমুক কাজ করলে আমার ভবিষ্যত স্ত্রী তালাক,তাহলে এখানে বিবাহের নিসবত স্পষ্ট আকারে না পাওয়া গেলেও অস্পষ্ট ভাবে তালাকের নিসবত পাওয়ার কারনে বিবাহ করা মাত্র এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
পরবর্তীতে আবারো তাকে বিবাহ করা যাবে,এক্ষেত্রে নতুনভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ আরো কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে বিবাহ পূর্ব শর্তাধীন তালাক পতিত হবেনা।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন ।
,
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি আল্লাহর নাম বা আল্লাহর ছিফাত বা কুরআনের নামে কসম করেননি,তাই এটি কসম বলে গণ্য হবেনা,বিধান কালো মেয়েকে বিবাহ করলে কাফফারা দিতে হবেনা।
এ সংক্রান্ত জানুনঃ-
আপনি বলেছেনঃ-
কালো মেয়েকে বিয়া করলে বউ তালাক হবে এই কথাটা বলার কারনে যদি আপনি কালো মেয়েকে বিবাহ করেন, তাহলে আপনার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে।
(২.৩.৪)
এটি শপথ বলে গন্য হবেনা,তাই ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হবেনা।
(০৫)
ওয়াসওয়াসার কারনে মুখ ফুটে মহান আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার শপথ করলে বা স্ত্রীকে তালাক হওয়ার জন্য শর্ত দিলে ওই শর্ত পাওয়া গেলে স্ত্রী তালাক হবে আর শপথ হবে।
তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতে বা মুফতী সাহেবের মতে আপনি যদি ওয়াসওয়াসার রুগী হোন,সেক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
এক্ষেত্রে এমতাবস্থায় মহান আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার শপথ করলে সেটি শপথ বলে গন্য হবে।
তাই কসম ভেঙ্গে গেলে কাফফারা দিতে হবে।
(৬.৭)
প্রশ্নের বিবরন মতে তালাক হবেনা।
(০৮)
এক্ষেত্রে শপথ ভংগের কাফফারা দিতে হবেনা।
(৯.১০)
এক্ষেত্রে ৫ নং জবাব দ্রষ্টব্য।
(১১)
সন্দেহ থাকায় তালাক হবেনা।
(১২)
কাজটা না করলে কাফফারা দিতে হবে।
(১৩)
তালাক হবেনা।
(১৪)
শাস্তি দেয়া হবেনা।
(১৫)
এক্ষেত্রে বিবাহের পর তালাক পতিত হবে।
(১৬)
যদি তালাক দেওয়ার নিয়ত ছাড়াই কেউ ১৫ নং প্রশ্নের মতো শর্ত দিয়ে দেয় তাহলেও তালাক হবে।
(১৭)
স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়তে কেউ যদি তালাক দিলাম উচ্চারণ করে এর ফলে তালাক হবে।
(১৮)
তালাক দেওয়ার নিয়ত নেই কিন্তু স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাক দিলাম বলার কারনে তালাক হবে।
(১৯)
মনে মনে একটা কাজ না করার ইচ্ছা করলাম এবং ওই ইচ্ছা অনুযায়ীই যদি মুখে শপথ নিলাম উচ্চারণ করি এর ফলে এটা শপথ হবেনা।
(২০)
প্রবল ধারনার উপর আমল করবে।
(২১)
এর ফলে তালাক হবেনা।
(২২)
এক্ষেত্রে স্ত্রীকে তালাক দিতে হবেনা।
অটোমেটিকলি স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়েছে।
(২৩)
এক্ষেত্রে ডাক্তার গন আপনার ব্যাপারে কি বলেন,সেটি জানাবেন।
(২৪)
বিবাহের পূর্বে তালাক প্রদানের বিষয়ে নিশ্চিত হলে বিবাহ হওয়ার পর পরই তালাক হবে।
নতুবা উপরোক্ত ছুরতে তালাক হবেনা।
(২৫)
কোন বাক্য বলেছে,সেটি জানাবেন।
(এক্ষেত্রে ওয়াসওয়াসার রুগী হলে তালাক পতিত হবেনা।)